‘ফিরকি’ (Phirki)। হ্যাঁ, তাঁকে দর্শক এই নামেই চেনেন। অন্যরকম কনসেপ্ট নিয়ে টেলিভিশনে কয়েক মাস শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘ফিরকি’। সেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন সম্প্রীতি পোদ্দার। এটাই তাঁর প্রথম কাজ। ইতিমধ্যেই দর্শক পছন্দ করেছেন তাঁকে। চলতি সপ্তাহ থেকে আগামী সাতদিন ‘ফিরকি’-র মহাপর্ব চলবে। তার আগে আড্ডায় মুখোমুখি সম্প্রীতি (Sampriti)।
আপনার অভিনয়ের শুরু কীভাবে?
আমি ছোট থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ করতাম। ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছি। মা থিয়েটার করতেন, সেটা দেখেছি। স্টেজ বরাবরই ভাল লাগত। অভিনয়ের ইচ্ছেও ছিল। কলেজের সময় থেকেই মডেলিং শুরু। এই ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ মডেলিংয়ের মাধ্যমেই আসে।
আপনার বাড়িতে কে কে রয়েছেন?
জেঠু, জেঠিমা, বাবা, মা, ঠাকুমা।
কেউ কি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত?
না, আমিই প্রথম অভিনয় করেছি। আর মায়ের কথা তো বললাম। কিন্তু মা অনেক আগে থিয়েটার করতেন।
বাড়িতে সকলে আপনার কাজের সাপোর্টার?
শুটিংয়ের ফাঁকে আর্যার সঙ্গে সম্প্রীতি। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্য়ে।
প্রথমে বাড়িতে একটু অসুবিধে হয়েছিল। বোঝাতে হয়েছিল সকলকে। কিন্তু এখন সকলে খুব সাপোর্টিভ। খুব এক্সাইটেড।
কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছেন?
ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। ট্রেলার দেখানোর সময় থেকেই আমি ভাল ফিডব্যাক পাচ্ছি। আসলে এই ধরনের কনসেপ্ট নিয়ে তো আগে টেলিভিশনে কাজ হয়নি। সকলেই খুব অ্যাপ্রিসিয়েট করছেন। আফটার লকডাউন আমার পার্টটা একটু দেখানো হয়েছিল। ফিরকি চরিত্রের ছোট বয়স দেখা হচ্ছে এখন, ফ্ল্যাশব্যাকে। একদম ছোট বয়সের চরিত্র করেছে মাহি সিং। আর টিনএজ চরিত্রে অভিনয় করেছে অদ্রিজা মুখোপাধ্যায়। দুজনেই খুব সুন্দর অভিনয় করেছে। আমি সেই ধারাটা বজায় রাখার চেষ্টা করব।
করোনা আতঙ্কের মধ্যে শুটিং করছেন, নিশ্চয়ই সব সাবধানতা মেনেই কাজ হচ্ছে?
অবশ্যই। সব সেফটি মেনেই শুটিং হচ্ছে। মেকআপ রুমে তিনজনের বেশি অ্যালাও করা হচ্ছে না। বার বার স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। মাস্ক পরে থাকছি আমরা সারাক্ষণ। শুধু শট দেওয়ার সময় মাস্ক খুলছি।
ফিরকির চরিত্রটা গড়ে তুলতে আপনাকে কারা সাহায্য করেছেন?
আমাদের পরিচালক সৌমেন হালদার খুবই সাহায্য করেছেন। ফিরকি মেয়েটি অনাথ। মা, বাবা ত্যাগ করেছে ওকে। একজন ট্রান্সজেন্ডার মহিলা ওকে বড় করে তোলে। সেই ওর মা। সমাজে অনেক বাধা পেরিয়ে আসতে হচ্ছে ওকে। ফিরকি উকিল। সমাজে এই শ্রেণীর মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করবে ও। তারা তো আমাদের মতোই, আলাদা কিছু নন। এই গল্পটা আগে ভাল করে বুঝেছি। আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন আর্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি খুব সাহায্য করেছেন। তাছাড়া আমার মাসিদের চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করছেন, তাঁরা এই কমিউনিটির সদস্য। ফলে তাঁদের জীবনটা কেমন, সেটা দেখছি, শুনছি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে সেটা খুব সাহায্য করেছে। ওঁদের কাজ মনিটরে দেখেও শেখার চেষ্টা করি।
অভিনয় করতে এসে বন্ধুত্ব হল কাদের সঙ্গে?
ফিরকির নতুন লুক। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
আসলে সকলেই আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। আমি যে নতুন, সেটা কেউ বুঝতে দেননি। মল্লিকাদি, তনিমাদি সকলের কাছ থেকেই শিখতে পারছি।
যেহেতু প্রথম কাজ, আলাদা কোনও চাপ অনুভব করেন?
আমি খুব এক্সাইটেড। নার্ভাসও লাগছে। পুরো জিনিসটাই তো নতুন আমার কাছে। পুরো প্রসেসটাই খুব এনজয় করছি। আমাদের প্রোডিউসার স্নিগ্ধাদি খুব বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। সব রকম ইমোশান একসঙ্গে কাজ করছে।
কার সমালোচনা শুনে আপনি নিজেকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করেন?
মা। মা আমার সবচেয়ে বড় ক্রিটিক।