গরমকালে কলকাতা সহ সারা রাজ্যেই যে হারে তাপমাত্রা বাড়ে, তাতে শরীরকে সুস্থ রাখতে ঘাম ছুটে যায়। বিশেষত তাপ প্রবাহের কারণে শরীরের তাপমাত্র এতটাই বেড়ে যায় যে হিট স্ট্রোকের (5 natural ways to prevent heat stroke) আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর এমনটা হলে শরীরের যে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, তা তো বলাই বাহুল্য।
তাই তো গরমের সময় শরীরের তাপমাত্র যাতে কোনও ভাবেই বেড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এমনটা করবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে নিয়মিত কতগুলি খাবার এবং জুস যেমন খেতে হবে, তেমনি কিছু ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগালেই দেখবেন কেল্লা ফতে
হিট স্ট্রোক এড়ানোর উপায়
অতিরিক্ত গরমের কারণে দেহের ভিতরের তাপমাত্রা যদি ৪০ ডিগ্রি বা আরও বেশি হয়ে যায়, তখনই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বেশি করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, তাহলেই শরীরের আর কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। আর ঠিক এই কারণেই যে যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলির উপর ভরসা রাখা জরুরি, সেগুলি হল…
১। পুদিনা ও ধনেপাতা
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদানে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ “কুলিং এজেন্ট”, (5 natural ways to prevent heat stroke) যা গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই সময় নিয়মিত ধনে পাতা নয়তো পুদিনা পাতার রস খেতে হবে, তাহলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না। ধনে এবং পুদিনা পাতার পাশাপাশি যদি জিরা এবং মৌরি জল পান করতে পারেন, তাহলেও কিন্তু অনেক উপকার পাওয়া যায়।
২। আমপোড়া সরবত
গরমকালে যদি নিয়মিত কাঁচা আমের সরবতে জিরা, মৈরি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া য়ায়, তাহলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। কারণ এই পানীয়টি পান করা শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু উপকারী উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে গরমের কারণে শরীরের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
৩। তেঁতুলের সরবত
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল এবং ইলেকট্রোলাইট, যা তাপ প্রবাহের মাঝে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ জলে কয়েকটা তেঁতুল ফেলে জলটা কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর জলটা ছেঁকে নিয়ে তাতে এক চিমটে চিনি ফেলে পান করতে হবে। প্রতিদিন যদি এই পানীয়টি পান করা যায়, তাহলে দেহের তাপমাত্রা (5 natural ways to prevent heat stroke) নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা তো কমবেই, সেই সঙ্গে বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
৪। পেঁয়াজের রস
না, নাক কুঁচকে কোনও লাভ নেই। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে হলে পেঁয়াজের রস খাওয়া জরুরি। কারণ আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই পানীয়টি পান করা শুরু করলে শরীরের ভিতরে নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে দেহের তাপমাত্রা কমতে সময় লাগে না।
আরেকভাবেও পেঁয়াজের রসকে কাজে লাগানো যেতে পারে। পরিমাণ মতো পেঁয়াজের রস নিয়ে যদি নিয়মিত বুকে এবং কানের পিছনে লাগিয়ে কিছুক্ষণ মাসাজ করা যায়, তাহলেও কিন্তু উপকার মেলে। আর যদি এইসব করতে মন না চায়, তাহলে সারা গরমকাল জুড়ে ভাতের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খেতে হবে। কারণ এমনটা করলেও উপকার মিলবে
৫। চন্দন বাটা
পরিমাণ মতো চন্দনের গুঁড়ো নিয়ে তাতে অল্প করে জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট কপালে এবং বুকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সারা গরমকাল জুড়ে এইভাবে চন্দনের পেস্ট লাগালে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!