চুল ভাই বড় সাধের জিনিস! একঢাল চকচকে, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল আপনার লুকটাই পাল্টে দিতে পারে অনায়াসে, তা তার লেংথ যা-ই হোক না কেন। কিন্তু চুলের দেখভাল করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। শ্যাম্পু করো, স্পা করো, তেল মালিশ করো, প্যাক লাগাও…বড্ড হাঙ্গামা। তাই আমরা বেশিরভাগই আজকাল আর খুব একটা লম্বা চুল রাখতে পছন্দ করি না। কিন্তু আমরা বলছি, এত সব না করে যদি তেল মালিশ, শ্যাম্পু আর সঠিক কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই চুলের স্বাস্থ্য ঠিকঠাক থাকবে। এই কন্ডিশনার ব্যাপারটি চুলের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তেল-শ্যাম্পুজনিত সুরক্ষা সিল করে দেয় এই কন্ডিশনার। চুলের জেল্লা তো ফেরায়ই, উপরন্তু বাইরের ধুলোবালি থেকে সরাসরি ক্ষতি হওয়ার হাত থেকেও বাঁচায়। আজ তাই আমরা নিয়ে এসেছি চুলের (Hair) স্বাস্থ্যরক্ষায় কমপ্লিট কন্ডিশনার গাইড। এখানে ১২টি কন্ডিশনারের তালিকা দিলাম আমরা। তার মধ্যে থেকে নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন সঠিক প্রোডাক্টটি। তার আগে জেনে নিন কন্ডিশনার (conditioner) ব্যবহার করার আসল নিয়মও…
হেয়ার কন্ডিশনার রকমফের ও ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
হেয়ার কন্ডিশনার জিনিসটি দেখতে সহজ হলেও, এটি অ্যাপ্লাই করার কিছু কায়দা আছে। আপনার চুলের প্রতিটি গুছিতে হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয় কন্ডিশনার। সুতরাং, প্রোডাক্ট গাইড দেখার আগে সেই সম্বন্ধে নিজের জ্ঞান পাকা করে নিন।
ADVERTISEMENT
লিভ-ইন এবং রিনস-অফ, এই দুই ধরনের কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায়। প্রথমটির ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলের জল ঝেড়ে নিয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে ফেলতে হবে। এটি আর ধোওয়ার প্রয়োজন নেই। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ভেজা চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে তা মিনিটদুয়েক রেখে তারপর আবার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কন্ডিশনার লাগাবেন চুলে, স্ক্যাল্পে নয়। যদি রিনস-অফ কন্ডিশনার ব্যবহার করেন, তা হলে তা ভাল করে ধুয়ে নেবেন, যাতে মাথার তালুতে একটুও না লেগে থাকে।
বেশি-বেশি করে কন্ডিশনার লাগালে চুল বেশি শাইনি হবে না। উল্টে প্যাতপ্যাতে হয়ে থাকবে। তাই একগাদা কন্ডিশনার লাগানোর অভ্যেস থাকলে তা বন্ধ করুন।
প্রতিবার শ্যাম্পু করার পরই কন্ডিশনার লাগাতে হবে। স্কিপ করবেন না।
শ্যাম্পুর সঙ্গে ম্যাচ করে কন্ডিশনার কিনুন। মানে, আপনার চুলে যদি অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তা হলে কন্ডিশনারও অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ হওয়া চাই। অয়েল ফ্রি শ্যাম্পু হলে চাই অয়েল ফ্রি কন্ডিশনার। মোট কথা, শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের ধরন এক হওয়া চাই।
চুলের ধরনের সঙ্গে ম্যাচ করে কন্ডিশনার কিনবেন। কেনার আগে লেবেলে কী লেখা আছে, তা পড়ে কিনুন। স্রেফ কারও কাছ থেকে শুনেছেন ওই কন্ডিশনারটি ভাল, তাই কিনে ফেলবেন না।
রিনস অফ কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে চুল ধোওয়ার পর মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে একবার আঁচড়ে, আরও একবার ধুয়ে নেবেন।
বাঙালি মেয়েদের চুলের জন্য উপযোগী সেরা ১২টি হেয়ার কন্ডিশনার
আপনাদের কাজ কিছুটা হলেও সহজ করে দিচ্ছি আমরা। বাজার খুঁজে আমরা বের করে এনেছি এমন ১২টি কন্ডিশনার, যা বাঙালি মেয়েদের জন্য এক্কেবারে পারফেক্ট। নিজের বাজেট ও চুলের ধরন অনুযায়ী এর মধ্যে থেকে সঠিক প্রোডাক্টটি বেছে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।
ADVERTISEMENT
১. POPxo Beauty কোকোনাট অ্যান্ড জোজোবা ক্রিম কন্ডিশনার
এতে আছে এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, ব্যাম্বু এক্সট্র্যাক্ট, অরগ্যানিক শিয়া বাটার। ফলে এটির নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুলের ভোল পাল্টে যেতে বাধ্য। চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে এটি চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে, চুলের প্রতিটি গুছিতে হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়, চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচায় এবং রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে
যাঁদের চুল বড্ড বেশি ভঙ্গুর, তাঁরা এই প্রোডাক্টটি নিয়মিত ব্যবহার করুন
এতে কোনওরকম ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই, ফলে এটি ১০০ শতাংশ নিরাপদ
খাদির এই কন্ডিশনারে আছে নারকেল তেল ও অ্যালো ভেরার গুণ। নারকেল তেল চুলকে পুষ্টি জুগিয়ে নরম ও জেল্লাদার করে তোলে। অ্যালো ভেরা তাকে শক্তিশালী করে।
ক্ষতিগ্রস্ত হেয়ার ফলিকলে পুষ্টি জুগিয়ে চুলকে তার হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে সক্ষম এই কন্ডিশনারটি।
যাঁদের চুল অতিরিক্ত হেয়ার স্টাইলিংয়ের ফলে কিংবা বারবার কৃত্রিম রং করানোর কারণে নির্জীব হয়ে গিয়েছে, তাঁরা চুলের জেল্লা ফেরাতে খাদি মৌরি শ্যাম্পুর সঙ্গে ব্যবহার করুন এই কন্ডিশনারটি
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!