শাড়ির পরে যে পোশাকটি প্রত্যেক বাঙালি মহিলার আলমারিতে সবচেয়ে বেশি পাবেন, তা হল সালোয়ার-কামিজ (salwar-kameez)! এই পোশাক আমাদের নাকি পঞ্জাবিদের, এটি পরলে রোগাদের দেখতে ভাল লাগে, নাকি মোটাদের, সেসব তর্ক বৃথা। কারণ, মা-কাকিমা থেকে শুরু করে সদ্য কলেজে ঢোকা মেয়েটি, সকলের কাছে নির্ঝঞ্ঝাট পোশাক মানেই হল সালোয়ার-কামিজ! এটি যে কেউ পরতে পারেন, অশালীন লাগবে না! যে কোনও বয়সের মহিলা পরতে পারেন, বেমানান লাগবে না! কিন্তু জানেন কী, সালোয়ার-কামিজ পরারও একটা কায়দা আছে? আপনি যেমন পাতিয়ালা সালোয়ারের সঙ্গে হাঁটু পর্যন্ত ঝুলের কুর্তা পরতে পারেন না, ঠিক তেমনই খাদির কামিজের সঙ্গে জর্জেটের পালাজোও চলবে না! এই প্রতিবেদনে আমরা এমন ১০টি ভুলের (mistakes) কথা বলব, যেগুলো সালোয়ার-কামিজ পরার সময় আমরা অনেকেই বেখায়ালে করে থাকি। আশা করি, আজকের পর আপনারা অন্তত সেই ভুলগুলো আর করবেন না (things-you-should-not-do)!
১. ভারী কাপড় দিয়ে সালোয়ার বানাবেন না!
বিশ্বাস করুন, এটা আমরা অনেকেই করি! সুতি, লিনেন, খাদি কিংবা মোটা সিল্কের কাপড় দিয়ে সালোয়ার বানাই। কিন্তু সেটা একেবারেই উচিত হয়। কারণ এই ধরনের কাপড় ফুলে থেকে আরও মোটা দেখায় আপনাকে। তার চেয়ে বরং ফুরফুরে, পাতলা ধরনের কাপড় দিয়ে সালোয়ার বানান। এতে হাঁটাচলাতেও সুবিধে হবে আর দেখতেও ভাল লাগবে।
২. ছোট ঝুলের ওড়না নেবেন না
কেনা ওড়নার একটা স্ট্যান্ডার্ড সাইজ আছে, সোওয়া দুই মিটার। এই ঝুল অনেককে মানিয়ে গেলেও, যাঁরা লম্বা তাঁদের ভাল লাগে না। তাই তাঁরা লম্বা ঝুলের ওড়না নিন। বাজার থেকে কেনার সময় ঝুল মেপে নেবেন অবশ্যই। দরকার হলে গায়ে ফেলে দেখুন যে, ঠিক আছে কিনা।
৩. পাতিয়ালা প্যান্টের সঙ্গে লম্বা ঝুলের কামিজ একদম নয়
অনেকেই এই ভুলটা করে থাকেন। পাতিয়ালা প্যান্টের বাহারটাই তাতে চাপাঢাকা পড়ে যায়। এই ধরনের প্যান্টের সঙ্গে হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ঝুলের কামিজই যথেষ্ট। আর কামিজের ফিটিং যেন ভাল হয়। নইলে ফোলা পাতিয়ালা এবং ফোলা কামিজ মিলিয়ে একটা বিশ্রী ব্যাপার হবে।
৪. মোনোক্রোম্যাটিক লুক এড়িয়ে চলাই ভাল
কিছু-কিছু সময়ে একই রংয়ের কামিজ ও সালোয়ার ভাল লাগলেও, সব সময় লাগে না। তা ছাড়া একই রংয়ের পোশাক আপনাকে আরও বেঁটে করে দেয়। তাই কনট্রাস্ট রং বাছুন বা নিদেনপক্ষে এক রং হলে গেলেও সালোয়ার কিংবা কামিজ, কোনও একটা প্রিন্টেড রাখুন।
৫. যখন ওড়না নেওয়া প্রয়োজন, তখন নিন
ওড়না নিলে আপনি গাঁইয়া আর না নিলে আধুনিকা, এমনটা মোটেও নয়! কিছু বিশেষ কাটিং যেমন, অঙ্গরাখা, বন্ধগলা বা হাই নেক কামিজের সঙ্গে ওড়না ভাল লাগে না ঠিকই, কিন্তু ডিপ নেক, ডিপ ব্যাক কামিজের সঙ্গে ওড়না নেওয়াটা মাস্ট!
৬. ঢিলেঢালা ফিটিংয়ের কামিজ একেবারে নয়
এটাও আমাদের ভারী পছন্দের একটা ভুল। কারণ, আমরা ভাবি, পোশাক ঢিলে হলে, রোগা দেখতে লাগবে! মোটেও না। উল্টোটাই সত্যি আসলে। বেশ একটা তাঁবু-তাঁবুমার্কা ব্যাপার হবে সেক্ষেত্রে। তাই আরামদায়ক ফিটিংয়ের কামিজ পরুন। সেটাই সবচেয়ে ভাল লাগবে।
৭. কামিজের কাঁধে পিন করার অপশন রাখুন
টাইট ফিটিং কামিজ গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকে বলে কাঁধ থেকেও সরে যায় না। কিন্তু একটু ঢিলে কামিজের যদি ডিপ ব্যাক কাটিং হয়, তা হলেই কাঁধ থেকে বারবার পরে গিয়ে ব্রায়ের স্ট্র্যাপ বেরিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা! সুতরাং, সেক্ষেত্রে ব্রায়ের স্ট্র্য়াপের সঙ্গে পিন করে নিন।
৮. লাইনিংয়ের পয়সা বাঁচাতে যাবেন না
যে কামিজে লাইনিং প্রয়োজন, সেটিতে অবশ্যই লাইনিং দিন। এবং মনে করে কামিজের হাতাতেও লাইনিং দেবেন। নইলে বগলের ঘামে সেখান থেকে ফেঁসে যাবে সহজেই! পয়সা বাঁচাতে চাইলে কয়েকটা বেসিক রংয়ের আলাদা লাইনিং বানিয়ে রাখুন। তারপর সেগুলোই বিভিন্ন কামিজের সঙ্গে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরুন।
৯. একগাদা গয়নাগাঁটি পরবেন না
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে কানে দুল এবং হাতে চুড়িই যথেষ্ট। গলায় চোকার, ঝোলা হার ইত্যাদি পরে জবরজং সাজবেন না, দোহাই!
১০. সঠিক ফুটওয়্যার পরুন
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পরতে পারেন নানা ধরনের স্টাইলিশ চটি, মোজরি, স্টিলেটো, স্ট্র্যাপি হিলস কিংবা ওয়েজেস। কিন্তু বুট, পা ঢাকা জুতো, কনভার্স, স্লিকার্স, লোফার্স, অক্সফোর্ড হিল কিংবা বুট পরবেন না প্লিজ!
picture courtesy: instagram
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!