করোনা, লকডাউন, আনলক এই শব্দগুলো গত কয়েক মাস ধরে আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এর আগে এই সব শব্দের সঙ্গে পরিচয় ছিল না কারও। এই পরিস্থিতি আমাদের কাছে নতুন। সমস্যা নতুন। সিলেবাসের বাইরে বলেই এখনও পর্যন্ত সমাধান অধরা।
লকডাউনে কম-বেশি বদলে গিয়েছে সকলের আচরণ। বিরুদ্ধ পরিস্থিতির সঙ্গে টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছি আমরা সকলেই। শারীরিক দিক থেকে ইমিউনিটি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে মন ভাল রাখাও জরুরি। যদিও এই আতঙ্কের পরিস্থিতিতে আনপ্রেডিক্টেবল আচরণ করে ফেলছি হয়তো অনেকে।
এ তো গেল আমাদের কথা। শিশুদের উপর এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে অন্য ভাবে। সবটা তারা বুঝতে পারছে না। ফলে নিজেদের অস্বস্তির কথাটা সব সময় হয়তো সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারছে না। একে সারাদিন গৃহবন্দি, তার উপর নতুন করে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। সব মিলিয়ে তাদের সামলাতে গিয়ে নতুন করে বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাবা-মায়েরাও।
মা-মেয়ের বন্ডিং। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
ব্যতিক্রম নন সেলেবরাও। সেলেব মমরাও নতুন করে শিখছেন অনেক কিছুই। আর সেই অভিজ্ঞতা এবার সকলের সঙ্গে শেয়ার করলেন ঐশ্বর্যা (Aishwarya) রাই বচ্চন।
২০১১ নভেম্বরে একমাত্র মেয়ে আরাধ্যার জন্ম দেন ঐশ্বর্যা। জন্মের পর থেকেই মেয়ে নিয়েই প্রায় সব অনুষ্ঠানে যান নায়িকা। কানের রেড কার্পেট হোক, ফিল্মি পার্টি বা কোনও হেভিওয়েট বিয়েবাড়ি সব জায়গাতেই আরাধ্যাকে সঙ্গে নিয়ে যান ঐশ্বর্যা। লকডাউনে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি আরাধ্যাকে সামলানো খুব একটা সহজ ছিল না। তার উপর অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা এবং আরাধ্যা নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সকলেই আপাতত সুস্থ। কিন্তু প্রিয়জনেদের এবং নিজের অসুস্থতায় মন খারাপ হয়েছিল আরাধ্যারও।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও হালকা উপসর্গ থাকায় প্রথমে ঐশ্বর্যা এবং আরাধ্যার বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। পরে তাঁদের নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন মা-মেয়ে। আপাতত রয়েছেন বাড়িতেই।
ঐশ্বর্যা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর পেরেন্টিং টিপস। আরাধ্যার জীবনটা আরাধ্যারই। তা কোনওভাবে কন্ট্রোল করা তাঁর কাজ নয়। তাই আরাধ্যা যেটা করতে চায়, তাকে সেটাই করতে দেন তিনি। বরং মা হিসেবে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখেন। নিজের কোনও ভুল থাকলে তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আরাধ্যাকে সুখী এবং সুস্থ দেখতে চান তিনি। তার সব সিদ্ধান্তকে সাপোর্ট করতে চান। অন্য সব মায়ের মতোই মেয়ের নিরাপত্তা তাঁর কাছে শেষ কথা। শুধু সেটুকু নিশ্চিত করাই তাঁর কাজ।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে যাতে শিশুদের মনে কোনও ভয় না চেপে বসে, তার জন্য সহজ করে পরিস্থিতি বোঝানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঐশ্বর্যা। করোনা সংক্রান্ত সব তথ্যই শিশুদের মতো করে বোঝাতে হবে। শিশুদের নিজের পছন্দের কাজ করতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঐশ্বর্যা। তবে সবটাই সাবধানে, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!