এজ ইজ জাস্ট আ নাম্বার। বহু সেলেব একথা প্রমাণ করেছেন। তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিয়েছেন বয়সের (Age) হিসেব। লাইমলাইটে না থাকা কোনও ব্যক্তিত্বও তেমনটা মনে করতে পারেন। যাঁদের জীবনের ঘটনা অনেকটা গল্পের মতো। ঠিক যেমন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা আরতি (Aarti) বি চাটলানি। বয়স ৬২। সম্পর্কে নয়া প্রজন্মের ঠাকুমা (Grandma)। এই বয়সেই ‘গ্র্যান্ডমা আর্থ’ সম্মানের শিরোপা উঠল তাঁর মাথায়। নিজের ভালবাসার কাজটা করে যাওয়ার ইচ্ছে, আর সুযোগটাই বড় কথা, তা যেন আরও একবার প্রমাণ করলেন আরতি।
সম্প্রতি বুলগেরিয়ায় আয়োজিত হয়েছিল গ্র্যান্ডমা ইউনিভার্স প্যাজেন্ট। বেঙ্গালুরু থেকেই আরতিই প্রথম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। আর সেখানেই এল সেরার সম্মান।
ফাইনালে পৌঁছনোর আগে তিনটি রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে হয়েছিল আরতিকে। প্রথম রাউন্ডে লেহেঙ্গা এবং ব্রাইডাল জুয়েলারি ছিল আরতির পরনে। ট্যালেন্ট রাউন্ডে হিন্দি গানের সঙ্গে নাচের পারফরম্যান্স দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। আসলে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে একটি গল্প বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন আরতি। একজন ঠাকুমা তাঁর নাতি-নাতনিদের ইচ্ছে পূরণের জন্য পরিশ্রম করছেন। এটাই ছিল তাঁর পারফরম্যান্সের সারবত্তা। নাচের জন্য প্রচুর প্রপ ব্যবহার করেছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল তাঁর নাতি-নাতনিদের একটি ছবি। যা ভাল লেগেছিল দর্শক ও বিচারকমন্ডলীর।
প্রথম রাউন্ডে লেহেঙ্গা এবং ব্রাইডাল জুয়েলারি ছিল আরতির পরনে। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
গোটা জার্নিটা আরতির কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বাকি প্রতিযোগীরা তাঁর থেকে অনেকটা লম্বা ছিলেন। এমনকি শারীরিক ভাবেও তাঁরা ফিট ছিলেন। সে কারণে প্রথম দিকে আত্মবিশ্বাসের অভাব ছিল তাঁর। কিন্তু আগাগোড়া পাশে পেয়েছেন পরিবারকে। স্বামী, বোন, সন্তানরা এবং নাতি-নাতনিরাও ক্রমাগত উৎসাহ দিয়েছেন তাঁকে। এমনকি বুলগেরিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার ভারতীয় সময় ভোর চারটেতে বসে দেখেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কারণ বোন ছাড়া আর কাউকে বুলগেরিয়ায় নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ফলে এই জার্নিতে পরিবারের সমর্থন ছাড়া তাঁর পক্ষে সাফল্য পাওয়া সম্ভব ছিল না বলে জানিয়েছেন আরতি।
আরতির সাফল্যে তাঁর পরিবার তো বটেই, খুশি প্রতিবেশীরাও। তিনিই এখন অনেকের কাছে উদাহরণ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মনোবিদদের একটা বড় অংশ বলছেন, সত্যিই বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। মনের দিক থেকে আপনি কতটা তরুণ, সেটাই আসল। তাঁদের দাওয়াই, সুস্থ থাকুন। পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিন। আর নিজের যেটা ভাল লাগে, সেটা করার চেষ্টা করুন। তাতেই হবে ম্যাজিক। ঠাকুমাদের বিউটি প্যাজেন্টের মুকুট হয়তো আপনি পাবেন না। কিন্তু পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে ভাল থাকতে তো পারবেন। সেটাই বা কম কী?
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!