শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য আমরা অনেকেই শেভ করি আর তার ফলে অনেক সময়ে আমাদের ত্বকে র্যাশ বের হয়, যেগুলোকে রেজার বাম্প (razor bumps) বলা হয়। এই র্যাশ বা গোটাগুলোতে বেশ ব্যথা হয় আর এটা অনেক সময়ে অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। যদিও এতে শরীরের খুব একটা ক্ষতি হয়না, তবে সারা শরীরে এমন র্যাশ বের হলে অসুবিধে তো হয়ই। এমতাবস্থায় কি করবেন ভেবে পান না অনেকেই। তবে বেশ অনেকগুলি ঘরোয়া টোটকা (home remedies) কিন্তু কাজে লাগতে পারে এই র্যাশ থেকে মুক্তি পাবার জন্য। আসুন সেরকমই কয়েকটা ঘরোয়া চিকিৎসা দেখে নি –
রেজার বাম্প থেকে মুক্তি পেতে এই ৬টি ঘরোয়া টোটকা ট্রাই করে দেখতে পারেন
১। নারকোল তেল
নারকোল তেল কিন্তু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে, আর যেহেতু নারকোল তেলে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপারটিস রয়েছে তাই যেকোনো ইনফেকশন দূর করতে এটি খুবই কার্যকরী। তুলোর বলে কয়েক ফোঁটা নারকোল তেল লাগিয়ে শরীরের যেখানে রেজার বাম্প রয়েছে, সেখানে ভালো করে লাগিয়ে নিন। দিনে ২-৩ বার এভাবে নারকোল তেল লাগান, দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি এই র্যাশ থেকে মুক্তি পাবেন।
২। স্ট্রবেরি মাস্ক
৫-৬ টা স্ট্রবেরি ভালো করে ব্লেন্ড করে স্মুদ পেস্ট তৈরি করে নিন। এবারে তাতে সামান্য ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে যেখানে র্যাশ বেরিয়েছে সেখানে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দিনে ২ বার এই মাস্কটি লাগাতে পারেন।
৩। বেকিং সোডা
বেকিং সোডা তো সবার বাড়িতেই থাকে। রেজার বাম্পের ফলে যে চুলকানি হয় বেকিং সোডা তা উপশম করতে সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। যতটা জল নেবেন তার থেকে দ্বিগুন পরিমানে বেকিং সোডা নিতে হবে। রেজার বাম্প যেখানে রয়েছে সেখানে ভালো করে পেস্ট লাগিয়ে নিয়ে শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন আর শুকনো করে মুছে নিন।
৪। মধু
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপারটিস-এ সমৃদ্ধ মধু একদিকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে অন্য দিকে যেকোনো রকমের ইনফেকশন, র্যাশ, চুলকানি ইত্যাদি কমাতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। কাজেই রেজার বাম্পের কারণে আপনার শরীরের র্যাশ কমাতে আপনি মধু লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে একটা তোয়ালে বরফ জলে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে ভালো করে পরিস্কার করে নিন। কদিনের মধ্যেই ত্বকের এই সমস্যা কমে যাবে।
৫। অ্যাস্পিরিন
শুধু জ্বর-জ্বালা হলেই অ্যাস্পিরিন খেতে হয় তা কিন্তু না। ত্বক ও চুলের নানা সমস্যার সমাধানেও এই ট্যাবলেটের জুরি মেলা ভার। অল্প গরম জলে ২-৩টি অ্যাস্পিরিন ফেলে দিন। এবারে ট্যাবলেট গলে গেলে পেস্ট বানিয়ে শরীরের যেখানে র্যাশ রয়েছে সেখানে লাগিয়ে নিন। মিনিট দশেক বাদে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
৬। উইচ হেজেল
প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে উইচ হেজেল খুব কার্যকরী। ত্বকের যেকোনো ধরণের জ্বালা-পোড়া, র্যাশ, ইনফেকশন, চুল্কানি ইত্যদির উপশমে উইচ হেজেল সাহায্য করে। যদি আপনার শরীরে কোথাও রেজার বাম্পের কারণে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সামান্য উইচ হেজেল তুলোয় করে নিয়ে র্যাশের ওপরে লাগিয়ে দিন। আপনাআপনি এটি ত্বকে শুকিয়ে যাবে। দিনে ৩-৪ বার উইচ হেজেল লাগান দেখবেন রেজার বাম্প থেকে মুক্তি পাবেন।
ছবি সৌজন্যে – অ্যামাজন ডট ইন
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!