সম্পূর্ণ ব্য়ক্তিগত একটা অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে শুরু করা যাক। বিয়ের পর প্রথম চার বছর আমি শ্বশুর-শাশুড়ির (in-law) সঙ্গে ছিলাম। এমনিতে কোনও অসুবিধেই ছিল না, আমাকে ওঁরা খুবই ভালবাসতেন, সবকিছুই ঠিকঠাকই ছিল, শুধু একটা বিষয় ছাড়া…স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে যেরকম সম্পর্ক থাকা উচিত ছিল, সেটা কোনও অজ্ঞাত কারণে আমাদের মধ্য়ে কিছুতেই গড়ে উঠছিল না। একটু বুঝিয়ে বলি। কখন, কোথায় আমরা একটু অন্তরঙ্গ হব, সেটা সবসময়েই প্ল্যান করে চলতে হত আর কী। পাছে কেউ এসে যায়, পাছে কেউ দেখে ফেলে, এই ভয়টা সারাক্ষণ আমাদের মাথায় ঘুরত, ফলে আমাদের জীবন থেকে স্পাইসি ব্যাপারটাই চলে গিয়েছিল। যদিও এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বললাম, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, অনেকেই এই ব্য়াপারে আমার সঙ্গে একমত হবেন। আপনি শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেই থাকুন বা ভাশুর, দেওর, জা, ননদকে নিয়ে, এটা তো ঠিক যে, যৌথ পরিবারে থাকলে সেক্স লাইফে (sex life) সেই মজাটা বা সেই স্বাধীনতাও থাকে না যেটা স্বামী-স্ত্রী একা থাকলে থাকে! এটা শুধু আমার মতই নয়, আরও তিনজন মহিলার অভিজ্ঞতাও অনেকটা আমারই মতো। চলুন দেখে নিই, তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন!
১। “আমি কখনওই সেক্সি লঁজেরি পরতে পারিনি”
আমাদের ভালবেসে বিয়ে। বিয়ের আগে টানা দু’বছর চুটিয়ে প্রেম করেছি আর সেই সময় আমাদের শারীরিক সম্পর্কেও কোনও সমস্যা ছিল না, উত্তেজনারও কোনও অভাব ছিল না। মোটামুটি সব রকম পজিশনও ট্রাই করে ফেলেছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সব কেমন যেন পাল্টে যেতে লাগল। বছরখানেক হল আমাদের বিয়ে হয়েছে। অনেক সময়ই ভাবি যে, যখন আমার স্বামী অফিস থেকে ফিরবে, ওর সামনে একটা সেক্সি বেবিডল পরে যাব, ও দেখে খুশি হয়ে যাবে! কিন্তু সেটা আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, তার একমাত্র কারণ আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকি। ইশশশ…মাঝে-মাঝে ভাবি, যদি এরকম হত যে ওঁরা কোথাও বেশ কিছুদিনের জন্য বেড়াতে গেছেন…
২। বাড়িতে নয়, বাইরে বেড়াতে গেলে তবেই…
দেখুন, শ্বশুরবাড়িতে একগাদা লোকজনের সঙ্গে থাকলে যে সেক্স লাইফে কোনও মুখরোচক ব্য়াপার থাকবে না, সেটা তো জানা কথা! উত্তেজনা কোথায়, উল্টে সারাক্ষণ সতর্ক থাকতে হয় যাতে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ভুলবশত বেশি আওয়াজ না হয়। তা ছাড়া সকলে ঘুমিয়ে পড়লে তবে আমরা দরজা বন্ধ করতে পারি। ভাবুন একবার! আর নিজের শোওয়ার ঘর বাদ দিয়ে অন্য কোথাও যে একটু এক্সপেরিমেন্ট করব, সেই উপায়ও নেই। এভাবে বেশ কিছুদিন কাটার পর আমরা ঠিক করলাম যে, প্রতি সপ্তাহের শেষে ছুটি কাটাতে যাব, সেখানে তো আর কেউ সঙ্গে যাবে না। এখন সেটাই করি। সত্যি কথা বলতে কি, বেড়াতে গিয়েই এখন আমাদের মধুর মিলন হয়।
৩। বলা নেই, কওয়া নেই, শাশুড়িমা হাজির
আমাদের পরিবারে চারজন সদস্য়; আমি, আমার স্বামী আর শ্বশুর-শাশুড়ি। সেদিন ছিল শুক্রবার। শুক্রবার রাতে আমরা দুজনে একটা করে সিনেমা দেখি…বাড়িতেই, যেহেতু পরদিন সকাল-সকাল ঘুম থেকে ওঠার তাড়া থাকে না। সেদিনও সেরকমই প্ল্যান ছিল। আমরা সাধারণত শোওয়ার ঘরের দরজা বন্ধ করেই সিনেমা দেখি। কিন্তু সেদিন কোনও কারণে সেটা ভুলে গিয়েছিলাম। শ্বশুর-শাশুড়ি রাতের খাওয়া সেরে শুয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের ঘরের দরজাও বন্ধ ছিল। সিনেমা দেখতে-দেখতে পিপাসা পাওয়ায় রান্নাঘরে গিয়েছিলাম জল আনতে। আমার স্বামী যে কখন আমার পিছন-পিছন চলে এসেছেন, খেয়ালও করিনি। দুজনেই একটু ড্রাঙ্ক ছিলাম, নিজেদের সামলাতে না পেরে রান্নাঘরেই পরস্পরকে আদর করতে শুরু করেছিলাম। টনক নড়ল এক জোড়া বিস্ফারিত চোখ দেখে। দেখি, শাশুড়িমা কখন কোনও কারণে রান্নাঘরে এসেছেন আর বিস্ফারিত চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। সে এক বিশ্রী ব্যাপার! তারপর বেশ অনেকদিন আমরা ওঁর সঙ্গে সহজ হতে পারিনি।
উপরের ঘটনাগুলো থেকে একটা কথা পরিষ্কার। যৌথ পরিবারে থাকতে গেলে অন্তরঙ্গ হতে হবে ভারী হিসেব করে, মাথা খাটিয়ে। হ্য়াঁ, তাতে একটু অসুবিধে আছে, ঝুঁকিও আছে, মাঝে-মাঝে বিরক্তও লাগতে পারে, তবে কষ্ট করে পাওয়া জিনিস ভারী মিঠেও হয় কিন্তু…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!