প্রেম সবসময়ই ভরসার হয়। জীবনে চলার পথে যখন আমরা থমকে দাঁড়াই, সেই সময়েই যেন প্রেম বন্ধু হয়ে আসে। হাতে হাত রেখে জানান দেয়, পাশে আছি। আর এই প্রেমের সম্পর্কের ভিতই হল বিশ্বাস ও সম্মান। সম্মানের উপর ভর করেই একটা সম্পর্ক একটু একটু করে গড়ে ওঠে। তাই একে অপরকে সম্মান করা খুবই প্রয়োজন। তবে সব সম্পর্কের শুরু যেমনই হোক, সব সম্পর্কের শেষ হয়তো মধুর হয় না। আবার অনেক সম্পর্কের যাত্রাপথ ভাল হয় না। এমন অনেক সম্পর্ক থাকে, যে সম্পর্কে (toxic relationship) জড়িয়ে কেবল আমরা নিজেদের ক্ষতিই করি। কোনও ভাল কিছুই হয় না।
সেই সম্পর্কগুলো চলার পথে বন্ধু হয়ে দাঁড়ায় না, বরং বাধা হয়ে দাঁড়ায়। টক্সিক সম্পর্ক (toxic relationship)। টক্সিক সম্পর্ক কখনওই আপনার জন্য ভাল নয়। তাও যদি আপনার বার বার মনে হয় আপনি সম্পর্কের প্রতি বা আপনার পার্টনারের প্রতি এতটাই নির্ভরশীল যে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না, তবে প্রথমেই বলি সময় নিয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে আপনার। আপনি ভাবুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন। কিন্তু আপনি কীভাবে বুঝবেন যে, আপনিও একটা টক্সিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন?
কোনও প্রসঙ্গ উঠলেই অশান্তি: মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
সম্পর্কে থাকলে দুজন মানুষের মধ্যে ঝগড়াঝাটি, কথা কাটাকাটি এসব হবেই (toxic relationship)। কিন্তু প্রতি নিয়ত যে কোনও ছোট বিষয় নিয়েই যদি একে অপরের সঙ্গে বচসা বেধে যায়, তাহলে সেই সম্পর্কে প্রাণ কোথায়? সেই সম্পর্ক টক্সিক ছাড়া আর কী? কারণ, এই টক্সিক সম্পর্ক আপনার ক্ষতি করছে। মানসিক স্বাস্থ্যতে প্রভাব ফেলছে।
মত জানানোর অধিকার নেই
পৃথিবীর যে কোনও সম্পর্কে দুইজনের সমান অধিকার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, সম্পর্কে দুজনের মতই সমানভাবে কার্যকরী ও গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আপনার সম্পর্কে কি তাই হয়? আপনার সম্পর্কে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন আপনার পার্টনারই। আপনার মতামতের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিংবা আপনি মতামত দিতে গেলেই সেখানে অশান্তি বাধে (toxic relationship)। তখন আপনার চুপ করে থাকা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।
সম্মান নেই
প্রথমেই বলেছিলাম, একটি সম্পর্ক সম্মানের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। আপনাকে আপনার পার্টনারের শ্রদ্ধা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনার পার্টনার কি আপনাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে? তার প্রেমিকা হিসেবে যোগ্য সম্মান কি আপনি পান? যদি না পেয়ে থাকেন তবে সেই সম্পর্ক থেকে আর কি আশা করেন আপনি?
ভার্বাল অ্যাবিউস বা খারাপ কথা বলা
অ্যাবিউস ও অত্যাচার যে সব সময় শারীরিক হয় তা কিন্তু নয়। তা মানসিকও হতে পারে। আপনার পার্টনার যদি আপনাকে উঠতে বসতে খারাপ কথা শোনায়। গালিগালাজ করে কিংবা খুবই খারাপ কথা বলে যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে, তাহলে সেই সম্পর্ক নিয়ে আপনার ভাবা প্রয়োজন রয়েছে। ভার্বাল অ্যাবিউস কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই টক্সিক সম্পর্ক (toxic relationship)আপনার ক্ষতিই করছে।
শারীরিক অত্যাচার
এর থেকে বড় অন্যায় আর কিছু হয় না। তিনি বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী বলেই যে আপনার শরীরের প্রতি তার অধিকার আছে এই কথা ভাববেন না। আপনাকে সে মারধর করতে পারে না। যদি আপনি এরকম শারীরিক অত্যাচারের শিকার হন তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন। আজই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।
আপনি কী করবেন?
ভালবাসি বললেই বা ক্ষমা চাইলেই সব সময় সাত খুন মাফ হয়ে যায় না। আপনার পার্টনার আপনাকে যথেষ্ট অত্যাচার করল, কিংবা প্রতিদিন সম্পর্কে থাকতে থাকতে আপনার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আপনি তাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভাবছেন, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। বিশ্বাস করুন, সেই সম্পর্ক কোনওদিন ঠিক হবে না। দিনের পর দিন সেই অত্যাচার বাড়বে। কখনও কমবে না। অসম্মান কোনওদিন সম্মান হয়ে ফিরবে না। তাই এই সম্পর্কের ইতি হোক এখানেই। নিজে প্রাণ ভরে অক্সিজেন নিন, ভাল ভাবে বাঁচুন। আর টক্সিক সম্পর্কগুলোকে (toxic relationship)নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দিন, যেন তারা আর ফিরতে না পারে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!