আজকাল মানুষের জীবনে স্ট্রেসের মাত্রা আর কাজের প্রেশার এতটাই বেড়ে গেছে একেক সময়ে মনে হয় সেখান থেকে একটু ব্রেক নিলে ভালো হয়। কিন্তু সবসময়ে সেটা সম্ভব হয় না। এই স্ট্রেসের প্রভাব আমাদের মস্তিষ্কেও পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কিন্তু যোগব্যায়াম আপনাকে সাহায্য করতে পারে! আমরা সবাই জানি যে বহুকাল ধরেই শরীর সুস্থ রাখার জন্য যোগব্যায়ামের প্রয়োগ হয়ে আসছে। কিন্তু মন সুস্থ রাখার জন্যও কি যোগব্যায়াম তততাই কার্যকরী? এর উত্তর হ্যাঁ! কি কি যোগব্যায়াম করলে আপনার মস্তিষ্ক স্ট্রেসমুক্ত হবে এবং আপনার কনসেন্ট্রেশন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে সে ব্যাপারেই আজ কথা বলব –
যদি আমাদের কনসেন্ট্রেশন ক্ষমতা কমতে থাকে তাহলে কাজে ভুল হবেই আর কাজে ভুল হলে স্ট্রেসের মাত্রাও বাড়বে – এটা সত্য। তাহলে উপায়? দুটো যোগব্যায়ামের সম্বন্ধে এখানে বলা হল, ট্রাই করে দেখতে পারেন, আশা করি সুফল পাবেন –
যারা সবে যোগব্যায়াম করতে আরম্ভ করেছেন তাঁদের জন্যই এই আসন। এই আসন করার সময়ে যেহেতু সারা শরীরেই স্ট্রেচিং হয় ফলে শরীরের শিথিলতা দূর হয় এবং মস্তিকেও তার প্রভাব পড়ে। স্নায়ুতন্ত্র শান্ত করতে এবং শরীরের স্ট্যামিনা বাড়াতে এই আসন অত্যন্ত কার্যকরী।
দুহাত দুপাশে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবারে ধীরে ধীরে আপনার বাঁ পা ভাঁজ করে ডান পায়ের হাঁটুর পেছনে নিয়ে আসুন, সেই সাথেই হাত দুটোকে মাথার ওপরে তুলে দিন এমনভাবে যেন আপনি কাউকে নমস্কার করছেন। এইভাবে ২০ পর্যন্ত গুনে ধীরে ধীরে আবার পুরনো পোজে ফিরে আসুন। ঠিক এভাবেই ডান পায়েও এই আসন করুন। মনে রাখবেন যখন হাত ওপরে তুলছেন যেন আপারবডি অর্থাৎ শরীরের ওপরের অংশে স্ট্রেচিং হয়। এভাবে ৪-৫ বার করুন, দেখবেন ধীরে ধীরে কনসেন্ট্রেশন বাড়ছে।
প্রিকশান – যারা হাইপারটেনশনের রুগি তারা এই আসন করার সময়ে হাত ওপরে তুলবেন না, তার বদলে সামনের দিকে স্ট্রেচ করুন অথবা বুকের কাছে জোরা করে রাখুন।
এই আসনটিও তাঁদের জন্য যারা সবে যোগব্যায়াম করতে আরম্ভ করেছেন। শরীরের ব্যালান্স ঠিক রাখার জন্য এবং পায়ের মাংসপেশি মজবুত করতে গরুড়াসন অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও নার্ভ শান্ত করতে এবং কনসেন্ট্রেশন বাড়াতে আপনি এই আসনটি করতে পারেন। আপনার যদি হাপানির সমস্যা থাকে তাহলেও আপনি এই আসনটি করলে উপকার পাবেন।
হাত দুপাশে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। বাঁ হাঁটু অল্প বেন্ড করুন এবং ডান পা দিয়ে বাঁ পা-টিকে পেঁচিয়ে নিন। এমনভাবে করবেন যাতে ডান পায়ের পাতা বাঁ পায়ের গোড়ালি ছুঁয়ে যায়। এবারে দুহাত ওপরে তুলে (কাঁধ পর্যন্ত) ডান হাত দিয়ে বাঁ হাত পেঁচিয়ে ধরুন। খেয়াল রাখবেন যেন দুহাতের কনুই সোজা থাকে। ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড এই পজিশনে থেকে অন্য পা এবং হাতের সাহায্যে আবার এই আসনটি করুন।
প্রিকশান – প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য এই আসনটি উপযুক্ত নয়। যাঁদের কনুই, হাঁটু বা গোড়ালিতে সমস্যা আছে বা কখনও হাড় ভেঙ্গেছে তারাও এই আসনটি করবেন না।
ছবি সৌজন্যেঃ ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!