সম্পর্ক! একটা ছোট্ট শব্দ, কিন্তু এই সম্পর্কের (relationships) গোলোকধাঁধায় আমরা প্রত্যেকেই ঘুরে মরি। সামনেই সমাধান দেখতে পাই, কিন্তু সে যেন মরীচিকার মতো। তাকে ছুঁতে গেলেই সে আবার দূরে সরে যায়। কখনও দীর্ঘদিনের প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যায় অন্য কারও সঙ্গে, আবার প্রেমিকের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে আপনার সমস্যা আরও গভীর হয়। অপছন্দের ছেলেকে মেনে নিতে পারেন না আপনার বাবা, আবার কখনও আপনার কৃতী দাদা বা দিদির সঙ্গে ক্রমাগত তুলনা আপনাকে ঠেলে দেয় অন্ধকারের দিকে! আমরা সম্পর্কের এই নানা অলিগলি নিয়ে কথা বলেছি কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানুষের সঙ্গে। তাঁরা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সম্পর্ক (relationship), ভালবাসা (love), প্রেম, বিয়ে এসব নিয়ে কিছু সমস্যা। সাধ্যমতো তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমরাও। সেই রকম কয়েকটি প্রশ্ন (questions) ও তার উত্তর (answers) আমরা বেছে নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য।
প্রশ্ন ১) দীর্ঘদিন ধরে একজনকে ভালবাসি। কখনও বলে উঠতে পারিনি। সে আমার সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশে। আমরা একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাই, আড্ডা মারি। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব দিতে ভয় হয়। বন্ধুকে হারিয়ে ফেলব না তো?
উত্তর: তিনি যখন আপনার সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন, তা হলে তাঁর জীবনে স্পেশ্যাল কেউ আছে কিনা, সেটা কি উনি কখনও বলেছেন? সেটা একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন না। যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, জানার চেষ্টা করুন সে কে? আর উত্তর না হলে মনের কথাটা বলেই দিন। যদি আপনারা প্রকৃত বন্ধু হন, তা হলে সহজে সেই বন্ধুত্ব ভাঙবে না।
প্রশ্ন ২) আমার দেওর আমেরিকায় থাকেন পরিবারসহ। দেওরকে নিয়ে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব গর্ব করেন। আমার স্বামী মুখে কিছু না বললেও, মনে-মনে খুব কষ্ট পান। ওঁর কি ডিপ্রেশান হওয়ার আশঙ্কা আছে?
উত্তর: কর্মসূত্রে কে কোথায় থাকবেন, সেটা নিয়ে গর্ব করার মতো কিছু নেই। আপনার স্বামীকে গল্প করার ছলে বলুন, আপনারও এমন অনেক কৃতী বন্ধু ও বান্ধবী আছেন, যাঁরা এদেশেই থাকেন। তাঁকে এটা বলুন যে, আপনি স্বামীকে নিয়ে গর্ব করেন, কারণ, তিনি সব দায়িত্ব সুন্দর করে পালন করেন।
প্রশ্ন ৩) আমার মেয়ে অনেক দিন আগে পালিয়ে বিয়ে করেছিল। এখন ও নিজে দু’সন্তানের মা। এখন সব মিটে গেছে, কিন্তু ও বাড়িতে এলে আমি সহজ হতে পারি না। আমার কি কোনও মানসিক সমস্যা আছে?
উত্তর: না, আপনার কোনও মানসিক অসুখ নেই। মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য একসময় যে লজ্জা, ভয় আর অপমানের মুখোমুখি আপনি হয়েছিলেন, সেটাই আপনার মনে গেঁথে গেছে। ওই বিশেষ সময়টুকু ছাড়াও তো মেয়ের সঙ্গে কাটানো কিছু সুখের মুহূর্তও আছে। সেগুলো মনে করুন। আর নাতি-নাতনিদের কাছে টেনে নিন। দেখবেন, অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে ব্যাপারটা।
প্রশ্ন ৪) আমার একজন স্টেডি বয়ফ্রেন্ড আছে। ও এমনিতে ভীষণ কেয়ারিং। কিন্তু অসম্ভব কথা বলে। ওর এই টকেটিভ নেচারের জন্য আমার বন্ধুরা আমায় খেপায়। আর ও শুধু নিজের কথাই বলে যায়, আমার বা অন্য কারও কথা শুনতে চায় না। কী করব, প্লিজ বলুন।
উত্তর: বেশি কথা বলাটা মাঝে-মাঝে বিরক্তিকর বটে, কিন্তু সেটা অপরাধ নয়। তবে হ্যাঁ, অন্যের কথা একেবারেই না শোনা বা আমল না দেওয়াটা আগামী ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দিনদুয়েক একদম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে দেখুন তো! কোনওভাবেই তাঁর ফোন তুলবেন না বা দেখা করবেন না। তাঁকে বুঝিয়ে দিন, এই অতিরিক্ত কথা বলাটা জাস্ট আর নেওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে বলুন, দিনে অন্তত এক ঘণ্টা চুপ করে থাকা অভ্যেস করতে! আর হ্যাঁ, তার সঙ্গে এটাও বলুন, অন্যদের কথা না শুনে যদি তিনি একাই বকবক করে চলেন, আপনি আর কোনও যোগাযোগই রাখবেন না।
প্রশ্ন ৫) একটি ছেলেকে ভালবাসি আর সে-ও আমায় ভালবাসে। ভাল চাকরি করে, দেখতেও ভাল। ওর পরিবার আমায় মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমার বাবা-মা কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। দোষের মধ্যে ও আমার চেয়ে চার বছরের ছোট!
উত্তর: ভালবাসা যদি খাঁটি হয় আর সম্পর্ক যদি মজবুত হয়, তা হলে বয়সের পার্থক্য কোনও বিষয় নয়। বাবা মাকে বোঝান। তাঁদের অভিষেক-ঐশ্বর্য, প্রিয়ঙ্কা-নিক, সোহা আলি খান-কুনাল খেমুর উদাহরণ দিন। এই তারকাদের চেয়ে তাঁদের স্বামীরা বয়সে অনেকটাই ছোট। কিন্তু তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দিব্যি সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার করছেন। বাবা-মাকে বলুন, আজকের দিনে এসব কোনও ব্যাপারই নয়। আসল কথা হল, পারস্পরিক বোঝাপড়া। আশা করি, ঠান্ডা মাথায় বোঝালে তাঁরা ঠিক বুঝবেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss করলে কি কি শারীরিক উপকার মেলে
ভালোবেসে মনের মানুষটি কে এই ডাকনামে ডাক দিও
রোমান্টিক ডায়লগ যা আপনাকে আপনার পার্টনারের আরও কাছে নিয়ে যাবে
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!