আগেকার দিনে কিছু কেনাকাটা করতে গেলে প্রথমে ১০টা দোকান ঘোরা হতো, তারপর সেখান থেকে আরও ৫০টা জিনিস দেখে বাছাবাছি করে কেনা হতো হয়তো একটা কি দুটো জিনিস। তবে এখন অতো সময়ও কারও হাতে নেই যে ঘুরে ঘুরে শপিং করবে আর পসারিদেরও এতটা সময় বা ধৈর্য কোনোটাই নেই যে বেছে বেছে সব জিনিস দেখাবে আবার তুলে রাখবে, কাজেই এখন যেটা বহুল প্রচলিত সেটা হল অনলাইন শপিং (Onlinne Shopping Tips)। না আপনাকে গরমের মধ্যে বাজার যেতে হচ্ছে, না ভিড়ের মধ্যে গুঁতোগুঁতি করতে হচ্ছে, আর দোকানদারের খিটখিটও শুনতে হচ্ছে না। ব্যস, শুধু একটা ক্লিক আর কেনাকাটা কমপ্লিট।
আপনি নিজের বাড়িতে বসে বা অফিসে বসে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের সাহায্যেই হরেক অপশন দেখে নিজের পছন্দমত জিনিসটা অনায়াসে কিনে নিতে পারেন অনলাইন শপিং-এর (Online Shopping) মাধ্যমে। এমনকি অনেক সময়েই তো আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের ওপরে দারুণ ডিস্কাউন্টও পেয়ে যেতে পারেন। আবার এমনও হয় যে দামী জিনিস যেমন মোবাইল ফোন কিংবা টিভি বা ল্যাপটপ অথবা অন্য কোনও জিনিস ভালো ডিস্কাউন্টে কেনার জন্য ‘মহাসেল’-এর জন্যও অপেক্ষা করে থাকি। মোটামুটি কোনও উৎসবের আগ দিয়ে এই ধরণের সেল চলতে থাকে অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে। আর সত্যি বলতে কি, বাড়ি বসে আরাম করেই যখন এতকিছু পেয়ে যাই, তখন আর কষ্ট করে বেরিয়ে শপিং করতে ইচ্ছেও করে না।
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু Online Shoping Site তো একটা নয়, অনেক! তাতে আবার বিক্রেতা আরও বেশি। একই প্রোডাক্ট হয়ত দশজন বিক্রি করছেন, একেক জনের কাছে সেই প্রোডাক্টেরই একেক রকম দাম। তাহলে কিনবেন কীভাবে? কার থেকে কিনবেন? একেকজন হয়ত একেক রকমের ডিস্কাউন্ট (Discount) দিচ্ছেন, যাতে আপনি-আমি সবাই একটা কনফিউশনে ভুগছি যে কোনটা কিনব, কার থেকে কিনব। তাহলে উপায়? বলছি বলছি… অনলাইন শপিং করার আগে আপনাকে বেশ কয়েকটা বিষয় (Online Shopping Tips In Bengali) মাথায় রাখতে হবে। আর সেগুলো কি সে ব্যাপারেই আলোচনা করবো এখন।
যদিও এখন কম বয়সি ছেলে-মেয়েরা সারাক্ষণই অনলাইন থাকে এবং তারা অনলাইন দুনিয়ার মোটামুটি সবকিছুর ব্যাপারেই ওয়াকিবহাল, কিন্তু অনেক মাঝবয়সি নারী-পুরুষ রয়েছেন যারা হয়তো অনলাইন শপিং সম্পর্কে অতটা জানেন না। হয়তো প্রথমবার অনলাইন শপিং করবেন, তাঁদের জন্যই এখানে কয়েকটা জরুরি টিপস দেওয়া হল যেগুলো একটু মাথায় রেখে যদি অনলাইন শপিং করেন তাহলে আখেরে তাঁদেরই সুবিধে হবে –
আপনি নিশ্চই জানেন যে ‘ব্র্যান্ড লয়ালটি’ বলে একটা কথা আছে। সহজ কোথায় বলতে গেলে, ব্র্যান্ড লয়ালটি মানে হল, ধরুন আপনি একটা নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পোশাক পরেন, অন্য কোনও ব্র্যান্ড যদি আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের থেকে বেশি ডিস্কাউন্টও (Discount) দেয় বা ভালো কোয়ালিটির পোশাকও দেয় তবুও আপনি আপনার নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পোশাকই কিনবেন, একেই বলা হয় ব্র্যান্ডের প্রতি লয়াল থাকা। এই ব্যাপারটাই