বাঙালি সংস্কৃতির (bengali culture) অনেকখানি জুড়েই সিনেমা (cinema) রয়েছে. শুধুমাত্র অন্য ধারার সিনেমা (cinema) নয়, বাণিজ্যিক ছবির অবদানও কিন্তু কম নেই, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে (bengali film industry). সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃনাল সেন, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তরুণ মজুমদার – এই নামগুলোর সাথে মোটামুটি গোটা পৃথিবী পরিচিত. কিন্তু শুধু এঁরা নন, নতুন এমন অনেক পরিচালক (film director) রয়েছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে (bengali film industry) যাঁরা বাংলা সিনেমাকে (bengali cinema) অন্য একটা মাত্রা দিয়েছেন. শুধুমাত্র যে একটা সামাজিক বার্তা দিয়ে চলেছেন তাঁরা তাদের সিনেমার (bengali cinema) মধ্যে দিয়ে তাই নয়, নানা শ্রেণীর দর্শকও এই সিনেমাগুলিকে যথেষ্ট পছন্দ করেছেন এবং নিজেদের সাথে মেলাতেও পেরেছেন. আজ এমন ৩টি নতুন যুগের সিনেমা (new age bengali cinema) নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো বাংলা সিনেমাকে একটা অন্য পর্যায়ে তো নিয়ে গেছেই, তার সাথে আপামর দর্শকের মনেও জায়গা করে নিয়েছে. আপনি যদি এখনো অবধি এই সিনেমাগুলি (cinema) না দেখে থাকেন, তাহলে আজি দেখে নিন.
দেখে নিনঃ ইউটিউবে এই ৩০টা শর্ট ফিল্ম
১. শব্দ (পরিচালক – কৌশিক গাঙ্গুলি)
যাঁরা সিনেমায় কাজ করেন তাদের কাছে “ফলি আর্টিস্ট” শব্দটা খুব একটা অচেনা নয় কিন্তু যাঁরা জানেন না তাদের বলি, ফলি আর্টিস্টের কাজ হলো সিনেমার (cinema) বিভিন্ন আওয়াজ গুলিকে আবার থেকে তৈরী করা. এই সিনেমার গল্প এমন একজন ফলি আর্টিস্টকে নিয়ে, যিনি নিজের কাজের প্রতি এতটাই মগ্ন যে তার মধ্যে সিনেমার জগৎ এবং বাস্তবের ক্ষীণ রেখাটা মুছে গেছে; এবং তার ফলে তার জীবনে, পরিবারে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তাকে কি কি অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয় – এভাবেই গল্প এগিয়ে চলে. তার জীবনের সমস্যাগুলিকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার জন্য পরিচালক (film director) কৌশিক গাঙ্গুলি এই সিনেমাতে কোনো আবহ রাখেননি, সবটাই ফলির মাধ্যমে করা হয়েছে.
২. ক্ষত (পরিচালক – কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়)
পরিচালক (film director) কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়-এর ক্ষত একটি “Erotic Thriller” যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ঔপন্যাসিক নির্বেদ লাহিড়ী, যিনি জটিল এবং ভিন্ন ধারার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত. কিভাবে তিনি নিজের এক পরিচিত বিবাহিতা মহিলার সাথে একটা জটিল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, কিভাবে তার নিজের এবং সেই মহিলার পরিবার ছারখার হয়ে যায় এবং নির্বেদ লাহিড়ীর কি ভয়ঙ্কর পরিণতি হয় সে নিয়েই সিনেমার (bengali cinema) গল্প এগিয়ে চলে. স্বনামধন্য অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি তার অসামান্য অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নির্বেদের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন. অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন পাওলি দাম, রাইমা সেন, রাহুল ব্যানার্জি, ত্রিধা প্রমুখ. এই সিনেমাটি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (bengali film industry) প্রথম Erotic Thriller.
৩. গয়নার বাক্স (পরিচালক – অপর্ণা সেন)
অপর্ণা সেন সম্পর্কে আলাদা করে বলার কিছুই নেই, যেমন তার অভিনয় দক্ষতা সেরকমই তার পরিচালনা ক্ষমতা! তার পরিচালিত এই সিনেমাটিকে (bengali cinema) ঠিক একটা ঘরানায় ফেলা যায় না, কারণ গয়নার বাক্স-য় কমেডি আছে, নাটকীয় মুহূর্ত আছে, মিষ্টি সম্পর্কের বুনন আছে আবার ভূতও আছে. সোমলতা এবং তার পিসি-শাশুড়ির (যিনি ভূত) অম্ল-মধুর সমর্কের কাহিনী হলো গয়নার বাক্স. কাহিনীর পটভূমি সদ্য বিভক্ত হওয়া ভারত-বাংলাদেশ, যেখানে অল্প বয়সী মেয়েদের কুলীন প্রথার বলি হতে হতো. এরকমই কুলীন প্রথার একজন বলি হলেন পিসিমা, যার স্ত্রীধন বলতে ছিল একটা গয়নার বাক্স যাতে ১০০ ভরি গয়না রাখা থাকতো. এই গয়না ছিল তার প্রাণ এবং মৃত্যুর পরেও তিনি যখের মতো সেই ধন পাহারা দিচ্চিলেন যতদিন না পর্যন্ত সোমলতাকে তার গয়নার বাক্সের দায়িত্ব সপেঁ দিতে পারলেন. কিন্তু গল্পের ভেতরেও তো গল্প থাকে, আর অপর্ণা সেন সেই গল্পকেই তুলে ধরেছেন দর্শকের কাছে, তার এই সিনেমার (cinema) মধ্যে দিয়ে. ভারত-বাংলাদেশ ভাগ হবার ফলে ঘরছাড়া মানুষের কষ্ট, স্ট্রাগল সবই রয়েছে অপর্ণা সেনের এই মাস্টারপিসে.
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
২০১৯ এর সেরা বাংলা সিনেমা গুলো কিন্তু দেখতেই হবে