‘মানুষ নিজেই নিজের ভাগ্যের সৃষ্টিকর্তা’ – এই প্রবাদটি নিশ্চই আপনার অজানা নয়! এর অর্থ হলো আপনি যেরকম পরিশ্রম করবেন, আপনার ভাগ্যও ঠিক সেরকমভাবেই তৈরী হবে. যদি আপনি নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততার সাথে পালন করেন এবং জীবনের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করেন, তাহলে আপনার সাফল্য অনিবার্য. কিন্তু যদি শুধু বড় বড় স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্নপূরণের কোনো চেষ্টাই আপনার মধ্যে না থাকে এবং সবই আপনি ভাগ্যের হাতের ছেড়ে দেন, তাহলে আপনার ভাগ্যও আপনার সঙ্গ দেবেনা. যে শুয়ে থাকে, তার ভাগ্যও শুয়ে থাকে. রাশিচক্রের ১২টি রাশির মধ্যে ৫টি রাশির জাতকেরা নিজেই নিজের ভাগ্য তৈরী করেন, এরা নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য অনেকদূর যেতে পারেন. আসুন দেখে নি কোন ৫টি রাশি নিজের ভাগ্য নিজেই গড়েন –
মকর রাশি (২২শে ডিসেম্বর- ১৯শে জানুয়ারি)
এই রাশির জাতকেরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং ক্রিয়েটিভ হন. যেকোনো কাজ পারফেক্ট ভাবে করেন এবং প্রতিটি কাজ নিজের মন-প্রাণ দিয়ে করেন. বলতে পারেন এরা কাজটাকেই নিজের ধ্যান-জ্ঞান মনে করেন. মকর রাশির প্রতীক হলো অজ অর্থাৎ ছাগল. এরা যেরকম কখনো এক জায়গায় দাঁড়ায় না, সবসময় ঘাস খুঁজতে থাকে, ঠিক সেরকমই এই রাশির জাতকেরা খুব এক্টিভ হয়. বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় যে মকরের জাতকেরা প্রশাসনিক পদে নিযুক্ত থাকেন.
কুম্ভ রাশি (২০শে জানুয়ারি – ১৮ই ফেব্রুয়ারি)
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কুম্ভ রাশির জাতকেরা. এই রাশির প্রতীক হলো জল. কুম্ভ রাশির মানুষজন খুব উচ্চাকাঙ্খী হন. এরা নানা রকমের বড় বড় স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু ভাববেন না যে এরা শুধু স্বপ্নই দেখেন; নিজের স্বপ্নপূরণের ক্ষমতাও এদের মধ্যে রয়েছে. যদি এরা কখনো ঠিক করে নেন যে কোনো কাজ এরা করবেন এবং জিতবেন, তাহলে তারা সেটা ঠিকই করবেন এবং অত্যন্ত সততার সাথে ও কাউকে কষ্ট না দিয়েই এরা জিতে দেখাবেন. এরা ভাগ্যের ভরসায় চুপচাপ বসে থাকার লোক নন. যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের মানিয়ে নিতে এদের কোনো অসুবিধে হয় না এবং এরা পরিবর্তনে বিশ্বাসী.
মীন (১৯শে ফেব্রুয়ারি – ২০শে মার্চ)
এই রাশির জাতকেরা যে কোনো কাজই অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে করেন. এদের জীবনের মূলমন্ত্রই হলো “নিজের কাজ হলেই হলো”. পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এরা ঠিক নিজের কাজটা করে নেয়. বাকিদের ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতা যেখানে শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই এদের ভাবনা আরম্ভ হয়. বিভিন্ন সমস্যার এমন এমন সব সমাধান এদের কাছে থাকে, যেগুলোর ব্যাপারে কেউ কোনোদিন হয়তো ভাবেইনি. এদের ঘ্যানঘ্যান স্বভাবের জন্য অনেকসময় বাকিরা বিরক্ত হলেও কাজ নিয়ে এদের দিকে কেউ আঙ্গুল তুলতে পারেনা. মীন রাশির জাতকেরা খুব জেদি হন, কিন্তু এটাই এদেরকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যায়. পরিশ্রম, নিষ্ঠা আর চেষ্টা – এই তিনটি গুন এদের মধ্যে প্রচুর পরিমানে দেখা যায়.
মেষ রাশি (২১শে মার্চ – ১৯শে এপ্রিল)
ফায়ার সাইন অর্থাৎ মেষ রাশির মূলসূত্র হলো অগ্নি, তাই এই রাশির জাতকদের মধ্যে কাজ সংক্রান্ত কোনো রকম ভয় কাজ করে না. এরা কাজ করতে ভালোবাসেন এবং কাজকে কখনোই বোঝা মনে করেননা. সত্যি কথা বলতে কি, এরা ভালোবেসে যে কোনো কাজ করেন. এরা যা যা স্বপ্ন প্রথমদিন থেকে নিজেদের জন্য দেখে এসেছেন, প্রতিটি স্বপ্নপূরণ করেন. হ্যাঁ, হয়তো একবারে এদের সব স্বপ্নপূরণ হয়না, কিন্তু পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস এদেরকে নিজেদের কল্পনা কে বাস্তবে রূপায়িত করতে সাহায্য করে. মেষ রাশির মানুষেরা অনেকেই বিলাসিতা করতে ভালোবাসেন এবং বিলাসবহুল জীবনযাত্রা পছন্দ করেন; শুধু তাই নয়, এরা সেটা করেও দেখান.
বৃষ রাশি (২০শে এপ্রিল – ২০শে মে)
জেদি এবং ধৈর্যশীল – বৃষ রাশির জাতকদের এই অদ্ভুত গুনের মিশ্রণ এদেরকে বাকি সকলের থেকে আলাদা করে রাখে. ‘আর্থ এলিমেন্ট’ অর্থাৎ এই রাশির মূলসূত্র হলো মাটি. এরা যত বড় পদেই থাকুন না কেন, নিজেদের শেকড় কোনোদিন ভোলেন না এবং সবসময় এদের পা মাটিতেই থাকে. প্রশংসা পাওয়া এদের অভ্যেস, তাই কেউ এদের প্রসংশা করলে এরা খুব একটা বিচলিত হন না. নিজের কাজের স্যাটিস্ফেকশনই এদের কাছে শেষ কথা. নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনো এবং নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য এরা কঠিনতম পরিশ্রমও করতে পারেন. তবে কোনো কাজে এরা হড়বড় করেন না. কিন্তু এরা খুব মুডি হন. যে কাজটি মন দিয়ে করেন, তাতে একটা মাইলস্টোন গড়ার ক্ষমতা এদের মধ্যে আছে, কিন্তু কোনো কাজে মন না বসলে, সেটা তাদের দ্বারা হয়না.