মসৃণ, উজ্জ্বল, দাগ-ছোপহীন এবং তুলতুলে ত্বক পেতে কে না চায়, কিন্তু সব সময়ে যে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ছোটবেলা থেকেই ত্বকের যত্ন (skincare) এবং চুলের পরিচর্যা সম্বন্ধে নানা উপদেশ আমরা শুনে আসছি। এই ধ্যান ধারণাগুলির (myths) বীজ আমাদের মধ্যে আমাদের মা বপন করেছেন, মা-এর মধ্যে তাঁর মা, তাঁর মা-এর মধ্যে তাঁর মা… এভাবেই বংশ পরম্পরায় ব্যাপারটি এগিয়েছে। কিন্তু এই উপদেশগুলির মধ্যে ঠিক কতটা সত্যতা (facts) রয়েছে একবার যাচাই করে নিলে কেমন হয়?
১। বেশি জল খেলে নাকি ত্বকের আর্দ্রতা কমে না
এই ধারণাটি আপনি বহু বিউটিশিয়ানের কাছেও শুনে থাকবেন, বেশি করে জল খান ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং ত্বকের কোনও সমস্যা হবে না। এটা সত্যি যে জল শরীরের টক্সিন বার করে দেয় ফলে ত্বকেরও নানা সমস্যা অনেকটাই কম দেখা যায়; কিন্তু তাঁর মানে এটা নয় যে আপনি দিন-রাত শুধুই জল খেতে থাকলেন! আর ত্বক ময়শ্চারাইজ করার জন্য বাপু আপনাকে ময়শ্চারাইজার বা লোশন কিছু একটা লাগাতেই হবে!
২। জাঙ্ক ফুড খেলেই ব্রণ হবে!
এই কথাটিও আমি আমার কৈশোরে অনেকের কাছে শুনেছি। প্রথমদিকে ভয়ে ফুচকা, চুরমুর, চিপস, ভাজাভুজি কিছুই খেতাম না, কিন্তু বিশ্বাস করুন, পরে লোভ সামলাতে না পেরে এত খেয়েছি, কিন্তু কোনওদিন ব্রণ তো দূরের কথা, একটা ফুসকুড়িও বেরোয়নি! আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় এবং শরীরের ভিতরে টক্সিন থাকে, তা হলে আপনি জাঙ্ক ফুড খান বা না খান, ব্রণ বেরোতেই পারে!
৩। যত দামি প্রোডাক্ট, তত বেশি ভাল
এটি আদ্যন্ত একটি ভুল ধারণা! এক একটি প্রোডাক্ট এক এক ধরনের ত্বকের জন্য ভাল বা খারাপ। মনে করুন, আপনার ত্বক সংবেদনশীল এবং আপনি এমন একটি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেন যাতে আপনার ত্বকের সংবেদনশীলতা আরও বেড়ে গেল, তা হলে কি আপনি সেই প্রোডাক্টটিকে ভাল বলবেন? আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রডাক্ট বাছুন। যদি কোনও নির্দিষ্ট উপাদান থেকে আপনার অ্যালার্জি হয়, তা হলে চেষ্টা করবেন এমন প্রোডাক্ট কিনতে, যেটিতে সেই উপাদানটি নেই।
৪। তৈলাক্ত ত্বকে ময়শ্চারাইজার প্রয়োজন হয় না
অনেকের ধারণা আছে যেহেতু তাঁদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত, কাজেই তাঁদের আর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সত্যিটা ঠিক উল্টো। ত্বক শুষ্ক হোক বা তৈলাক্ত, তাকে আলাদা করে বাইরে থেকে ময়শ্চারাইজ করার প্রয়োজন আছে। একটাই তফাত, শুষ্ক ত্বকের ময়শ্চারাইজার ঘন হয় এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার হালকা হয়।
৫। বারবার মুখ ধুলে অ্যাকনে বা ব্রণ-র সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়
আরও একটা ভুল ধারণা! আপনার যদি অ্যাকনে বা ব্রণর সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি দিনে দু’তিন বার মুখ ধুতেই পারেন। কিন্তু তার বেশি মুখ ধুলে কিন্তু আপনার অ্যাকনে বা ব্রন-র সমস্যা বাড়বে বই কমবে না! কারণটা বুঝিয়ে বলি, যতবার আপনি মুখ ধোবেন, ততবারই আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্তভাব কমতে শুরু করে এবং আপনার ত্বকের ভিতরের তৈলগ্রন্থি থেকে তেল নিঃসৃত হতে থাকে। ফলে আপনার ত্বক আরও বেশি তেলতেলে হয়ে যায় যা অ্যাকনে এবং ব্রণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!