আমরা অনেকেই মনে করি যে কী আর হয়েছে একটু না হয় বেশিই ঘুম পায়, এ নিয়ে আর এত চিন্তার কী আছে! কাজেই এ’রকম তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার এবং ওষুধ খাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ঠিক আছে, অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা নিয়ে যদি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে না চান, অন্তত কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দেখুন, যাতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান। (10 ways to stop oversleeping) কারণ, বিষয়টা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ বলে মনে হলেও, সমস্যাটা কিন্তু বেশ সিরিয়াস!
অতিরিক্ত ঘুম কমানোর জন্য মেনে চলুন এই নিয়মগুলো
১। অতিরিক্ত ক্যাফেইন আমাদের শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। যদি আপনি একটা হেলদি ডায়েট মেনে চলতে চান, সেক্ষেত্রে ক্লান্তিবোধ দূর করতে এবং অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুই থেকে তিনবার গ্রিন টি খেতে পারেন। এই ঘরোয়া টোটকাটি ঘুম তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকর।
২। শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়াতে খাবারের উপরে নজর দেওয়া কিন্তু খুব জরুরি। আপনি যদি খাওয়া-দাওয়া ঠিকভাবে করেন তাহলেই দেখবেন অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার সমস্যাই শুধু না, আরও নানা সমস্যা দূর হবে। কলা, ওটমিল, মাল্টিগ্রেন ব্রেড, কাঠবাদাম, শাক-সব্জি এবং ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার (ঘরোয়া টোটকা) রোজকার ডায়েটে যোগ করতে পারেন। (10 ways to stop oversleeping)

৩। প্রতিদিন সকালে একটা গোটা পাতিলেবুর রস এক গ্লাস উষ্ণ জলে মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দূর হয়, ক্লান্তিবোধ কমে এবং সারাদিনের কাজের জন্য এনার্জি পাওয়া যায়। আসলে লেবু এবং উষ্ণ জল আমাদের শরীরের ভিতর থেকে ময়লা ও টক্সিন দূর করে ফলে আমাদের শরীর ও মন দুই-ই থাকে ফুর্তিতে ভরপুর।
৪। একটু নড়াচড়া করুন। সারাদিন যদি ঘুম পায় আর ক্লান্তি আসে, তাহলে একটু ব্যায়ম করলে বা হাঁটাহাঁটি করলে কিন্তু শরীর ঝরঝরে লাগবে। জিমে গিয়ে যদি ব্যায়ম নাও করতে পারেন, বাড়িতেই একটু স্ট্রেচ করুন বা সিঁড়ি দিয়ে কয়েকবার ওঠানামা করুন।
৫। প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন (10 ways to stop oversleeping)। একদিন রাত দশটায় আবার অন্য দিন রাত একটায় আর তার পরের দিন আবার রাত ন’টায় – এরকম করলে আপনার শরীর বুঝতে পারবে না যে আপনার ঘুমানোর আসল সময় কোনটা। যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। না, রাত ন’টার মধ্যেই শুয়ে পড়তে বলছি না, কিন্তু চেষ্টা করুন রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে যেন আপনি বিছানায় যান।
৬। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট যাতে তিনি সারাদিন কাজ করার এনার্জি পান। মাঝে মধ্যে অবশ্য এই রুটিনের পরিবর্তন হতে পারে, তবে যদি প্রতিদিন বা বেশিরভাগ দিনই পাঁচ ঘন্টার কম ঘুমোন, তাহলে স্বাস্থ্যের উপরে কিন্তু তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
৭। সারাদিনে বেশ অনেকটা জল খান। একবারে যে এক লিটার জল ঢকঢক করে খেয়ে নেবেন তা কিন্তু নয়, সিপ করে করে জল খান এবং সারাদিনে প্রায় আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেলে ভাল। (10 ways to stop oversleeping)
৮। দিনের বেলা যখনই ঘুম পাবে, কিছু না কিছু একটা কাজ করুন। যে কাজটা করতে খুব ভাল লাগে, সেটাই করুন। কারও হয়ত ছবি আঁকতে ভাল লাগে, আবার কারও সিনেমা দেখতে তো কারও ভাল লাগে বাগান করতে। দিবানিদ্রা না দিয়ে বরং নিজের পছন্দের কাজ করুন দেখবেন সময়ও কাটবে আর অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যাও দূর হবে।
৯। রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন, তার আগে টেলিভিশন দেখা বা মোবাইল ঘাটার অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। যতই আপনি দিনের বেলা ঘুমান না কেন, রাতের ঘুম যদি ঠিকভাবে না হয়, তাহলে সারাটা দিন ক্লান্তিবোধ হয় এবং ঘুম ঘুম পায়। কাজেই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্য আর কোনও কাজ নয়।
১০। চিনির বদলে মধু খেতে পারেন। যে যে খাবার বা পানীয়ে আপনি চিনি ব্যবহার করেন, তাতে মধু দিয়ে দিন। চিনি খেতে সুস্বাদু হলেও আমাদের শরীরে টক্সিন জমা করে, ফলে সারাক্ষণ ঘুম পায়। (10 ways to stop oversleeping)
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!