যেকোনো পুরুষ বা মহিলা কখনোই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অর্গ্যাজম অনুভব করেন না. কিন্তু মহিলাদের অর্গ্যাজম আর পুরুষদের অর্গ্যাজম একে অন্যের থেকে ভীষণভাবে আলাদা. আমরা বাজি রেখে বলতে পারি যে পুরুষদের অর্গ্যাজম সম্বন্ধে এই ১০টি তথ্য আপনাকে কেউ বলেনি. আপনি এই তথ্যগুলো জানেন জানলে আপনার সঙ্গী আপনাকে বাহবা দেবেই!
১. ইজাক্যুলেশন ছাড়াই কিছু পুরুষের অর্গ্যাজম হয়
শুনতে অবাক লাগলেও, কিছু পুরুষদের (যদিও তারা সংখ্যায় খুবই কম) ড্রাই অর্গ্যাজম হয়. তারা সেমিনাল ফ্লুইড রিলিজ না করেই ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছে যান. এমনকি অনেকে অর্গ্যাজমের কয়েক সেকেন্ড পড়ে ফ্লুইড রিলিজ করেন.
২. স্পার্ম প্রতি ঘন্টায় ২৮ মাইল ট্রাভেল করে, যা একজন অলিম্পিক রানারের স্পিড
রিলিজ হবার সাথে সাথে এর স্পিড খুব বেশি থাকে. কিন্তু ডেস্টিনেশনে পৌঁছে অর্থাৎ ভ্যাজাইনায় পৌঁছনোর পরে স্পার্মের গতি কমে ঘন্টায় ৪ মাইলের মতো হয়ে যায়.
৩. জি-স্পট শুধুমাত্র মহিলাদের থাকেনা!
যদি আপনি ভেবে থাকেন যে সেই ম্যাজিক্যাল প্লেজার স্পট শুধুমাত্র আপনারই আছে, তাহলে জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনার ভাবনা ভুল! পুরুষদেরও জি-স্পট থাকে! আপনিও আপনার পার্টনারের জি-স্পট স্টিম্যুলেট করে তাকে আনন্দ দিতে পারেন. (হিন্ট: প্রোস্টেটের আশেপাশে খুঁজুন, শোনা যায় ওখানেই ‘মেল জি-স্পট’ থাকার সম্ভাবনা বেশি)
৪. একবার স্টিম্যুলেট হবার পর, বেশিরভাগ পুরুষেরই অর্গ্যাজমের প্রয়োজন হয়
একে ‘ইজাক্যুলেটরি ইনভ্যাটিবিলিটি’ বলা হয়, অর্থাৎ স্টিম্যুলেশনের পর বেশিরভাগ ছেলের কাছে অর্গ্যাজম অনিবার্য হয়ে পড়ে (এরকম ঘটনা ২ মিনিটের ‘কুইক মাস্টারবেশনের’ পরেও হতে পারে).
৫. একজন পুরুষ সারাজীবনে মোটামুটি ১৮ গ্যালন সেমিনাল ফ্লুইড ইজাক্যুলেট করে!
OMG!!! সংখ্যাটা বেশ বড়ো! না?
৬. একজন মহিলার তুলনায়, একজন পুরুষের অর্গ্যাজমের সময়সীমা কম হয়!
একদম ঠিক পড়লেন! হতে পারে আমরা খুব তাড়াতাড়ি অর্গ্যাজমের আনন্দ নিতে পারিনা, কিন্তু আমাদের সময়সীমা অনেক বেশি. পুরুষদের গড়ে ৫ থেকে ২২ সেকেন্ড অর্গ্যাজম হয়, সেখানে মহিলাদের টানা ২০ সেকেন্ডের মতো অর্গ্যাজম হয় আর স্বর্গীয় আনন্দ দেয়!
৭. অর্গ্যাজমের পর পুরুষদের পক্ষে জেগে থাকাটা প্রায় অসম্ভব
অর্গ্যাজমের পর পুরুষরা কিছু ড্রাউসি হরমোন রিলিজ করে যেমন norepinephrine, serotonin, oxytocin, vasopressin, nitric oxide ইত্যাদি, এই হরমোনগুলো রিলিজ হলে ঘুম পায়. আর এতো বছর ধরে আমরা বেচারি ছেলেদের ইন্টারকোর্সের পর না জেগে থাকার জন্য দোষারোপ করে এসেছি! যাকগে, এখন তো আসল কারণ জানা গেলো!
৮. বেশিরভাগ পুরুষের পক্ষে ‘আটকে রাখা’ একটা চ্যালেঞ্জ
প্রথমবার ইচ্ছে জাগার পর অনেক পুরুষ ইজাক্যুলেট না করে ফ্লুইড আটকানোর অর্থাৎ ‘হোল্ড-অন) করেন. এতে শুধু তার সঙ্গিনী নয়, তিনি নিজেও অনেক বেশি সেক্স্যুয়াল প্লেজার অনুভব করেন. কারণ হোল্ড-অন করে রাখার ফলে অনেক বেশি intense আর shattering orgasm অনুভূত হয়.
৯. পুরুষরাও অর্গ্যাজম ‘ফেক’ করে
হ্যাঁ, এটা সত্যি. শুধু মহিলারাই নন, যারা কখনো কখনো অর্গ্যাজম ফেক করেন. একটা সার্ভে অনুযায়ী জানা গেছে, ৩০% পুরুষ কোনো না কোনো সময়ে অর্গ্যাজম ফেক করেছেন.
১০. পুরুষদের অর্গ্যাজমের জন্য খুব একটা বেগ পেতে হয় না
আপনি নিশ্চই জানেন, তবুও যদি আমরা আরেকবার আপনাকে মনে করিয়ে দি, অসুবিধে তো নেই! কখনো কখনো একটু dirty talk বা অল্প visual stimulation অনুঘটকের কাজ করে. তাহলে নিজের সঙ্গীকে একটু ভালোবাসা দিন, যাই হোক, ওরাও তো এটুকুর যোগ্য!