ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
এই পুজোতে ‘খাবার’-এর হাসি-কান্না-মান-অভিমানের ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছেন প্রযোজক প্রসেনজিৎ

এই পুজোতে ‘খাবার’-এর হাসি-কান্না-মান-অভিমানের ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছেন প্রযোজক প্রসেনজিৎ

বাঙালি একাধারে পেটুক এবং পেটরোগা! এবং বোধ হয় পেট শব্দটির সঙ্গে পুজো যোগ করানো একমাত্র জাতি! আমাদের জন্য পুজো এবং পেট দুটোই এত গুরুত্বপূর্ণ যে, পুজোতে পেটপুজো নিয়ে আমরা বরাবরই চিন্তিত হয়ে থাকি! ওই কটাদিন কোথায় খাব, কী খাব, কখন খাব, খেয়ে উঠে কী ওষুধ খাব, কোন খাবারটা খাওয়া উচিত নয় জেনেও খাব, কোন খাবার জাস্ট ভাল লাগছে বলে বেশি খেয়ে অস্বস্তিতে পরব…এসবই প্রতি বছর পুজোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ! আর সেই ভাবনাকেই উসকে দিতে এবার পুজোতে (puja) তিন-তিনটি খাবারের (food) ছবি (web series) নিয়ে আসছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কিন্তু অভিনেতা হিসেবে নয়, প্রযোজক হিসেবে!

প্রসেনজিৎ (Prosenjit) এর আগেও ছবি প্রযোজনা করেছেন, সিরিয়াল প্রযোজনাতেও তাঁর সংস্থা এনআইডিয়াজ হাত পাকিয়েছে। কিন্তু ভিন্নধর্মী বিষয় নিয়ে ওয়েব সিরিজ প্রযোজনা এই প্রথম। ওয়েব সিরিজটি তিনি তৈরি করছেন জি ফাইভ-এর জন্য। প্রসঙ্গত জি-এর এই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে আর আগেও বেশ কয়েকটি বাংলা ওয়েব সিরিজ বা ভিন্নধর্মী ছবি দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে পাওলি দামের ‘কালী’ যথেষ্ট প্রশংসিতও হয়েছে। পুজোর সময়, যখন অনেকেই বাড়িতে বসে টিভি দেখে, আড্ডা মেরে পুজো কাটাতে চান, তখন এই ভিন্নধর্মী ওয়েব সিরিজ ভাল দর্শক পাবে বলেই মনে করছেন জি-এর কর্তাব্যক্তিরা। ফুড অ্যানথোলজি নিয়ে মোট চারটে ছবি করতে চলেছে জি, তার মধ্যে প্রসেনজিতের সংস্থা তিনটি ছবির দায়িত্ব নিয়েছে। 

তিনটি ছবির পরিচালকও আলাদা। সম্ভবত, ছবির কলাকুশলীরাও আলাদা হবেন, কারণ, শুটিংয়ের সময় এবং স্থান, সবই আলাদা হতে চলেছে। তিনটি খাবারের ছবি তিনটি বিখ্যাত পদের নামে রাখা হয়েছে! তবে নাম শুনে ঘাবড়ে যাবেন না! এই ছবিগুলি মোটেও খাবারের ডকুমেন্টারি নয়। বরং প্রতিটি ছবিতেই নামকরণে বলা খাবারগুলির সঙ্গে ছবির গল্পের ওঠাপড়ার আশ্চর্য মিল আছে। কোনওটা মিষ্টি প্রেমের ছবি, কোনওটা কমেডি, কোনওটা আবার বয়স্কদের নিয়ে তৈরি ইমোশনাল ছবি।

প্রথমটির নাম, ‘দাওয়াত-এ-বিরিয়ানি’। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এই ছবিটির গল্পের পটভূমিকা লখনউয়ের। তবে কেমনভাবে বিরিয়ানি আর হিউম্যান ইমোশনস মিলে যাবে, সে সম্পর্কে এখনও খোলসা করে কিছু বলা হয়নি। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুহাসিনী মূলে। আর পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন অদিতি রায়। দ্বিতীয় ছবিটির নাম ‘ফিল্টার কফি-লিকর চা’! ছবির পরিচালনার দায়িত্বে দেবারতি গুপ্ত। ছবিটি মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে। দক্ষিণি ছেলে ও বাঙালি মেয়ের প্রেমের গল্পে টুইস্ট এবং মজা নিয়েই এগোবে তার গল্প।মুখ্য ভূমিকায় আছেন প্রিয়ঙ্কা সরকার ও নিশান। তৃতীয় ও শেষ ছবিটির নাম ‘ডাব চিংড়ি’! এই ছবিটির মাধ্যমে অনেকদিন পর আবার পর্দায় দেখা যাবে ডাকসাইটে অভিনেত্রী ও সাংসদ সন্ধ্যা রায়কে। পরিচালক সুদীপ দাস জানিয়েছেন যে, এই ছবির গল্প এক বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে, যেখানে ঠাঁই পেয়েছেন সন্ধ্যা রায়ও। মা-ঠাকুরমার হাতের নানা বাঙালি রান্নার গল্প নাকি শোনা যাবে ‘ডাব চিংড়ি’-তে। 

ADVERTISEMENT

ছবির গল্প, নামকরণ ও অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাই, সবেতেই যথেষ্ট চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রযোজক প্রসেনজিৎ। তাঁর ও তাঁর টিমের এই প্রচেষ্টা দর্শকের কতটা ভাল লাগে, সেটাই এখন দেখার!

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

12 Jul 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT