আমরা যখন বাঁদর থেকে হমো-সেপিয়ান্স হলাম, তখন সারা দিন দৌড়ে বেরাতাম জঙ্গলের এদিক সেদিকে। শিকার করতাম বন্য় প্রাণী। লাফিয়ে-ঝাপিয়ে ফলমূল খেতেও বেশ লাগতো। কিন্তু যখনই বিবর্তনের পাল্লায় পরে আমরা হয়ে উঠলাম সামাজিক প্রাণী, তখনই গেল সব বদলে। (30 minutes daily workout)
কব্জি ডুবিয়ে ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেয়ে, খিলে পানটা মুখে দিয়ে শুরু হল আমাদের অফিস যাওয়া। আর সেই সঙ্গে সারাদিন দৌড়ানোর জায়গায় সঙ্গী হল দিবারাত্র চেয়ারে বসে কর্মজীবনের ঘানি টানা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর যে কাজের জন্য তৈরি ছিল না, তার করতে করতে এক সময় ঘাড়ে চেপে বসলো হাজারো রোগ-ব্যাধি, এমনকি তাতে জায়গা করে নিলো হার্টের রোগের মতো মারণ ডিজিজও।
প্রসঙ্গত, এই দাবিটা যে একেবারেই ভুল নয়, তার প্রমাণ মেলে ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত হাওয়া একটি সমীক্ষা রিপোর্টের দিকে নজর ফেরালেই। এই স্টাডিটি চলাকালীন প্রায় ৩.৩ মিলিয়ান লিপিড প্রোফাইল টেস্টকে বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে আমাদের দেশের মোট মহিলা জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশই নানাবিধ হার্ট জিজিজ, নয়তো হাই কোলেস্টেরলের মতো রোগের শিকার।
এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে তাই পুনরায় আদি মানবের মতো জীবনযাপন করার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই! কিন্তু এমনটা করা তো আর আজকের দিনে সম্ভব নয়। তাই শরীরকে চাঙ্গা রাখতে, বিশেষত হার্টকে, নিয়মিত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা মাস্ট! তবে শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিম নয়, বরং ৩০ মিনিট হাঁটলে বা দৌড়ালেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়। (30 minutes daily workout)
মেদ ঝরে হবেন ঝরঝরে
ভুঁড়ি বাড়লে শরীরটাও যে আর চাঙ্গা থাকবে না, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না! তাই তো বলি বন্ধু, ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মধ্যে দিয়ে যদি শরীরের ক্ষমতা বাড়াতে হয়, তাহলে এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আর যদি নিয়মিত ৩০ মিনিট করতে পারো, তাহলে তো কথাই নেই!
স্মৃতিশক্তি বাড়বে সিধু জ্যাঠার মত
প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে বা দৌড়ালে মস্তিষ্কের হিমোকম্পাস নামক অঞ্চলে ব্রেন সেলের উৎপাদন বেড়ে যায়, যে কারণে ব্রেন পাওয়ার এতটাই বৃদ্ধি পায় যে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে বুদ্ধি এবং মনোযোগ ক্ষমতাও বাড়ে চোখে পরার মতো।
হার্ট থাকবে চনমনে
একাধিক গবেষণার পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে নিয়মিত অল্প বিস্তর শরীরচর্চা করলে স্ট্রোক, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, মেটাবলিক সিনড্রম, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। সেই সঙ্গে সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে দেহের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো, বাদ পরে না হার্টও (30 minutes daily workout)
স্ট্রেস নিজেই বিদায় নেবে
চিকিৎকেদের মতে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে যে যে জটিল রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে, তার প্রায় সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের যোগ রয়েছে। তাই তো মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তাকে “সাইলেন্ট কিলার” হিসেবে গণ্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর আজকের কর্পোরেট লাইফে তোমরাও যে স্ট্রেস মুক্ত নয়, তা তো বলাই বাহুল্য। এই কারণেই তো বলি, এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে হলে এক্সারসাইজ করা মাস্ট! কারণ এমনটা করলে শরীরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেসের মাত্রা কমতে সময় লাগে না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!