দিনে দিনে বাড়ছে নাকি মধ্যপ্রদেশ (belly fat)? তাহলে তো চিন্তার বিষয়! কারণ গবেষণা বলছে ওজন বাড়লে একাধিক মারণ রোগ ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কা যায় বেড়ে। বিশেষত, হার্টের এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। সেই সঙ্গে লেজুড় হতে পারে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, গলব্লাডারের নানা রোগ, আর্থ্রাইটিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং গাউটের মতো রোগও। তাই তো বলি বন্ধু, এমন সব রোগের খপ্পরে যদি পড়তে না হয়, তাহলে ওজন কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে ভুলো না যেন!
এখন প্রশ্ন হল, যাদের হাতে জিমে যাওয়ার সময় নেই, তারা কী করবে? সেক্ষেত্রে অল্প বিস্তর এক্সারসাইজ বা হাঁটাহাঁটি করার পাশাপাশি এই লেখায় আলোচিত খাবারগুলিকে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দিতে হবে (indian diet plan to reduce belly fat), তাহলেই দেখবে ভুঁড়ি কমবে তরতরিয়ে! কিন্তু খাবারের (foods that burn belly fat) সঙ্গে ভুঁড়ির কমার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়?
১. মাছ:
একেবারেই ঠিক শুনেছো বন্ধু! ওজন কমাতে মাছের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ তোমার পছন্দের পাবদা-ভেটকিতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা যায় কমে। আর কম খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন (belly fat) নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
২. ডিম:
যে কারণে মাছ খাওয়া উচিত, সেই একই কারণে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দেওয়া উচিত ডিমকেও। কারণ এতেও রয়েছে প্রচুর মাত্রা প্রোটিন, যা খিদে কমায়। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম রেটকে এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে ভুঁড়ি কমে যেতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই যদি ওজন কমিয়ে ফেলতে হয়, তাহলে নিয়মিত ১-২ টো করে ডিম খেতে ভুলো না যেন!
৩. গ্রিন টি:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে এক কাপ গ্রিন টি খেলে প্রায় ৭০ ক্যালরি ঝরে যায়। আর দুকাপ খেলে যে পরিমাণ ক্যালরি বার্ন হয়, তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে একেবারেই সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এই পানীয়টিতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। ফলে দ্রুত গতিতে ঝরতে শুরু করে পেটের মেদ (belly fat)।
৪. কাঁচা লঙ্কা:
মেদ কামাতে বাস্তবিকই কাঁচা লঙ্কার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে ক্যাপসেইসিন (Capsicin) নামক একটি উপাদান, যা হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে। তাই তো বলি বন্ধু, চটজলদি ওজন কমিয়ে ফেলার পাশাপাশি নানাবিধ রোগের খপ্পর থেকে যদি বেঁচে থাকতে হয়, তাহলে নিয়মিত দুটো করে কাঁচা লঙ্কা খেতে ভুলো না যেন!
৫. শাক-সবজি:
রোজের ডায়েটে পালং শাক, মুলো, গাজর, ব্রোকলি এবং ফুলকপি মতো সবজিগুলিকে জায়গা করে দিলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ফাইবারের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খিদে কমে যায়। আর কম পরিমাণে খাওয়া শুরু করলে ভুঁড়ি কমতেও সময় লাগে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!