বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাছাড়া, আমাদের এখন যা জীবনযাত্রা, সেখানে অসুখে পড়তে বয়সটা খুব একটা ম্যাটারও করে না। বয়স ২৫ পেরলেই নানা রোগব্যাধি এসে শরীরে বাসা বাঁধে। চারদিকের দূষণ, খাবারে ভেজাল, অনিদ্রা, ধকল, কাজের চাপ এবং মানসিক উদ্বেগ – যে-কোনও মহিলার শরীরকে ভিতর থেকে বেশ দুর্বল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। (3 important medical tests for women after 25)
কাজেই, পঁচিশ বছর বয়স হয়ে গেলে প্রত্যেক মহিলার উচিত, বছরে অন্তত একবার করে কিছু কিছু বিষয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। পঁচিশ বছর বয়সের পর মাঝেমধ্যে কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই করানো প্রয়োজন, সে বিষয়ে একটি তালিকা দেওয়া হল; সঙ্গে এও জানানো হল যে ঠিক কী কারণে প্রতিটি মহিলার এই মেডিক্যাল টেস্টগুলো করানো প্রয়োজন।
ম্যামোগ্রাম

অনেকসময়েই এমন হয় যে মহিলাদের স্তনে একটি ছোট্ট লাম্প বা ফোলাভাব দেখা যায়। বেশিরভাগ মহিলাই অবশ্য প্রথমেই এই ছোট লাম্পটিকে পাত্তা দেন না, কিন্তু এই গাফিলতির কারণে যদি কোনও সময়ে এই ছোট্ট লাম্পটিই বড় আকার ধারণ করে এবং তা স্তনের ক্যান্সারে পরিণত হয়, তাহলে কিন্তু হাত কামড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। অনেকসময়েই স্তনের ফোলাভাবটি কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট হয়। কাজেই যদি কখনও স্তনে ব্যথা হয় বা কোনও অবাঞ্ছিত অংশ বা মাংসপিন্ড দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিন এবং ম্যামোগ্রাম টেস্ট করিয়ে নিন। (3 important medical tests for women after 25)
চোখের চেক আপ
আপনি চশমা পরলে তো অবশ্যই মাঝে মাঝে আপনার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করানো প্রয়োজন, কিন্তু যদি চশমা নাও পরেন, সেক্ষেত্রেও বছরে একবার করে চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। অনেকসময়ে আমাদের চোখে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে আবার অনেক সময়েই অন্যান্য কোনও সমস্যা। বয়স ২৫ পেরলে ছানির সমস্যা না হলেও, পরবর্তীকালেও যাতে আপনার চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া কিন্তু আপনারই দায়িত্ব। এখন আমাদের বেশিরভাগ সময়টাই কাটে ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখে কাজেই বুঝতেই পারছেন, চোখের উপরে কতটা চাপ পড়ছে!
ব্লাড সুগার টেস্ট

অনেক মহিলারই রক্তে শর্করার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকে এবং তখন তাকে বলা হয় ডায়েবেটিক। এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাটি করার আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা কিছু খাওয়া যায় না, কাজেই ভোরবেলা এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। সাধারণত
- ৯৯-এর নীচে যদি নম্বর থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে চিন্তার কোনও কারণ নেই,
- ১০০-১১০ হলে তাকে বলা যেতে পারে প্রি-ডায়েবেটিক অর্থাৎ ১১০-এর নীচে নম্বর নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন তা না হলে মধুমেহ রোগের আশঙ্কা রয়েছে;
- আর ১১০-এর বেশি কাউন্ট হলে চিকিৎসকের পরমরশ অনুযায়ী চলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
যদি আপনার কাউন্ট ১১০-এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন প্রতি তিন মাসে একবার করে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে, আর যদি কাউন্ট ৯৯-এর নীচে থাকে তাহলে বছরে একবার করে মেডিক্যাল টেস্ট করালেই চলে। (3 important medical tests for women after 25)
কতদিন অন্তর এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করানো উচিত?
আপনার বয়স, ওজন, পারিবারিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস, শারীরিক সমস্যা ইত্যাদির উপরে নির্ভর করছে যে আপনি কতদিন অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবানে। যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত। সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে বছরে একবার করে অবশ্যই প্রতিটি মহিলার উচিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চেক আপ করানো।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!