আপনি নিশ্চই জানেন যে যখন অফিসে (office) টীম মিটিং চলে তখন চিউইং গাম চেবানো উচিত নয়, কিম্বা অফিসে থাকাকালীন সারাক্ষন ব্যক্তিগত কারনে ফোনে ব্যস্ত থাকা উচিত নয়, কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে এরকম আরও অনেকগুলো কাজ (habits) আছে যেগুলো আপনি অফিসে থাকাকালীন করেন (অবশ্যই নিজের অজান্তে) এবং সেগুলো আপনার অন্যান্য সহকর্মী (colleagues) ও বসকে (boss) চটানোর (annoy) পক্ষে যথেষ্ট!
১। প্রতিদিন দেরি করে অফিসে ঢোকা
এক-আধ দিন অফিসে (office) পৌঁছতে দেরি হতেই পারে, কিন্তু সেটা যদি প্রতিদিনকার একটা রুটিনে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কিন্তু সমস্যা। আপনার বস (boss) তো চটবেনই (annoy) সাথে আপনার মাইনেও যে কাটা যাবে, কারণ সঠিক সময়ে ‘পাঞ্চ ইন’ না করলে তো ‘হাফ ডে’ হয়ে যায়; আর সেটা নিশ্চই আপনার ভালো লাগবে না!
২। সবকাজ শেষ মুহূর্তে করা
আপনি যদি ‘স্টেজে মেরে দেবো’ মনোভাবসম্পন্ন হন, তাহলে সেটা ঠিক নয়। কারন যেহেতু আপনি অফিসে একটি টিমের সাথে কাজ করেন, আপনার মাথায় রাখা উচিত যে আপনার কাজ শেষ হবার ওপরে হয়ত আরও অন্যকারও কাজ নির্ভর করছে, অর্থাৎ আপনি আপনার কাজটি শেষ না করলে হয়ত আপনারই কোন সহকর্মী (colleagues) তাঁর কাজ আরম্ভ করতে পারছেন না।
৩। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটু বেশি সময় কাটানো
আমরা মোটামুটি সকলেই সোশ্যাল মিডিয়াতে কম-বেশি সময় কাটাই। সেটা দরকার, কারন একটানা কাজ করতে কারোরই ভালো লাগে না। তবে যে কাজটা করতে অফিসে আসা, সেটাই যদি চাপা পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি সময় কাটাতে গিয়ে, তাহলে কিন্তু আপনার বসের (boss) কাছে আপনাকে জবাবদিহি করতে হতে পারে।
৪। সব ব্যাপারে অভিযোগ করা
সব সহকর্মীদের সাথে সব সময়ে সব ব্যাপারে কারোরই মতের হয়না, কিন্তু আপনি যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ করতে থাকেন তাহলে কিন্তু আখেরে আপনারই লোকসান। আবার অনেকেই আছেন যারা ব্যাক্তিগত জীবনের সমস্যায় এতটাই ফ্রাস্ট্রেটেড থাকেন যে প্রতিটি ব্যাপারেই তাদের বিরক্ত লাগে এবং সবসময়ে তারা কিছু না কিছু অভিযোগ করতে থাকেন। এটা ঠিক না।
৫। প্রতিটি ক্ষেত্রে অজুহাত দেওয়া
‘আজ খুব বৃষ্টি পড়ছিল তো তাই দেরি হল অফিসে আসতে’, ‘আসলে আমার খুব শরীর খারাপ লাগছিল তাই ভুল ক্লায়েন্টকে ভুল ইমেল পাঠিয়ে ফেলেছি’, ‘আমার কোন দোষ নেই, ওর জন্য এই ভুলটা হয়েছে’ – এই অজুহাতগুলো কি সত্যিই ধোপে টেকে বলে আপনার মনে হয়? প্রতিটি ব্যাপারে যদি অজুহাত দিতে থাকেন তাহলে একদিন হয়ত এই অজুহাতের জন্যই আপনার চাকরি চলে যেতে পারে (annoy)!
হতে পারে আপনার এই অভ্যাসগুলো (habits) ছাড়তে একটু সময় লাগবে, আপনাকে একটু বেশি সচেতন থেকে পরিশ্রমও করতে হবে, কিন্তু ভবিষ্যতে আপনারই কাজে দেবে। অফিস (office) আওয়ারে একটু আধটু আড্ডা দেওয়া কিম্বা সহকর্মীদের (colleagues) সাথে চা-কফি খেতে যাওয়া দোষের নয়, কিন্তু সেটা যদি বেশি মাত্রায় হয়ে যায়, তাহলেই বিপদ!
ছবি সৌজন্যে – Pinterest, Pexels
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!