দেবযানীর চোখের নীচে হাল্কা কালো দাগটা প্রথম আবিষ্কার করল রিনি। দেবযানী এড়িয়ে গেলেও রিনি জানে ওটা কালশিটের দাগ। দীর্ঘদিন ধরে সৌম্যর সঙ্গে সম্পর্কে আছে দেবযানী। কিন্তু সেই সম্পর্কে এখন আর প্রেমের ছিটেফোঁটাও (4 prominent signs of dying relationship) অবশিষ্ট নেই। আছে শুধু একরাশ বিরক্তি, অপমান আর অহেতুক সন্দেহ। তবু সমাজের ভয়ে আর কী যেন একটা অদ্ভুত টানে কিছুতেই ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিল না দেবযানী। বন্ধুর পাশে দাঁড়াল সহকর্মী রিনি। দেবযানীকে বোঝাল একটা ভাঙা সম্পর্ক বয়ে বেড়াবার কোনও মানে হয় না। মাঝে মাঝে নিজের ভবিষ্যৎ এবং নিজের জীবনের কথা ভেবে কিছু সম্পর্ক শেষ করে (4 prominent signs of dying relationship) সেখান থেকে বেরিয়েও আসতে হয়। রিনির সাহচর্যে অবশেষে সাহস সঞ্চয় করে দেবযানী সৌম্যকে বলল ‘না’ আর নয়।
সম্পর্কটা যে মরে গেছে – কিভাবে বুঝবেন
যে-কোনও সম্পর্কই যখন আমরা শুরু করি, অনেকটা আশা, একরাশ স্বপ্ন আর একে-অন্যের প্রতি ভরসা নিয়েই শুরু করি। কিন্তু কিছুদিন পর সম্পর্কে একঘেয়েমি আসতে পারে। সম্পর্কে একঘেয়েমি আসা মানেই কিন্তু সম্পর্কটা জাস্ট মরে গেছে তা নয়। আপনাদের দু’জনের সম্পর্কে যে আর ছিটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই, তার বেশ কিছু লক্ষণ (4 prominent signs of dying relationship) কিন্তু বেশ আগে থেকেই বোঝা যায়। যেমন –
১। প্রতিটি বিষয়ে কৈফেয়ত চাওয়া
হতে পারে আপনি আপনার প্রেমিককে অসম্ভব ভালোবাসেন। সেটা কোনও দোষের নয়। কিন্তু নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসা মানে নিজেকে অপমান করা। আপনার জীবনে তিনি পরে এসেছেন। তার আগে আপনার জীবনে বাবা মা, ভাই বোন ও আত্মীয় বন্ধুরা আছে। আপনি একটা সম্পর্কে আছেন মানে এই নয় যে আপনাকে প্রতিদিনের দিনলিপির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা আপনার প্রেমিককে দিতে হবে। আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গেও সিনেমা দেখতে যেতে পারেন আবার বাবা মার সঙ্গে ডিনার খেতেও যেতে পারেন। সেই স্বাধীনতা আপনার অবশ্যই আছে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে যদি আপনাকে বয়ফ্রেন্ডেকে কৈফিয়ত দিতে হয় তাহলে সেটা একেবারেই কাম্য নয়। কারও মেয়ে, মা, বোন বা প্রেমিকা হওয়ার আগে আপনি একজন আলাদা ব্যক্তি। যার নিজস্ব কিছু চাওয়া পাওয়া আছে। এটুকুর সম্মান যদি আপনার প্রেমিক আপনাকে না দেয় তাহলে এবার ইতি টানুন সম্পর্কে।
২। সব সময়েই ঝগড়া হওয়া
টুকটাক মনোমালিন্য সব সম্পর্কেই থাকে। একটু আধটু কথা কাটাকাটিও হতে পারে। তবে সেটা যদি প্রতিদিন হয় এবং সবচেয়ে বড় কথা হল যদি সেটা সবার সামনে হয় তাহলে সাবধান। বিশেষ করে রাস্তাঘাটে, রেস্তরাঁয়, লোকজনের সামনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনার সঙ্গে ঝগড়া করে বা আপনাকে হ্যারাস করে আনন্দ পায় (4 prominent signs of dying relationship) তাহলে বুঝতে হবে এবার আপনার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
৩। অকারণ সন্দেহপ্রবণতা
আপনার ফোন, আপনার সাইড ব্যাগ, ল্যাপটপ, পার্স বা সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড এগুলো সবই একান্তই আপনার ব্যক্তিগত। এছাড়াও আপনার কোন বান্ধবীর সঙ্গে আপনি ফোনে বা চ্যাটে কী কথা বলছেন সেটাও অবশ্যই ব্যক্তিগত। আপনার প্রেমিকের বাইরেও আপনার পুরুষবন্ধু থাকতেই পারে। এটা আপনার ব্যক্তিগত বৃত্ত। আপনি প্রেমিককে ঠিক কতটা জানাবেন সেটা আপনার বিষয় তার বাইরে তিনি যদি আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করেন, আপনাকে ফলো করেন বা আপনার ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করেন এবং সব সময় সন্দেহ করেন তাহলে আর না। বেরিয়ে আসুন এই অপমানের সম্পর্ক থেকে।
৪। মারামারি হওয়া
হতে পারে আপনার প্রেমিক একটু মাথা গরম বেশি করেন বা একটু বদমেজাজি স্বভাবের। তার মানে এই নয় যে তিনি যখন তখন আপনার গায়ে হাত তুলবেন। ছোটখাট ঝগড়া যদি হাতাহাতিতে পৌঁছে যায় এবং তার ফল স্বরূপ দেবযানীর মতো আপনার চোখের তলায় কালশিটে পড়ে বা আপনার হাতটা যদি কেউ মুচকে দেয় তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি এবার এই সম্পর্ক (4 prominent signs of dying relationship) শেষ করুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!