কিন্তু অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনি যখন অনলাইন শপিং (Online Shopping) করবেন, তখন আপনি যে সাইট থেকেই শপিং করুন না কেন, খেয়াল রাখবেন ব্র্যান্ডটি যেন ঠিক থাকে অর্থাৎ নামী ব্র্যান্ড হয়। এতে আপনি ওই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের যে প্রোডাক্ট টি কিনছেন, তার কোয়ালিটি খারাপ হবার আশঙ্কা কম থাকে। অনেকেই আবার শুধু ব্র্যান্ড না, নির্দিষ্ট একটা অনলাইন শপিং সাইট থেকেই কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। যেমন কেউ ‘আজিও’ থেকে জামাকাপড় কেনেন আবার হয়তো কেউ ‘অ্যামাজন’-এর ওপরে বেশি বিশ্বাস করেন, কারণ তারা এটা ভাবেন যে ওই নির্দিষ্ট অনলাইন শপিং সাইট (Online Shopping Site) থেকে প্রোডাক্ট কিনলে ঠকার আশঙ্কা কম।
অনলাইন শপিং (Online Shopping) করার আগে এটা কিন্তু একটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি না জানেন তাহলে জেনে রাখুন যে প্রতিটি ব্র্যান্ডের একটা করে ক্লোন ব্র্যান্ড হয়, অর্থাৎ বড় ব্র্যান্ডের নামে নকল প্রোডাক্টও কিন্তু বিক্রি হয় আর এটা এমন কিছু বিশাল ব্যাপার নয়। কাজেই অনলাইন শপিং সাইট থেকে যখন কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কিনবেন, তার আগে দয়া করে সেই ব্র্যান্ডের যে নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে, সেখানে গিয়ে প্রোডাক্টটির সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য দেখে নিতে ভুলবেন না। অনেকসময়েই এমন হয় যে বেশ বড় ডিস্কাউন্টের (Discount) লোভে পড়ে আমরা ব্র্যান্ডের সত্যতা যাচাই করতে ভুলে যাই। ফলে আমরা দাম দিয়ে খারাপ কোয়ালিটির প্রোডাক্ট কিনি এবং নকল প্রোডাক্ট কিনি। কীভাবে বুঝবেন যে কোন প্রোডাক্টটি আসল আর কোনটি নকল? যে ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কিনবেন, সেই ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে সবার আগে ওই নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট সম্বন্ধে পড়ে নিন এবং মডেল নম্বরটি দেখে নিন। এরপর অনলাইন শপিং-এর সাইটে এসে মিলিয়ে নিন। যদি মডেল নম্বর মিলে যায় তাহলে বুঝবেন যে প্রোডাক্টটি আসল।
যখনি অনলাইনে কিছু কিনবেন, ভালো করে আগে প্রোডাক্ট-এর ব্যাপারে পড়ে নিন। সম্পূর্ণভাবে স্যাটিসফায়েড হয়ে তবেই প্রোডাক্টটি কিনুন, তার আগে নয়। কি কি পড়বেন? যে প্রোডাক্টটি আপনি কিনছেন, তার বক্সে কতো পিস আছে, যদি শাড়ি কেনেন তাহলে তার সাথে ব্লাউজপিস আছে কি না, যদি কুর্তা কেনেন তাহলে তার সাথে লোয়াল বা ওড়না আছে কি না, যদি মোবাইল ফোন কেনেন তাহলে তার সাথে কি কি অ্যাক্সেসরিজ দেওয়া হচ্ছে – এরকম খুটিনাটি সব ডিটেল কিন্তু পড়ে নেবেন। তা না হলে কনফিউশন হতে পারে। যেমন ধরুন আপনি শাড়ি কিনেছেন, যার সাথে বলা আছে ব্লাউজপিস দেওয়া হবে, কিন্তু শাড়িটি যখন আপনি পেলেন বক্স খুলে দেখলেন যে তাতে হয়তো ব্লাউজপিসটি নেই, তখন আপনি বিক্রেতার সাথে অথবা সে অনালিন শপিং সাইট (Online Shopping Site) থেকে প্রোডাক্টটি কিনেছেন তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে প্রোডাক্টটি বদলে নিতে পারেন।
