বলুন তো, জানতেন কি মাঝে মধ্যে উপোস করেও ওজন কমানো সম্ভব? The New England Journal of Medicine পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য উপোস করলে নাকি ওজন কমতে (all you need to know about intermittent fasting) সময় লাগে না। আসলে উপোস করার সময় মেটাবলিক সুইচিং হয়, যে কারণে শরীরের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবেই ওজন তো কমে। কিন্তু এই উপোস করারও একটা কায়দা আছে, সেটাই জেনে নিন
মেটাবলিক সুইচিং কী?
গোদা বাংলায় যাকে উপোস (all you need to know about intermittent fasting) বলে, তাকেই এই নামে ডেকে থাকেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকলে শরীর এবং ব্রেন ফাংশনে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। আসলে শরীর অনেকক্ষণ খাবার না পেলে দেহের মেটাবলিজম বদলে যায়, যাকে মেটাবলিক সুইচিং বলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে শরীর, গ্লুকোজ এবং চর্বি গলিয়ে দেহের প্রয়োজনীয় জ্বালানির সরবরাহ বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে সচল রাখে। তাই বুঝতেই পারছেন, মাত্রাতিরিক্ত হারে ফ্যাট বার্ন হওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে চট করে।
যদি উপোস করার সময় অল্পবিস্তর এক্সারসাইজ করা যায়, তা হলে তো কথাই নেই! তাতে লিভারে মজুত গ্লাইকোজেন এবং অ্যাডিপোস সেলে জমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের খরচও বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে মজুত থাকা ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলি বেরিয়ে গিয়ে সেই জায়গায় নতুন কোষ জন্ম নিতে শুরু করে, যে কারণে শরীর রোগমুক্ত থাকে। তবে এত সব উপকার পেতে নির্দিষ্ট সময় উপোস (all you need to know about intermittent fasting) করার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া যেমন করতে হবে, তেমনই নিয়ম করে আট ঘণ্টার ঘুমও জরুরি।
উপোসের পরে শরীর ঠিকমতো খাবার এবং আরাম পেলে তার রিকোভারি মোড অ্যাকটিভ হয়। আর তখনই শরীরের ভিতরের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই কারণেই তো উপোস, এক্সারসাইজ এবং বিশ্রাম, এই তিনটি জিনিস যাতে হাত ধরাধরি করে চলে, সেদিকে নজর ফেরানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
উপোস করার নিয়ম
দুটো নিয়ম মেনে উপোস করতে পারেন –
এক, প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন। এক্ষেত্রে দিনে ছ’ থেকে আট ঘণ্টা খেতে হবে, বাকি সময় উপোস।
অন্য নিয়মটিকে ৫:২ রুল বলা হয়। অর্থাৎ সপ্তাহে পাঁচ দিন কব্জি ডুবিয়ে খেলেন, আর বাকি দু’দিন খুব কম খেলেন। এই পদ্ধতিতেও মেটাবলিক সুইচিং হয়।
তবে মাথায় রাখবেন, দু’টি পদ্ধতিই কিন্তু সহজ নয়, তাই উপোস (all you need to know about intermittent fasting) শুরু করার আগে কতগুলি বিষয় খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। যেমন ধরুন,
১. হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেবেন না। তাতে শরীরের তো কোনও উপকার হবেই না, উল্টে কষ্ট সহ্য করতে না পেরে উপোস করার ইচ্ছেটাই চলে যাবে। তাই ধীরেসুস্থে শুরু করুন। অল্প-অল্প করে খাওয়া কমান। সঙ্গে এক্সারসাইজ শুরু করুন। সময় যত এগোবে, তত খাওয়ার পরিমাণ কমাতে থাকুন। তবে এক্ষেত্রে একবার ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!
২. উপোস (all you need to know about intermittent fasting) শুরু করার প্রথম কয়েকটা দিন খুব খিদে পাবে। তা বলে চিন্তা করবেন না যেন! বরং একটু সহ্য করুন। তাতে করে শরীর এবং ব্রেন এই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে। ফলে ধীরে-ধীরে উপকার পেতে শুরু মিলবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, intermittent fasting করে উপকার পেতে সপ্তাহদু’য়েক লেগেই যায়। কারও-কারও তো এক মাস লেগে যায় ওজন কমতে। তাই ধৈর্য ধরে এই ডায়েট প্ল্যান মানতে থাকুন। দেখবেন, উপকার পাবেনই পাবেন!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!