একের পর এক কেল্লা দখল করে শিবাজী মহারাজ যদি ঔরঙ্গজেবকে চারিদিক থেকে বেঁধে না ফেলতেন, তাহলে কি হিন্দু রাষ্ট্রের জন্ম হত? স্বরাজের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল একটা কারণেই। বিপদ আসার আগেই শিবাজী তা আঁচ করে এমন চাল চেলে দিতেন যে প্রতিপক্ষ কুপকাত হতে বাধ্য হত। এই কারণেই তো বিশাল সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও মুঘলরা শিবাজীর ক্ষমতা বিস্তারের স্বপ্নে দাঁত ফোটাতে পারেনি। মজার বিষয় হল, একই নীতি মেনে শরীরকেও সুস্থ রাখা সম্ভব। শিবাজীর যুদ্ধ নীতি আর শরীরের ভাল-মন্দের মধ্যে যোগটা কোথায় শুনি? শিবাজী মহারাজ যেমন আক্রমণের আগেই নিজের গড় সামলে প্রতিপক্ষকে মাত করে দিতেন। ঠিক সেই ভাবে রোগভোগের আগেই যদি শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলা যায়, তাহলেই তো ছোট-বড় সব রোগের খেল খতম! এবার বুঝেছেন তো ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’, এই নীতিটি আজকের দিনে এত জনপ্রিয় কেন? কিন্তু প্রশ্ন হল শরীর নামক দুর্গটির নিরাপত্তা বাড়িয়ে রোগ নামক প্রতিপক্ষকে দূরে রাখা যায় কীভাবে? এক্ষেত্রে পানিফলের উপর ভরসা রাখলে কিন্তু ঠকবেন না। কিন্তু হঠাৎ করে এই সবজিটি খাওয়ার পরামর্শ কেন দেওয়া হচ্ছে, তাই ভাবছেন নাকি? তাহলে চলুন সেই নিয়েই একটু সুলুকসন্ধান করা যাক!
ইমিউনিটি বেড়ে হবে একশোয় একশো
শরীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার না হলে যে রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখা সম্ভব নয়। তাই তো ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে এই শীতকালে ক্ষতিকর জীবাণুদের সংখ্যা এমন বেড়ে যায় যে সময় থাকতে থাকতে যদি দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার শক্তি বাড়িয়ে তোলা না যায়, তাহলেই বিপদ! আর সেই কারণেই তো নিয়মিত water chestnut খেতেই হবে। তাতে কী উপকার মিলবে? এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং নানা ধরনের উপকারী মিনারেল, যা ছোট-বড় বেশিরবাগ রোগকেই দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে।
বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না
না না ভুল শোনেননি! নিয়ম করে পানিফল খেলে বাস্তবিকই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে শরীরের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে তার সুফল হিসেবে মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে কোনও বাঁধা আসার আশঙ্কাই আর থাকে না।
ওজন কমবে তরতরিয়ে
পানিফলে থাকা ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে কথায় কথায় মুখ চালানোর ইচ্ছা আর থাকে না, যে কারণে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করার সুযোগ পায় না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। পানিফলে উপস্থিত এই সব উপকারী উপাদানের গুণে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে, যে কারণেও শরীরের ইতিউতি জমে থাকা মেদ ঝরে যেতে বাধ্য হয়।
গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যা দূরে পালাবে
শীতকাল (winter) মানেই কোনও দিন পিকনিক, তো কোনও কোনও দিন দেদার পার্টি। বছরের এই সময় প্রায় দিনই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া চলতেই থাকে। ফলে গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে সময় লাগে। এই কারণেই তো বেশি করে পানিফল খাওয়া জরুরি। কেন এমন উপদেশ তাই ভাবছেন? আসলে পানিফলে রয়েছে ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
পানিফল কীভাবে খেতে হয় জানা আছে?
ইচ্ছা হলে কাঁচা খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ছালটা ছাড়িয়ে নিতে ভুলবেন না। আর যদি কাঁচা খাওয়ার ইচ্ছা না থাকে, তাহলে হলকা ভেজে নিয়েও খাওয়া যেতে পারে। অনেকে পানিফল শুকিয়ে নেওয়ার পরে তার গুঁড়ো করে আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি তৈরি করে খান। আপনারও যদি এইভাবে খেতে ইচ্ছা করে, তাহলে খেতেই পারেন। মোট কথা প্রতিদিন কোনও না কোনও ভাবে পানিফল খেতেই হবে, তাহলেই আর এই শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা আর থাকবে না।
picture courtesy: wikipedia
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এই দশকটি আমরা শেষ করতে চলেছি #POPxoLucky2020-র মাধ্যমে। যেখানে আপনারা প্রতিদিন পাবেন নতুন-নতুন সারপ্রাইজ। আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার আগামী বছরটা POPup করে ফেলুন!