আমরা আমাদের বাবা ও মা’কে খুব ভালবাসি। সেই জন্য়ই হয়তো আমরা তাঁদের বুঝতে দিতে চাই না যে, তাঁরা আমাদের যতটা সরল-সাদাসিধে ভাবেন, আমরা ঠিক ততটাও নই। আমরা তাই কখনও কখনও মিথ্য়া বলে থাকি। কারণ এই কথাও জানি, সত্যিটা জানলে বাড়িতে একটা কুরুক্ষেত্র হয়ে যেতে পারে। তাই বাবা ও মা-কে মিথ্য়া বলার আর্টটা আমাদের প্রায় সবার জানা। ঠিক কিনা? চলুন দেখে নেওয়া যাক, কী কী মিথ্য়া আমরা প্রায় সবাই বাড়িতে বলে (lies we told) থাকি…
কখনও কোথাও গ্রুপ স্টাডি থাকে না। আমরা সব সময় বাড়িতে এই বিষয় মিথ্য়াই বলি। হয়তো নাইট ক্লাবে যাওয়ার আছে বা কারও বাড়িতে পার্টি আছে। তখন বাড়িতে সত্য়ি কথা বলে যাওয়া যাবে নাকি?
আমার সঙ্গীত নাইটে আমার বেস্টি মত্ত হয়ে খুব ছড়িয়েছিল। বমি করছিল। উল্টোপাল্টা বকছিল। আমি কনে হয়েও তাঁকে সামাল দিচ্ছিলাম। তাঁকে খাইয়ে দেওয়া, ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া থেকে সব কিছুই আমায় করতে হচ্ছিল। আর বাড়িতে বারবার বলছিলাম, “ওর একটু শরীরটা খারাপ!” বুঝতেই পারছেন আমি কী বলছি (lies we told) !
এই মিথ্য়েটা জীবনে একটা সময়ে আমরা প্রায় সবাই বলে এসেছি। বয়ফ্রেন্ড বা বিশেষ কেউ হয়তো কোনও উপহার দিল। বাড়িতে তো সত্য়ি কথা বলা সম্ভব নয়। আবার লুকিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। তখন কোনও বান্ধবীর নাম করে সেই মিথ্য়ে কথাটা (lies we told) আমাদের বলতেই হত।
পরীক্ষায় কোনও ভুল করেছি। কোনও বিষয়ে নম্বর কম হয়েছে। সেই সময়ে কি আর নিজের দোষ দেখা যায়? তাহলে বাড়িতে তো আরও বেশি বকা শুনতে হবে। সেই সময়ে একটু মিথ্য়ে বলাই যায়। তখন বলতাম, এটা আসলে শিক্ষকের দোষ!
কোনও পার্টিতে গিয়েছি। বা এমন কোথাও গিয়েছি, যেখানে বাড়ির লোকের ফোন ধরতে পারব না (lies we told) । সেই সময়ে একটু মিথ্য়ে বলতে হয়। ফোনে নেটওয়ার্ক নেই, এমন ভান করতে হয়। বলতে হয়, “বাবা! কিছু শুনতে পাচ্ছি না।”
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!