‘আমাদের বাড়ি’। এই ধারাবাহিকেই প্রথম অভিনয় করেছিলেন তিনি।এরপর একে একে ‘বেহুলা’, ‘বিসর্জন’, ‘মা’, ‘সতী’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘অগ্নিজল’, ‘সীমারেখা’- একের পর এক ধারাবাহিকে অভিনয়। ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়া যে হাওড়া আন্দুলের বাসিন্দা যে মেয়েটি অভিনয় শুরু করেছিল, সে আজ ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বিষয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। তিনি অর্থাৎ অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা (Priyanka) ভট্টাচার্য। ধারাবাহিক ছাড়াও হোলি ফাক বা ব্যোমকেশ-এর মতো ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। একটা ছবি এবং একটা মিউজিক ভিডিওর শুটিং শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। তবে এবার লক্ষ্য মুম্বই। প্রস্তুতির ফাঁকেই আড্ডা দিলেন।
অভিনয়ের ইচ্ছেটা কীভাবে হল? বাড়িতে কেউ অভিনয় করেন?
না, বাড়িতে কেউ অভিনয় করেন না। তবে বাবা-মা প্রথম থেকেই খুব সাপোর্ট করেছেন। যখন ছোট ছিলাম মা আমাকে শুটিংয়ে নিয়ে যেত। কিছুদিন আগেও মানে সরস্বতী পুজোর কয়েকদিন আগে দুপুরে খবর পাই যে, পরের দিনই মুম্বইতে মুকেশ ছাবড়ার প্রোডাকশনে একটা অডিনশ রয়েছে। সেদিনই রাতে ফ্লাইটের টিকিট কেটে বাবা আমাকে নিয়ে যান। আবার অডিশন দিয়ে পরের দিন ফিরে আসি। এখন মুম্বইতে কাজ করতে চাই।
হঠাৎ মুম্বই শিফট করার কথা ভাবছেন কেন?
আমার মনে হয়, বয়স অনুয়ায়ী আমার মুম্বই শিফট করার জন্য এটাই সেরা সময়। এখানে যে সুযোগ পাইনি, ওখানে অডিশন দিয়ে সেই সুযোগ পেতে পারি।
নিজেকে নিয়মিত গ্রুম করেন অভিনেত্রী। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
এখানে সুযোগ পাননি কেন মনে হচ্ছে?
এই জেনারেশনের কতজন অভিনেত্রী এখানে কাজ করছে বলুন? কোয়েলদি, শুভশ্রীদি বা শ্রাবন্তীদির কথা বলছি না কিন্তু। আমাদের জেনারেশনের অভিনেত্রীদের কথা বলছি। এখানে কাজের গ্রোথ কোথায়? একজন কাজ করলে পরপর তিনিই কাজ করছেন। সকলে সুযোগ পাচ্ছেন কি? আর আমার বাবারও স্বপ্ন যে মেয়ে মুম্বইতে গিয়ে ভাল কাজ করবে।
টলিউডে সকলে সুযোগ পাচ্ছেন না কেন?
এখানে মানুষ সম্পর্ক অনুযায়ী কাজ পান। ওর সঙ্গে বন্ডিং ভাল, তো ওই কাজ করুক, এমন একটা ব্যাপার। মুম্বই খুব প্রফেশনাল। আমি কাজের জন্য কাউকে তেল দিয়ে চলতে পারব না। সকলের সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল রাখি। আমি মনে করি, আমি ডিজার্ভ করলে নিশ্চয়ই কাজ পাব। কিন্তু কাজ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও গ্রুপে থাকতে পারব না। শুধুমাত্র কাজ পাওয়ার জন্য পার্টি বা নাইট আউট করতে পারব না।
আপাতত পাড়ি দিতে চান মুম্বই। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
আপনার কোনও ইনসিকিওরিটি রয়েছে?
অভিনয় নিয়ে আমার কোনও ইনসিকিওরিটি নেই। ডায়েট করে, জিম করে নিজেকে মেনটেন করি আমি। কিন্তু হাইট নিয়ে একটু ইনসিকিওরিটি রয়েছে। সেটা তো আমার হাতে নেই। আমার মনে হয়, বাকি দিকগুলো আরও স্ট্রং করব, হাইট অত নয় তো কী হয়েছে! আর যদি বলিউড দেখেন, তাহলে রানি মুখোপাধ্যায়ের কী বা হাইট, বিদ্যা বালনের চেহারা ভারী আর নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে হিরো সুলভ দেখতে নয়। যাঁদের নাম করলাম, তাঁরা সকলেই আমার অত্যন্ত পছন্দের। আর দারুণ কাজ করছেন।
টলিউডে ভরসা করার মতো কেউ রয়েছেন? কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে আপনার?
না! এই ইন্ডাস্ট্রিতে ভরসা করার মতো কেউ নেই। আমার যাবতীয় কথা মায়ের সঙ্গে শেয়ার করি। আর আমার কলেজের বন্ধু আকাঙ্খা ওর সঙ্গেও শেয়ার করি। যদি বন্ধুত্ব বলেন, অনামিকা, মানে ‘হোলি ফাক’-এ যে আমার সঙ্গে অভিনয় করেছিল, ও আমার ভাল বন্ধু।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!