‘যে কটা দিন তুমি ছিলে পাশে…’ সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর এই গানটির (song) ডুয়েট ভার্সন সদ্য মুক্তি পেয়েছে। সৃজিত ‘২২-শে শ্রাবণ’-এও গানটি ব্যবহার করেছিলেন। সে সময় অনুপমের সঙ্গে জুটি বেঁধে গেয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। এর এবার অনুপমের সঙ্গে গেয়েছেন ইমন (iman) চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই গানটি নতুন করে জনপ্রিয় হয়েছে। শ্রেয়ার পরে শ্রোতার ভাল লাগছে ইমনের গলাও। গানের জার্নি নিয়ে আড্ডা হল, সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে সচেতনও করলেন ইমন।
শ্রোতাদের ভাল লাগছে এটুকু বুঝতে পারছি। বাকিটা জানি না।
গত বছর পুজোর আগে আগে সৃজিতদা ফোন করে বলেছিল, তোমার জন্য একটা গান আছে। অনুপম যোগাযোগ করবে। তারপর অনুপমদা যোগাযোগ করল।
(প্রশ্ন থামিয়ে) হ্যাঁ, এটা এখন আমার সঙ্গে হচ্ছে। ‘রঙ্গবতী’ খুব হিট হল। সেটাও আগে গাওয়া একটা গান। বলুন প্লিজ…
তুলনার কথা জানতে চাইছেন?
দেখুন বাংলা গানের জগতে এটা একটা রিমার্কেবল গান। কিন্তু মানুষের থেকে গান বড়। আগের বার শ্রেয়া গেয়েছিলেন। তুলনা আসতেই পারে। কিন্তু আমি ওর কথা মাথায় রেখে গাইনি। আমি তো ওর মতো গাইতে পারব না। আসলে কেউই কারও মতো গাইলে গান হয় না। আমাকে যেভাবে সিচুয়েশন ব্রিফ করা হয়েছে, সেভাবে গেয়েছি। অনুপমদার সঙ্গে প্রথম ডুয়েট রেকর্ড করলাম। সেটাও নতুন ব্যাপার।
হ্যাঁ, লাইভ পারফর্ম করেছি। আসলে অনুপমদার সঙ্গে কাজ করলে আলাদা করে প্রেশার থাকে না। অনুপমদা গান গাওয়াতে চাইলেও হোমওয়ার্কের সুযোগ দেয়। আগে গান পাঠিয়ে দেয়। ফোন করে। আমার একটু ভারী গলা। ডুয়েট করাটা সহজ নয়। এই গানটায় আমি অন্যরকম ভাবে ইম্প্রোভাইজ করার চেষ্টা করেছি।
হ্যাঁ, ওটা আমার আর শোভনের ডুয়েট।
দেখুন, ডিপ্রেশন (depression) একটা ব্যাধি। সাইলেন্ট কিলার। আমি নিজে ফেস করেছি। ফলে এটা মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। ব্যক্তিগত জীবন আমি গ্লোরিফাই করতে চাই না। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ডিপ্রেশন এসেছিল। আমি যখন ডাক্তারের কাছে যাই, উনি বলেছিলেন, একটা হলোনেস ভিতরে আগে থেকেই ছিল। সেটা হয়তো আমি বুঝতে পারিনি। একটা সময় বেরিয়ে এসেছে। হতে পারে আমার মায়ের চলে যাওয়াটা…। মা আজ ছ-সাত বছর হল নেই। একটা সময় মা হাসপাতালে ভর্তি হলেই আমার জ্বর আসত। ফলে মায়ের চলে যাওয়াটা কারণ হতে পারে। আবার সম্পর্কে বিচ্ছেদ মানে সেটাও তো এক ধরনের চলে যাওয়া…
হ্যাঁ, খুব ভাল আছি। আমি অনুরোধ করব, সচেতনার জন্য বলব সকলকে, যদি নিজের মেন্টাল হেলথে কোনও সমস্যা মনে হয়, প্লিজ ডাক্তারের কাছে যান। কোনও লজ্জা করবেন না। যেভাবে জ্বর হলে ডাক্তার দেখানোটা জরুরি, তেমন মন খারাপ হলেও ডাক্তার দেখান। আমি বুঝেছি বলেই বলছি আপনাদের।
অরিন্দমদার ‘মায়াকুমারী’তে কিছু কাজ আছে। আর গত চার বছর ধরে ‘বসন্ত উৎসব’ করি আমি। এবার সেটা ২৯ ফেব্রুয়ারি। তার কাজ নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত।
দেখুন রেসপন্স যে খুব ভাল, এটা বলতে পারব না। কীভাবে যে মানুষকে সিঙ্গলস শোনানো যায়, বুঝতেই পারছি না। আমি একেবারে ক্লুলেস। এটাই যদি রবীন্দ্রসঙ্গীত বা ফোক হত, তাহলেই হিট হত সম্ভবত।
আসলে ফর দ্য সেক অব মিউজিক, সেক অব ফিউচার আমাদের কাজ করে যেতেই হবে। প্যাকেজিং নাকি কনটেন্ট, গন্ডগোলটা কোথায় হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। হোপ ফর দ্য বেস্ট…।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!