কেরিয়ারের বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞতাও হয়েছে অনেক রকম। ইদানিং টলিউড (Tollywood) তো বটেই। বলিউডেও নজর কেড়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা (Anindita) বসু। কলকাতা এবং মুম্বই তাঁর নিত্য যাতায়াত। বাংলা এবং হিন্দি-দুই ভাষার ওয়েব সিরিজে তিনি জনপ্রিয় মুখ। কিছুদিন আগে আমাজন প্রাইম-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পাতাল লোক’-এ তাঁর অভিনয় তুমুল প্রশংসা পেয়েছে। গোটা সিরিজে বাঙালি মুখের মধ্যে তাঁর কথা আলাদা করে বলেছেন দর্শক। আবার জি-ফাইভের ‘মাফিয়া’তেও তিনি সমান সাবলীল। লকডাউনে কীভাবে কাটছে সময়, নতুন কী কী কাজ আসছে, সে সব নিয়েই আড্ডা দিলেন অনিন্দিতা।
গত ১০ জুলাই থেকে জি-ফাইভের প্ল্যাটফর্মে ‘মাফিয়া’ দেখছেন দর্শক। আটটা এপিসোড। আপনারা কি সেকেন্ড সিজনের কথাও ভাবছেন?
এটার পার্ট টু হবে কিনা, সে ডিসিশন ডি-ফাইভের। আমি এখনও কিছু জানি না।
চরিত্র অনেক। কিন্তু আপনার কথা আলাদা করে অনেকেই বলছেন।
(হাসি) হ্যাঁ, অডিয়েন্সের ভাল লেগেছে। ভাল ফিডব্যাক পাচ্ছি।
পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তর সঙ্গে তো এটা আপনার দ্বিতীয় কাজ?
ফ্যাশন সেন্সেও নিজেকে আলাদা প্রমাণ করেছেন অনিন্দিতা। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
প্রায় ১০ বছর পর বিরসাদার সঙ্গে কাজ করলাম। এর আগে জানি দেখা হবে বলে একটা ছবিতে ছোট্ট একটা চরিত্র করেছিলাম। তখন থেকেই বিরসাদাকে চিনি। ফলে কমফর্ট লেভেলটা ছিলই। অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হয় আমাদের। যে কোনও সিন নিয়ে ওপেনলি কথা বলতে পারি। সেটে গিয়ে সিন পড়তাম আমরা। কিছু ভাবলে সেটা নিয়ে আলোচনা করে ইমপ্লিমেন্ট করতাম। আলাদা করে কাজ করছি মনে হয়নি।
আপনাদের টিমের বন্ডিং তো দারুণ ছিল?
হ্যাঁ। আমাদের মনে হত, একই ওয়েভ লেন্থের মানুষরা মিলে একটা প্রজেক্ট করছি। খুব হইহই করেছি। নাইট শুট থাকত আমাদের। শুটিংয়ের পর এক ঘণ্টা আড্ডা মেরে তারপর যে যার রুমে যেতাম। সেটাই রুটিন হয়ে গিয়েছিল। গরুমারায় ৩৫ দিনের শিডিউল ছিল। প্রচুর ওয়াইল্ড অ্যানিম্যালও দেখেছি সে সময়।
নতুন কী কাজ আসছে আপনার?
মৈনাক ভৌমিক ওয়েবে ডেবিউ করছে। ব্রেকআপ স্টোরি। ২৪ জুলাই থেকে স্ট্রিমিং শুরু হচ্ছে। পাঁচটা আলাদা গল্প। সবকটার কোনও না কোনও কানেকশন আছে। আমাদের গল্পে আমি আর সৌরভ পার্ট করেছি। খুব সুন্দর গল্প। দারুণ লিখেছে মৈনাক। আমি তো বোধহয় এখন সকলের ডেবিউতে কাজ করছি (হাসি)।
এই লকডাউনের মধ্যে শুটিং করলেন?
২৪ জুলাই থেকে স্ট্রিমিং শুরু হচ্ছে অনিন্দিতার ‘ব্রেকআপ স্টোরি’র। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
আমাদের ফ্ল্যাটেই শুট করেছি আমরা। বাইরে যেতে হয়নি। নিজেরা ক্যামেরায় নয় কিন্তু, টেকনিশিয়ান নিয়ে প্রপার শুট হয়েছে। সব হাইজিন মেনেই শুট হয়েছে। অন্য রকমের গল্প এটা। আশা করছি দর্শকের ভাল লাগবে। আর এটা ছাড়া আর একটা ওয়েবের কাজ শুরু হবে অগস্ট থেকে। সেটার ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারব না। শুধু এটুকু বলছি, হিন্দিতে হবে কাজটা। আর কলকাতাতেই শুটিং।
এই লকডাউনে সময় কাটছে কীভাবে?
এখন তো আর কলকাতায় প্রপার লকডাউন বলা যাবে না। এই মাসের শেষেই নতুন ফ্ল্যাটে শিফট করব আমরা। তবে আগের কয়েক মাস বাড়িতেই ছিলাম। শুটিং না থাকলে বাড়িতেই থাকতে ভালবাসি আমি। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছিল না। ওদের মিস করেছি। তাছাড়া নিজের সঙ্গে ভালই সময় কাটাতে পারি আমি।