খুবই কঠিন প্রশ্ন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! হিংসে (jealous) ব্যাপারটা ভারী খারাপ এবং বিশ্রী। সেই কবে সুকুমার রায়ও লিখে গিয়েছেন যে, হিংসুটি আসলে সকলের মনের মধ্যেই থাকে। আমরা তাকে কতটা যত্নআত্তি করে তার গায়ে গত্তি লাগাতে দিচ্ছি, সেকথা আলাদা!
আপনি যদি একটু বেশিই সাফল্য (success) পেতে শুরু করেন, তা সে বউমা হিসেবেই হোক কিংবা কেরিয়ারে, ঘরেই সকলে আপনার প্রশংসা করুক কিংবা বাইরেই আপনি তারিফ কুড়োন, আর তা যদি আপনার পার্টনারের (partner) মনে হীনম্মন্যতা তৈরি করে, তা হলে তো সব্বোনাশ! তিনি আপনাকে ধীরে-ধীরে হিংসে করতে শুরু করবেন, তারপর সেখান থেকে শুরু হবে মন কষাকষি আর সেই জল যে শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়াবে, তা আপনিও জানেন না, তিনিও না!
তাই গোড়া থেকেই খেয়াল রাখুন, সেরকম কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কিনা। যদি বিন্দুমাত্রও আঁচ পান, তা হলে গোড়া থেকেই সেই হিংসের ধিকিধিকি আগুন নিভিয়ে দিন ভালবাসা ও সমঝদারির জল দিয়ে!
আপনার পার্টনার আপনাকে হিংসে করেন কি না কীভাবে বুঝবেন

এখন এই পার্টনার প্রেমিকও হতে পারেন আবার স্বামীও! দুই ক্ষেত্রেই হিংসের গতিপথ কিন্তু একরকম ভাবেই এগোবে। এখানে আমরা কিছু ব্যবহারের কথা বলছি, সেগুলো যদি দেখতে পান আপনার পার্টনারের মধ্যে, তা হলেই বুঝবেন দাল মেঁ জরুর কুছ কালা হ্যায়!
আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত প্রচেস্টা
এত দিন আপনার পার্টনার আপনার সব ব্যাপারে সোৎসাহে পাশে থাকতেন, তা সে নতুনভাবে ঘর সাজানোই হোক কিংবা নতুন কেরিয়ার চয়েস। যদি দেখেন, হঠাৎ করেই তাঁর উৎসাহ নিভু-নিভু মোমবাতির মতো হয়ে গিয়েছে, তা হলেই জানবেন গন্ডগোল!
আপনি ভুল – এটি প্রমাণ করতে তিনি সদাই তৎপর
এটাও চাপের ব্যাপার! আপনি যেটাই করুন, তিনি খুঁত ধরবেনই! রান্নায় নুন কম থেকে শুরু করে চন্দ্রলোক অভিযান কেন পিছিয়ে গেল, সব খারাপের জন্যই আপনি দোষী! তা সেই ঘটনার সঙ্গে আপনার কোনও যোগ থাকুক ছাই না থাকুক! ব্যস, তিনি আপনাকে ঠিক সুনজরে দেখছেন না, এটা বুঝতে পারছেন তো?
আপনি তাঁর অহেতুক ঠাট্টার পাত্রী হয়ে গিয়েছেন
কোনও কারণ নেই, কিন্তু অহেতুক আপনাকে নিয়ে তাঁর ঠাট্টা কিংবা মশকরা বেড়েই চলেছে! আপনার যে চেহারা নিয়ে তিনি অ্যাদ্দিন নালে-ঝোলে হতেন, হঠাৎ সেই আপনাকেই তাঁর মোটা হাতি মনে হচ্ছে। কিংবা আপনার নাকটা একটু বেশিই খ্যাঁদা, আপনার রান্না আর ইদানীং ততটা ভাল হয় না ইত্যাদি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঠেস মেরে কথা বলাটা যদি তিনি ইদানীং শুরু করেন, তা হলে সাবধান হোন!
আপনার সাফল্যে তিনি নিরুত্তাপ
এটা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার। অফিসে নতুন প্রোজেক্টে আপনার প্রেজেন্টেশন দেখে সকলে তাজ্জব বনে গিয়েছে, কিন্তু বাড়ি ফিরে বরকে যেই বললেন, তিনি একটি ম্যাদামারা হাসি ছাড়া আর কিছু দিলেন না! কলেজের সোশ্যালে আপনার গান শুনে তারিফের ফোয়ারা, এদিকে আপনার প্রেমিকপ্রবরটি মোবাইলে গেম খেলতে ব্যস্ত! জাগুন, হিংসেবুড়ি কিন্তু থাবা বসাতে শুরু করেছে আপনাদের সম্পর্কে!
এই বিশ্রী পরিস্থিতি মোকাবিলা করার তিনটি কাজের টিপস
দেখুন, আপনারা দু’জনে আসলে দু’জনকে ভালবাসেন, এটা মানেন তো? তা হলে সেই ভালবাসা ঝালিয়ে নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে আবার। মেয়েদের সাফল্য এমনিতেই ভারতীয় পুরুষেরা খুব একটা খোলা মনে নিতে পারেন না! তা সে তিনি যতই আধুনিকমনস্ক হোন না কেন! আপনার কপালেও যদি এরকমই সঙ্গী পড়ে থাকেন, তা হলে একটু বেগ তো পেতেই হবে।

প্রথমেই তাঁকে বোঝান যে, আপনি সফল হলে বা আপনার কিঞ্চিৎ ভক্তসংখ্যা বাড়লে তা মোটেও আপনার পার্টনারের জায়গাটা সঙ্কুচিত করে দেবে না! উল্টে সেই সময়ে যদি তিনি আপনার সুখে সুখী হন, তা হলে আপনি আরও এগিয়ে যাবেন তাঁকে পাশে নিয়েই।
দ্বিতীয়ত, তিনি যদি আপনাকে দুঃখ দেন, তা হলে তো নিজেও আর সুখী থাকছেন না! হিংসে এমনই বাজে জিনিস যে, একবার যদি তা মনে বাসা বাঁধে, তা হলে যাঁর মন তিনি তো বটেই, তাঁর সঙ্গে বাকি সকলেও মোটেও ভাল থাকবে না। তাই তাঁকে বোঝান যে, নিজে ভাল না থাকলে, অন্য কাউকেই তিনি ভালবাসতে পারবেন না!
তৃতীয়ত, তিনি যদি সত্যিই আপনাকে ভালবাসেন, তা হলে আপনার সুখে তাঁর সুখী এবং আপনার দুঃখে তাঁর দুঃখী হওয়া উচিত। ঠিক যেমনটা আপনি হন। আপনার দুঃখের দিনে তিনি যদি আপনার চোখের জল মোছাতে পারেন, তা হলে আপনার সাফল্যে তাঁর গা জ্বলাটাও উচিত নয়! আফটার অল, আপনারা দু’জনে মিলেই তো একটা ইউনিট, তাই নয় কি?
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!