ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘটানো থেকে বাজে কোলেস্টেরলের প্রভাব কমানো, শরীরকে সুস্থ রাখতে ডিমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। বিশেষ করে হার্টকে চাঙ্গা রাখতে ডিমের জুড়ি মেলা ভাড়। শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি মেটাবেন কীভাবে, তাই ভাবছেন? সেক্ষেত্রেও ভরসা রাখতে পারেন ডিমের উপরে। মোট কথা মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত, শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে সুস্থ রাখতে চাইলে প্রতিদিন খান দুয়েক ডিম খান! (4 ways to cook egg to keep nutrition intact)
কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। বেশি আঁচে তৈরি করা ডিমের কোনও পদে সেভাবে কিন্তু ভিটামিন এবং মিনারেলের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় না। কারণ, অতিরিক্ত তাপে ডিম রান্না করলে তাতে থাকা বেশিরভাগ উপকারী উপাদানই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরের কোনও উপকারই লাগে না। তাই তো ডিমের কোন-কোন পদগুলি খেলে শরীরের বেশি উপকার হয়, সে সম্পর্কে ঝটপট জেনে নিন।
সেদ্ধ ডিম
সেদ্ধ ডিম খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ, ডিম সেদ্ধ করার সময় তাতে উপস্থিত প্রোটিন, ভিটামিন এ, ফলেট, ভিটামিন বি৫, বি১২, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম সহ অন্যান্য উপকারী উপাদানগুলির কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই থাকে না। তাই তো নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তা ছাড়া ব্রেকফাস্টে দুটো করে সেদ্ধ ডিম খেলে বহুক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে মিনিটে মিনিটে মুখ চালানোর ইচ্ছাও কমে, যে কারণে শরীরে অতিরিক্তি ক্যালরির প্রবেশ আটকে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। (4 ways to cook egg to keep nutrition intact)
পোচড ডিম

এই পদটি তৈরির সময় খুব অল্প পরিমাণ তেলের প্রয়োজন পড়ে। এমনকী, ননস্টিক প্যানে তেল ছাড়াও পোচ তৈরি করে ফেলা সম্ভব। তাই বুঝতেই পারছেন নিয়মিত পোচ খাওয়া শুরু করলে শরীরের তো কোনও ক্ষতি হয়ই না, বরং হলকা আঁচে তৈরি করার কারণে ডিমে মজুত উপকারী উপদানগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে। পেটে সইলে দিনে খানদুয়েক পোচ খেতেই পারেন, তাতে শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, পোচে ফ্যাটের পরিমাণ যেমন কম থাকে, তেমনই খুবই কম মাত্রায় ক্যালরির প্রবেশ ঘটে শরীরে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা কমে, সঙ্গে শরীরও সুস্থ থাকে।
হাফ বয়েলড ডিম
সেদ্ধ ডিমের পরিবর্তে হাফ বয়েলড ডিমও খেতে পারেন। তাতেও কোনও ক্ষতি নেই। বরং বেশি উপকার পাবেন। কেন? কারণ, মাত্র মিনিটপাঁচেক সেদ্ধ করার কারণে ডিমে উপস্থিত ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো উপকারী উপাদানগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগই পায় না। তাই তো নিয়ম করে হাফ বয়েলড ডিম খাওয়া শুরু করলে হাড়ের কোনও রোগ হওয়ার আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিনিটপাঁচেকের বেশি ডিমটা সেদ্ধ করবেন না। তবেই কিন্তু তা হাফ বয়েল হবে। এরপর ঠান্ডা জলে একবার ডিমগুলি চুবিয়ে নেবেন, তাতে খোসা ছাড়াতে আর কোনও সমস্যা হবে না। (4 ways to cook egg to keep nutrition intact)
স্ক্র্যাম্বলড এগ

এই পদটিতে সেদ্ধ ডিমের মতো পুষ্টিগুণ না থাকলেও যে পরিমাণ ভিটামিন-মিনারেল অবশিষ্ট থাকে, তা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট। তাই মাঝে-মধ্যে পোচ বা সেদ্ধ ডিমের পরিবর্তে স্ক্র্যাম্বলড এগ খেতেই পারেন। তবে বেশি না খাওয়াই উচিত। আর যদি সম্ভব হয়, তা হলে তেলের পরিবর্তে জল দিয়ে স্ক্র্যাম্বলড এগ তৈরি করুন। তাতে বেশি উপকার পাবেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!