শ্যাম্প্যুর বিজ্ঞাপনে যেমন দেখানো হয়, মডেলের মাথায় একরাশ ঘন স্বাস্থ্যে ঝলমল করা চুল; আমারও ইচ্ছে করে যে আমার মাথাতেও ওরকম সুন্দর চুল থাকুক। লম্বা চুলে নানা স্টাইল করবো প্রতিদিন আর সবাই বেশ আমার প্রশংসা করবে! তা সেসব ভেবে তো চুল লম্বা করতে আরম্ভ করলাম কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায়। চুল লম্বা হলেই জট পড়তে আরম্ভ করল আর সেই জট (tangle) ছাড়াতে গিয়ে চুল ভাঙ্গতে শুরু করল, ফলে মনের মতো লম্বা চুল তো অনেক দূরের কথা, চুলের ক্ষতি হতে আরম্ভ হল। এরকম অনেকেই আছেন যারা লম্বা চুল পছন্দ করেন, কিন্তু চুলে জট পড়ার কারণে কিছুতেই চুল লম্বা করতে পারেন না, তাঁদের জন্যই আজ কয়েকটা টিপস (Tips) দেবো যেগুলো আমি নিজে কাজে লাগিয়ে উপকার পেয়েছি ।
চুলে জট কেন পড়ে?
চুলে যাতে জট না পড়ে সেই টিপস দেবার আগে জানিয়ে রাখা ভালো যে চুলে জট কেন পড়ে। নানা কারণে চুলে জট পড়তে পারে –
- ঘুমনোর সময়ে চুল বেঁধে না শুলে
- নিয়মিত চুল না আঁচড়ালে
- চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে গেলে
- নিয়মিত চুল ট্রিম না করলে
- চুলের কিউটিকলস ড্যামেজ হলে
চুলে জট পড়া থেকে মুক্তি পেতে এই ৫ টি টিপস কাজে লাগান
দেখলেন তো, ঠিক কি কি কারণে চুলে জট পড়তে পারে, এবার জেনে নিন কি করলে চুলে জট পড়বে না –
১। শ্যাম্প্যুর পর চুলে কন্ডিশনার লাগাতে হবে
শ্যাম্প্যু করলে কিন্তু স্ক্যাল্পের ময়লা দূর হয়, চুলের কিন্তু কোনও লাভ হয় না। তাই চুল ধোবার পর যাতে জট না পরে এবং চুল যাতে না ভাঙ্গে, সেজন্য প্রতিবার শ্যাম্প্যুর পরে চুলে কন্ডিশনার লাগানো মাস্ট। মনে রাখবেন কখনই কিন্তু স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগাবেন না।
২। চওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান
চুল আঁচড়ানোর সময়ে চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যাবহার করুন। এতে জট পড়া চুল আঁচড়াতে সুবিধে হবে এবং চুল ভাঙবেও কম।
৩। নিয়মিত চুলে তেল লাগাতে হবে
অনেকেই আছেন যারা চুলে লাগানোর পক্ষপাতি নন। কিন্তু চুলেরও তো খাদ্যের প্রয়োজন আছে তাই না? অরগ্যানিক নারকোল তেল সামান্য গরম করে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ক্যাল্পে ভালো করে মাসাজ করুন এবং চুলেও লাগান। চুলে তেল লাগানোর সময়ে কিন্তু হাতের তালুতে চুল ঘষবেন না, এতে চুল ভাঙ্গার আশঙ্কা থাকে। আর স্ক্যাল্পেও যখন তেল মাসাজ করবেন, আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা প্রেশার দিয়ে করবেন যাতে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
৪। গরম জলে চুল ধোবেন না
গরম জলে চুল ধুলে চুলের চুলের কিউটিকলস ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং চুলের আগা ভেঙে যাবার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাছাড়া চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা এবং ন্যাচারাল অয়েল-এর পরিমান কমতে থাকে ফলে চুল শুষ্ক এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে চুলে শুধু জট পড়ে না, চুল অকালে ঝরেও পড়ে যায়।
৫। হেয়ার স্টাইলিং একটু কম করুন
কখনও স্ট্রেট, কখনও কার্ল, কখনও বা চুলে নানা ট্রেন্ডি কালার – আমরা সবাই কোনো না কোনো সময়ে এগুলো সবই করেছি। কিন্তু এতে যে চুল কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে সম্বন্ধে ধারণা আছে? আমি স্টাইল করতে না বলছি না একবারও, কিন্তু একটু বুঝেশুনে!
ছবি সৌজন্যেঃ নাইকা
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!