আদা-জল খেয়ে লেগে পড়ুন! প্রবাদবাক্যটির অর্থ কী? মানে, কোনও কাজে মরণপণ করে এগিয়ে পডুন কোমর বেঁধে! কিন্তু যদি বলি, আদা-জলের আরও অনেক উপকারিতা আছে, মানবেন? যদি বলি, আদা-জল খেলে ওজন কমে, পিরিয়ডের সময়কার পেটে ব্যথা কমে, বমি-বমি ভাব কেটে যায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, মানবেন? না মানলে কিছু করার নেই, কিন্তু এগুলো একশো শতাংশ খাঁটি সত্যি কথা! আদা তো এমনিতেই উপকারী জিনিস, কিন্তু আদা-জলও যে ততটাই উপকারী, সে সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি না। আজ তাই আদা-জলের কিছু উপকারিতার (health benefits) কথা আমরা বলে দিচ্ছি, এর পরও যদি আপনি ব্যক্তিগত জীবনে আদা-জল (ginger water) খেয়ে কাজে না লাগেন, তা হলে সমস্যা আপনার!
আরও পড়ুনঃ তামার বোতলে জল খাওয়ার উপকারিতা
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে
না, গ্যালন-গ্যালন আদা-জল খেলেই আপনি টিংটিঙে রোগা হয়ে যাবেন না। কিন্তু ডায়েটিং করার সময় লোকে যে গ্রিন টি কিংবা ব্ল্যাক কফি খায় খিদে মারার জন্য, তার পরিবর্তে আদা-জল খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সরাসরি জলে আদা মিশিয়ে খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তৈরি করে রাখুন জিঞ্জার আলে। এক জাগ ঠান্ডা জলে সরু-সরু করে কাটা আদার জুলিয়েন, পুদিনা পাতা, অল্প লেবুর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিন এই পানীয়। খেতেও ভাল, রাখবেও ভাল! কারণ, এই পানীয় খিদে মেরে দেওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে শরীরকে প্রয়োজনীয় জল যোগায়, যা আবার ওজন কমানোর জন্য আদর্শ!
আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে ডিটক্স ওয়াটার রেসিপি
২. পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা কমিয়ে দেয়
প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা আর পেটে ক্র্যাম্প নিয়ে কষ্ট পান? তা হলে আপনার চাই আদা-জল! আদায় উপস্থিত অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে পিরিয়ডের সময় যখন জরায়ু ফুলে আছে, তখন আদা-জল এই জরায়ুর ফোলা ভাব কাটিয়ে দিতে সাহায্য করে এবং ফলস্বরূপ পেটের ক্র্যাম্প কিংবা ব্যথাও অনেকটা কমে যায়।
৩. গা গোলানো এবং বমি-বমি ভাব কাটিয়ে দিতে সাহায্য করে
সকালে উঠে গা গোলানো রোগ আছে? প্রেগন্যান্সির সময়ে মর্নিং সিকনেসে কষ্ট পাচ্ছেন? কিংবা গাড়িতে কিছুক্ষণ ট্রাভেল করার পরেই বমি-বমি পায়? আপনার প্রয়োজন আদা-জলের। বোতলে আদা-জল তৈরি করুন রোজ সকালে উঠে। আর প্রথমেই খালি পেটে এক গ্লাস খেয়ে নিন সেই জল। তা হলেই এই বিশ্রী অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন।
৪. ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
যাঁরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা রোজ এক গ্লাস জলে দুই চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো গুলে খান। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এটি একটি অব্যর্থ দাওয়াই বলেই আজকাল বলছেন বিশেষজ্ঞরা!
৫. মাসল পেন কমিয়ে দেয়
পুজোর আগে তেড়েফুঁড়ে ব্যায়াম করছেন বলে শরীরের গাঁটে-গাঁটে ব্যথা? কিংবা নিয়মিত জিমে গিয়ে মাসলে পেন হচ্ছে? বা ধরুন এমনিতেই কোনও কারণে শুতে-বসতে গিয়ে চোট পেয়েছেন ফলে হাতে-পায়ে ব্যথা হয়েছে? এক্ষেত্রে জলে আদার টুকরো ফেলে তা ফুটিয়ে, সেই পানীয় ছেঁকে পান করুন। দেখবেন, আরাম পাবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!