অনেকসময়েই এরকম হয় যে কোনও একটা প্রোডাক্ট দেখে আমাদের এতো পছন্দ হয়ে যায় যে আমরা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা দেখতেই ভুলে যাই, সেটা হল প্রোডাক্টের গ্যারান্টি এবং ওয়ারান্টি। যে প্রোডাক্টটা আমরা কিনছি, সেটা টেকসই হোক তা আমরা সবাই চাই, কিন্তু কখনও কখনও যদি ডিফেক্ট হয় তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ি। সেজন্যই প্রোডাক্টের গ্যারান্টি এবং ওয়ারান্টি দেখে নেওয়াটা খুব জরুরি। জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি বা ওয়ারান্টি পাওয়া যায়না হয়তো, কিন্তু ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ব্যাপারটি প্রযোজ্য। অনেকসময়েই কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারার ওয়ারান্টি থাকে না অনলাইন শপিং (Online Shopping) সাইটে, তার বদলে বিক্রেতার নাম দেওয়া থাকে। আবার অনেকসময়ে একটা প্রোডাক্টের বিশেষ কোনও পার্ট-এর জন্য ওয়ারান্টি থাকে, সম্পূর্ণ প্রোডাক্টটির জন্য থাকে না। তখন হয় সমস্যা। কাজেই এই ব্যাপারগুলো একটু দেখে, ভালো করে বুঝে তারপরেই প্রোডাক্টটি কেনা উচিত।
যখন আপনি বাজারে কোনও জিনিস কিনতে যান, তখন তো একটা দোকান থেকে জিনিস কেনেন না, অন্তত তিন চারটে দোকান ঘুরে তারপর জিনিসটি কেনেন। অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রেও আপনি এই কাজটি করুন। নির্দিষ্ট একটা সাইটে জিনিস না দেখে বাকি ওয়েবসাইটেও একবার করে দেখে নেওয়া ভালো যে কোন সাইটে কীরকমভাবে প্রোডাক্টটি বিক্রি হচ্ছে। অন্য সাইটে কাস্টমার রিভিউ কেমন, প্রোডাক্টের কোয়ালিটি কীরকম, দাম, ডিস্কাউন্ট (Discount) ইত্যাদি সব কিছু দেখে, তুলনা করে তারপরেই সিদ্ধান্ত নিন যে কোন অনলাইন শপিং সাইট (Online Shopping) থেকে আপনি প্রোডাক্টটি কিনবেন।
যেকোনো অনলাইন শপিং সাইটে কাস্টমার রিভিউ থাকেই। মনে রাখবেন, আপনি কিন্তু প্রথম নন যিনি ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে ওই নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটি কিনছেন, আপনার আগেও অনেকেই হয়তো সেই জিনিসটি কিনেছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন সেটা জানার প্রয়োজন আছে। সেটা আপনি কাস্টমার রিভিউ দেখে জেনে যাবেন। অনেকরকমের রেটিং দেওয়া থাকে একটা প্রোডাক্টের। আগে যারা ওই জিনিসটি কিনেছেন তাঁদের অভিজ্ঞতার ওপরে ভিত্তি করেই এই রেটিং দেওয়া হয়। তবে খেয়াল রাখবেন অনেক কাস্টমার রিভিউই কিন্তু পেইড অর্থাৎ পয়সা দিয়ে লেখানো হয়। তাই শুধুমাত্র কয়েকটা ভালো ভালো রিভিউ দেখেই সন্তুষ্ট হবেন না। সব রকম রেটিং-এর রিভিউই পড়ুন। যদি কোনও প্রোডাক্ট আপনার পছন্দ হয় কিন্তু তাতে কোনও রেটিং বা রিভিউ না থাকে (অনেকসময়েই এরকম পরিস্থিতি হয়) তাহলে সেই প্রোডাক্টটি না কেনাই ভালো।
