আমরা সব সময়েই চাই যে আমাদের ঘর-বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুক এবং যখনই সময় পাই, তখন কিন্তু পরিষ্কার করি। তবে সারা বাড়ি একদিনে পরিষ্কার করা ঠিক সম্ভব হয়ে ওঠে না, ফলে বেশিরভাগ মানুষই যেটা করেন, উপর-উপর পরিষ্কার করেন। যেমন ধরুন, বসার ঘর, যেখানে বাইরের লোকজনের আনাগোনা থাকে; খাবার ঘর, কারণ সেখানে বসে আমরা খাই আর পরিষ্কার না থাকলে সেখানে বসে খাওয়া সম্ভব নয়। তবে বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় যে বাথরুমটা ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয় না এবং বাথরুমের কিছু-কিছু বিশেষ জায়গা যেমন দেওয়াল বা মেঝের টাইলস, জলের কল, আয়না, ডাস্টবিনের নীচে – এই সব জায়গাগুলো যেন পরিষ্কার করতে ভুলে যাই! কয়েকটি সহজ টিপস দিচ্ছি, যাতে বেশি মেহনত না করেই আপনি বাথরুমের ভোল পাল্টে দিতে পারেন। (5 awesome tips to clean and maintain hygiene in your bathroom)
বাথরুম পরিষ্কার রাখার পাঁচটি কায়দা

১। যেহেতু বাথরুম প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় এবং দিনের মধ্যে বেশ অনেকবার ব্যবহার করা হয় কাজেই বাথরুম কিন্তু প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। আপনি যদি ডিপ ক্লিনিং নাও করেন তাতে ক্ষতি নেই, বরং প্রতিদিন যদি বাথরুম পরিষ্কার করেন তাহলে খাটনি অনেক কম হয়।
২। যেহেতু বাথরুমে জলের কাজটাই বেশি হয় কাজেই জলের একটা দাগ পড়ে যায় মেঝেতে এবং দেওয়ালের টাইলসে। এই দাগ পরিষ্কার করা সত্যিই খুব ঝামেলার কাজ। সমান পরিমাণে ভিনিগার, নুন, লেবুর রস এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি ক্লিনার তৈরি করে নিন এবং স্প্রে বটলে ভরে মেঝে ও দেওয়ালের টাইলসে স্প্রে করে রেখে দিন অন্তত এক ঘণ্টা। একঘন্টা পরে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এভাবে দু’সপ্তাহে একবার করে বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা যেতে পারে।
৩। বেসিনেও অনেকসময়ে একটা বাদামী ছোপ পড়ে যায় আর সত্যি বলতে কী, এরকম বেসিন ব্যবহার করতে বড্ড বেশি ঘেন্না লাগে। একটি বাটিতে সমান পরিমাণে বাসন মাজার লিকুইড সোপ এবং ভিনিগার মিশিয়ে স্টিল উলের সাহায্যে বেসিন ঘষে নিন। বেসিন ঝকঝকে হয়ে যাবে। (5 awesome tips to clean and maintain hygiene in your bathroom)
৪। অনেকসময়ে জলের কলগুলোতে জলের দাগ জমতে জমতে এমন অবস্থা হয় যে পরিষ্কার (cleaning) করা অসম্ভব হয়ে ওঠে। বাজারচলতি নানা ট্যাপ ক্লিনার পাওয়া যায়, সামান্য জলের সঙ্গে ট্যাপ ক্লিনার মিশিয়ে পুরনো দাঁত মাজার ব্রাশ দিয়ে জলের কলের উপরে লাগিয়ে দিন। দশ-পনের মিনিট রেখে ব্রাশ দিয়ে ভাল করে ঘষে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। দেখবেন জলের কল থেকে দাগ উধাও হয়ে গেছে।
৫। বাথরুমের আয়না অনেকসময়েই এত বেশি ঝাপসা হয়ে যায় যে পরিষ্কার করা খুব অসুবিধেজনক হয়ে যায়। যদি আয়নার পিছন থেকে পারদের স্তর উঠে যায় তা হলে তার ঝাপসাভাব অবশ্য পরিষ্কার করা যাবে না। ঝাপসা আয়নার কাচ বাজারচলতি ক্লিনার দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন আবার ঘরোয়া একটি ক্লিনার তৈরি করে তা দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। ঠান্ডা জলে দুটো টি-ব্যাগ ভিজিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষন পর তা বাথরুমের ঝাপসা আয়নায় স্প্রে করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিলেই ঝকঝকে হয়ে যাবে। (5 awesome tips to clean and maintain hygiene in your bathroom)
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!