তাঁর পাণ্ডিত্য। তাঁর সিনেমা নিয়ে জ্ঞান আজও অবাক করে সিনেমা প্রেমীদের। তিনি ছিলেন বহু গুণের অধিকারী। পথের পাঁচালি, চারুলতা, মহানগর, আগন্তক আর অরণ্যের দিনরাত্রির মতো সিনেমাতে (Satyajit Ray Movies) যেখানে তিনি দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছিলেন বাঙালি সমাজের ছবি, সেখানে ওই সময়ই ছোটদের মন রাখতে লিখেছেন একের পর এক গল্প। জন্ম দিয়েছিলেন ফেলুদার (Feluda) মত কালজয়ী চরিত্র। এমনকী নিজের সিনেমার জন্য মিউজিকও তৈরি করতেন তিনিই।
মানুষ হিসেবেও Satyajit Ray ছিলেন একেবারে অন্য ধাঁচের। তাঁর ব্যক্তিত্ব যেমন ছিল নজরকাড়া, তেমনি ভাবনাও ছিল অনন্য। যার প্রমাণ মেলে তাঁর জীবন থেকেই। তাঁর সমকালীন পরিচালকেরা যেখানে বাচ্চাদের জন্য ছবি তৈরি করতে পছন্দ করতেন না, সেখানে তিনি চেনা ছক ভেঙে বেরিয়ে এসে কখনও স্ক্রিপ্ট লিখেছেন গুপি গাইন-বাঘা বাইনের তো কখনও সোনার কেল্লার (Satyajit Ray Writing)। এমন ব্যতিক্রমী মানুষের ভবনা চিন্তাও যে ব্যতিক্রমী হবে, তা কী আর বলার অপেক্ষা রাখে (Satyajit Ray Quotes In Bengali)। তাই আজ সত্যজিৎ রায়ের এমন কিছু ভবনার উপর আলোকপাত করা হল, যা মানুষ সত্যজিৎকে একেবারে নতুনভাবে চেনাবে আমাদের (10 Satyajit Ray Quotes That Reflect His Genius Mind)।
মানিক বাবুর মনের কথা (Satyajit Ray Quotes In Bengali)
১. “সমস্যায় পরলে আমরা অন্যের কাছে সমাধান চাই। কিন্তু সবচেয়ে মূল্যবান সমাধানটা কিন্তু আমরা নিজেরাই খুঁজে পাই।”
২. “আমি যখন কোনও গল্প লিখি তখন এমন ব্যক্তিদের নিয়ে লিখি, যাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। এমন পরিস্থিতি নিয়ে লিখি, যার সঙ্গে আমি পরিচিত। যে বিষয়ে আমি জানি না, তা নিয়ে কখনও লিখি না। তাই তো উনিশ শতক নিয়ে কোনও লেখা নেই আমার।”
৩. “যে কোনও কাজেই হঠাৎ করে নতুন কিছু করার সুযোগ সব সময়ই আসে।”
৪. “সিনেমার জন্য গল্প লেখার অভ্যাসকে আমি শখে পরিণত করেছিলাম। আমি খুঁজে বের করতাম সেই সব গল্প, যা থেকে সিনেমা হতে পারে। তারপর শুরু করতাম নিজের মতো করে লেখা। শেষে আসল গল্পের সঙ্গে তুলনা করতাম।”
৫. “সিনেমার শেষ যেন হয় আনন্দের। তবে শেষ সিনের আগে যদি কয়েকটা দুঃখের সিন রাখা যায়, তাহলে কিন্তু সেই সিনেমা দর্শকদের মনে ধরে বেশি।”
৬. “Dominus Omnium Magister…এর মানে হল ভগবানই শেষ কথা। তিনিই সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।”
আরও পড়ুন: গুরুগম্ভীর ব্যক্তিত্বের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক রসিক মন!চেনা ছকের বাইরে এক অচেনা সত্যজিৎ রায়
৭. “আমার মনে হয় সাধারণ মানুষ, যাদের আমরা রাস্তাঘাটে দেখতে পাই, তাদের জীবন সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। হিরোদের জীবন তো খোলা বইয়ের মতো। তাই তো সাধারণ মানুষদের সেই না বলা কথাগুলি আমি জানতে চাই, তাদের জীবনের আরও গভীরে প্রবেশ করতে চাই।”
৮. “একটা গল্পে যখন নতুন কোনও চরিত্র আসে, তখন তাকে দেখতে কেমন, বেশভূষাও বা কেমন, সে সম্পর্কেও লেখা একান্ত জরুরি। না হলে পাঠক নিজের মতো করে কিছু একটা ভেবে নেবেন, যার সঙ্গে আপনার নিজের ভাবনার মিল নাও থাকতে পারে।”
৯. “সিনেমটা আদতে কী নিয়ে, সে সম্পর্কে একমাত্র পরিচালকেরই স্পষ্ট ধারণা থাকে।”
আরও পড়ুন: হাড়হিম করা এই বাংলা Classic সিনেমাগুলি দেখেছেন কি?
১০. “সিনেমার সব থেকে বড় গুণ হল এই মাধ্যমের সাহায্যে মানুষের মনের কথা, তাদের ভাবনা-চিন্তা খুব সহজেই আরও অনেকের সামনে তুলে ধরা যায়।”
ছবির কৃতজ্ঞতা স্বীকার: youtube, wikipedia
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!