আরও একটা ব্যাপারে একটু নজর দেওয়া উচিত, যে অনলাইন শপিং (Online Shopping) সাইট থেকে আপনি প্রোডাক্ট কিনছেন, তাদের রিটার্ন এবং শিপমেন্ট পলিসি কীরকম। একটা স্পষ্ট রিটার্ন পলিসি কিন্তু কাস্টমারের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এতে কাস্টমারের মধ্যে একটা বিশ্বাস তৈরি হয় যে যেখান থেকে তারা প্রোডাক্টটি কিনছেন সেখানে তারা প্রয়োজন হলে সহজেই প্রোডাক্ট রিটার্ন করতে পারেন। অনেক অনলাইন শপিং সাইট তাদের ডেলিভারি বয়দেরকে পাঠিয়ে দেয় যে প্রোডাক্টটি রিটার্ন করতে হবে সেটা নিয়ে আসার জন্য, আবার অনেকে পাঠায় না; সেক্ষেত্রে কাস্টমারকে নিজের পয়সা খরচ করে আবার প্রোডাক্টটি কুরিয়ার করতে হয়। ফলে যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি জিনিস কিনছেন, তাদের শিপমেন্ট এবং রিটার্ন পলিসি খুব ভালো করে পড়ে নিয়ে তবেই কিনুন।
যেহেতু অনলাইন শপিং সাইটে অনেক বিক্রেতা থাকেন, কাজেই তাদের রেটিংও ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। এরকম কিন্তু সবসময়ে হয় না যে ম্যানুফাকচারার প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। অনেকক্ষেত্রেই আপনি দেখতে পাবেন যে নানা ‘সেলার’ অর্থাৎ বিক্রেতা কোনও একটা নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন। সেক্ষেত্রে যেমন আপনি ম্যানুফাকচারার ওয়ারান্টি পাবেন না, সেরকমই সেই বিক্রতার রেটিংও দেখে নিতে ভুলবেন না। কমপক্ষে যাঁদের রেটিং ৪ তাদের থেকেই জিনিস কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ। রেটিং যত ওপরের দিকে, সেই বিক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা ততো বেশি, অর্থাৎ ততো বেশি কাস্টমার তার থেকে জিনিস কিনেছেন এবং খুশি হয়েছেন। আরও একটা কারণে বিক্রেতার রেতিং-এর ওপর জোর দেওয়া উচিত, যদি বিক্রেতার রেটিং বেশি থাকে তাহলে বুঝবেন যে তিনি আসল ব্র্যান্ড এবং ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট বিক্রি করেন এবং বিক্রির পরেও তার সার্ভিস ভালো। এমন না হয় যে আপনি কম রেটিং-এর কোনও বিক্রেতার থেকে কিছু কিনলেন এবং ঠকে গেলেন!
সেল, ডিস্কাউন্ট, ছাড়, অফ – এই ধরণের শব্দগুলো ক্রেতাদেরকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করে, বিশেষ করে মহিলারা এই ধরণের সেলের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। যদি কোনও দামী জিনিস কোনও অনলাইন শপিং সাইটে (Online Shopping Site) খুব কম দামে বিক্রি হচ্ছে দেখেন, ধরুন ৮০% ছাড়ে, আর সেটা আপনি কেনার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেন, তাহলে ‘বাই নাও’ বাটনে ক্লিক করার আগে দু’মিনিট দাঁড়ান। এরকম অনেকসময়েই হয় যে ক্রেতাকে সেল বা ডিস্কাউন্টের (Discount) লোভ দেখিয়ে খারাপ কোয়ালিটির জিনিস গছিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানে কোনোরকম রিটার্ন পলিসিও হয়তো থাকে না।
একদম শেষে শপিং (Online Shopping) করা হয়ে গেলে আপনি পেমেন্ট করে দিলে একটা অনলাইন রিসিট বা রসিদ আপনাকে দেওয়া হয় যেটা আপনার ল্যাপটপ বা মোবাইল স্ক্রিনে দেখা যায়। ওই রসিদটি অবশ্যই হয় প্রিন্ট করে রেখে দিন অথবা সেভ করে (চাইলে স্ক্রিনশট নিয়েও রাখতে পারেন) রেখে দিন। এতে আপনার কাছে প্রমাণ থাকে যে আপনি জিনিসটি কিনেছেন এবং টাকাও দেওয়া হয়ে গেছে।
শপিং করতে আমরা সবাই ভালোবাসি তবে সাবধানে করলে ভালো হয় এই আর কি! হ্যাপি শপিং!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!