‘কুচি কুচি করে কেটে শসা, বেসন দুধেতে নিন গুলে, ফিরে যাবে চামড়ার দশা, রাত্রে লাগিয়ে গালে শুলে… ত্বকের যত্ন নিন…’ ত্বকের যত্ন (skin care) নেওয়ার এ হেন গাইড ‘চন্দ্রবিন্দু’ ব্যান্ডের সদস্যরা বহুদিন আগেই দিয়েছেন। আপনি কি ফলো করেন? এত দিন যদি না-ও করে থাকেন, এবার সময় এসে গিয়েছে। কারণ, পুজোর (puja) আর বাকি মাত্র একটা মাস। এই সময়ই তো চাই আসল জেল্লা। বছরভর তো এই চারটে দিনের জন্যই অপেক্ষা বাঙালির। তাই মাঞ্জা না দিলে হয় বলুন? তবে শসা কেটে, তাতে বেসন গোলার রুটিন আপনি ফলো না-ও করতে পারেন। কিন্তু আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী কীভাবে এই মাসখানেক ধরে তার যত্ন নেবেন, সেটা জেনে নেওয়া জরুরি। দেখে নেওয়া যাক. এক নজরে আগামী ৩০ দিন আপনার ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন।
বছরভর চর্চা
দেখুন, একটা কথা প্রথমেই বলে রাখা ভাল, যাঁরা বছরভর ত্বকের চর্চা করেন, যত্ন নেন, তাঁদের আলাদা করে আগামী ৩০দিনের জন্য নতুন কোনও রুটিন ফলো করতে হবে না। কারণ, তাঁদের ত্বক এমনিতেই পরিচর্যার মধ্যে রয়েছে। বরং যাঁদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার অভ্যেস নেই, অথবা চর্চা করার সময় পান না, তাঁদের ক্ষেত্রে আগামী এক মাস খুব জরুরি। বেসিক কিছু নিয়ম মানলেই চলবে।
ক্লেনজিং
প্রপার ক্লেনজিং ত্বকের পরিচর্চার গোড়ার কথা। সারা বছরই এটা ফলো করলে ভাল হয়। কারণ, যাঁরা বাইরে বেরোন, তাঁদের ত্বকে পুরু ময়লা জমতে বাধ্য। বাড়িতে থাকলেও পারিপার্শ্বিক ধুলো, ঘাম জমে ত্বকে। যার ফলে অনেক সময় ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। তাই আগামী এক মাস নিয়ম মেনে ক্লেনজিং করুন। দিনে অন্তত দু’বার নিম বা তুলসির কোনও প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
টোনিং
ক্লেনজিংয়ের পরেই জরুরি টোনিং। বাজারচলতি ভাল টোনিং আপনি কিনে নিতেই পারেন। তবে পছন্দমতো টোনার বাড়িতেও তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। নিম, তুলসি বেটে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রত্যেকবার ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়ার পর ওই জলটাই টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনি বড্ড আলসে হন, তা হলে বাজার থেকে কিনে ফেলুন কোনও প্রাকৃতিক টোনার।
ময়শ্চারাইজিং
ত্বকের নারিশমেন্ট খুব জরুরি। কখনও যেন ত্বক খালি না থাকে। টোনিংয়ে ত্বকে সামান্য ভেজা ভাব আসে ঠিকই। কিন্তু সেটাই শেষ নয়। এর পর ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আপনার ত্বক ত্বৈলাক্ত হোক বা শুষ্ক অথবা মাঝারি ধরনের, এই তিনটি কাজ সব সময়ই ত্বকচর্চার মূল কথা। ফলে আর কিছু না করলেও ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিংয়ের প্রাথমিক নিয়ম আগামী ৩০ দিন আপনাকে ফলো করতেই হবে।
ডি-ট্যান
রোদে পুড়ে ত্বকে অনেক সময় একটা কালো ছোপ পড়ে যায়। মাত্র একমাসে তা তুলে ফেলার জন্য সবচেয়ে উপকারি হল ফেসপ্যাক। সম পরিমাণে টোম্যাটো, পেঁপে, আঙুর মিক্সিতে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু যোগ করে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন। প্রতিদিন ক্লেনজিংয়ের পর এই প্যাক ২০ মিনিট লাগিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ডি-ট্যানের কাজ করবে।
উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য
ব্রণ সহ ত্বকের নানাবিধ দাগ দূর করতে শসা এবং দুধের প্যাক খুব কার্যকর। শসার রসে দু’ফোঁটা দুধ মিশিয়ে নিন। সামান্য লেবুর রস যোগ করে তৈরি করুন ফেসপ্যাক। এটি সারা শরীরেও লাগাতে পারেন। প্রতিদিন ১০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিলেই ধীরে-ধীরে মিলিয়ে যাবে ত্বকের কালো দাগ।
অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট
পুজোর আগে ত্বকের বলিরেখা কমানো অনেকের কাছে প্রায়োরিটি। পেঁয়াজ ঘষে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। আলাদা পাত্রে ডিম ভেঙে নিয়ে সাদা অংশটি আলাদা করে রাখুন। এবার ওই মিশ্রণটি ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন। তবে এই প্যাক লাগিয়ে কথা বলবেন না। মুখের পেশির নড়াচড়া যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
এ তো গেল আপনার পুজোর আগের ত্বকচর্চার রুটিন। কিন্তু যে তিনটি জিনিস না করলে সব পরিশ্রম বিফলে যাবে, তা হল…
১) বাড়ির বাইরে বেরনোর অন্তত আধঘণ্টা আগে ভাল এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।
২) যত ক্লান্তই থাকুন না কেন, শুতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে নেবেন।
৩) আগামী একমাস প্রচুর শাকসবজি মেনুতে রাখুন। পরিমাণমতো জল খাওয়াটাও জরুরি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!