যাঁরা নিয়মিত রূপচর্চা করেন, তাঁরা সারা দিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় বের করে নেন। আর কিছু না হোক, CTM রুটিন তাঁরা মেনে চলেনই! CTM অর্থাৎ ক্লেনজিং টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং। হ্যাঁ মরশুম বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ক্লেনজিং রুটিন বদলায়। অথবা বাইরে বেশি বেরতে হলে তখনও ক্লেনজিং-এর বদলে ডবল ক্লেনজিং বা ডিপ ক্লেনজিং করতে হয়। অনেকেই কিন্তু ইদানিং হাত দিয়ে ক্লেনজিং করার বদলে ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ (facial cleansing brush) ব্যবহার করছেন। আপনিও নিশ্চয়ই এই ব্রাশগুলোর বিজ্ঞাপন দেখেছেন! কিন্তু ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ কী আর তা ব্যবহারই বা করে কিভাবে? জেনে নিন।
ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ কী
অনলাইনে এমন ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ অনায়াসে পেয়ে যাবেন (ছবি – ইনস্টাগ্রাম)
ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ (facial cleansing brush) কেন ব্যবহার করবেন, সে বিষয়ে জানার আগে এই বস্তুটি কী, তা জানা প্রয়োজন। নাম শুনে তো বোঝাই যাচ্ছে যে এই ব্রাশটি মুখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। সাধারনত, প্লাস্টিক বা সিলিকনের তৈরি হয় ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ। এর হাতলের মাথায় একটি ব্রাশ লাগানো থাকে যা খোলা যায়। আবার অনেক ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশে এরকম কিছু থাকে না। একটা বলের মত দেখতে হয় সেগুলো, আর বাইরের অংশে ব্রিসল থাকে যা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা হয়। আপনি যে ক্লেনজার (cleanser) ব্যবহার করেন, সেটিই এই ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ ব্যবহার করবেন কেন
১। হাত দিয়ে আপনি যতই মুখ পরিষ্কার করুন না কেন, ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করা অসম্ভব। ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশের (facial cleansing brush) ব্রিসলগুলো এত সুক্ষ্ম হয় যে অনায়াসের লোমকূপের ময়লা টেনে বার করতে পারে এবং ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হয়।
২। ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ যে শুধু ক্লেনজিং-এর জন্যই ব্যবহার করা হয় তা কিন্তু নয়, স্ক্রাবিং-এর কাজও হয়ে যায়। যেহেতু আলতোভাবে স্ক্রাবিং-এর কাজও এই ব্রাশ করে, কাজেই ত্বক থাকে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
৩। নিয়মিত ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ ব্যবহার করলে ত্বকের উপরে ময়লা বা মরা কোষ জমার সুযোগই থাকে না। ফলে চোখে পড়ার মত উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আপনার ত্বক। আর যেহেতু গভীরে গিয়ে এটি ত্বক পরিষ্কার করে, কাজেই ত্বকের যত সমস্যা তাও দূর হয়।
৪। এই ব্রাশগুলিতে ভাইব্রেটর থাকে, ফলে যখন আপনি ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ ব্যবহার করেন, তখন ফেস মাসাজের কাজও হয়ে যায়। ফলে রক্ত সঞ্চালনও ঠিকভাবে হয় আপনার ত্বকের গভীরে।
আমাদের পছন্দের কয়েকটি ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ
কিছু জরুরি বিষয় মাথায় রাখুন
১। ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ সব সময়ে শুকনো জায়গায় রাখবেন। আপনি স্নানের সময়ে এটি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু জল ঝরিয়ে শুকিয়ে তবেই আবার বাক্সে ভরে রাখবেন।
২। ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ ব্যবহার করা হয়ে গেলে খুব ভাল করে ধোবেন। যেহেতু এই ব্রাশের ব্রিসলগুলো খুব সুক্ষ্ম হয়, কাজেই ভাল করে পরিষ্কার না করলে এর মধ্যে ক্লেনজার (cleanser), মেকআপ বা অন্যান্য প্রসাধনী থেকে যেতে পারে। পরে আবার ওই ব্রাশ ব্যবহার করলে ত্বকে নানা সমস্যা হতে পারে।
৩। একবার ফেসিয়াল ক্লেনজিং ব্রাশ ব্যবহার (facial cleansing brush) করলে আপনার সব সময়েই এটি দিয়েই মুখ পরিষ্কার করতে ইচ্ছে করবে। কিন্তু সব সময়ে এই ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। যদি আপনার নর্মাল ত্বক হয়, সেক্ষেত্রে দিনে একবার করে এটি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। তবে যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, সেক্ষেত্রে সপ্তাহে দু’দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!