বহুদিন পরে পরিচালনায় ফিরলেন অপর্ণা (Aparna) সেন। তাঁর নতুন ছবি ‘ঘরে বাইরে আজ’ রিলিজ করবে আগামী ১৫ নভেম্বর। ছবি নিয়ে আড্ডায় পরিচালক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ঘরে বাইরে’। আর অপর্ণা সেনের ছবি ‘ঘরে বাইরে আজ’। কতটা আলাদা?
অনেকটাই আলাদা। তিনটে চরিত্র একই রয়েছে। ত্রিকোণ প্রেমের গল্প। রবি ঠাকুরের লেখাতেও তা রয়েছে। ছবিতেও তাই। তবে প্রেম ছাড়াও আমার ছবিতে বন্ধুত্বের গল্পও থাকছে।
চরিত্রগুলো কেমন ভাবে ভেবেছেন যদি বলেন…
নিশ্চয়ই। বিমলাকে (Bimala) দিয়ে শুরু করি। বিমলা ওখানে ছিল অন্দরমহলের বাসিন্দা। আজকালকার দিনে মেয়েরা তো আর অন্দরমহলে থাকে না। অল্প বয়স। নিখিলেশের থেকে ১২-১৪ বছরের ছোট। তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে অল গার্লস বোর্ডিং, অল গার্লস কলেজে পড়েছে। অর্থাৎ অন্য পুুরুষকে ক্লোজলি দেখার সুযোগ পায়নি। ওর জীবনে প্রথম পুরুষ নিখিলেশ। ওখানেও ওর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও এক রকম বিয়ে দেওয়াই হল, বলতে পারেন।
নিখিলেশ তো জমিদার ছিলেন…
ছবির লুকে অনির্বাণ, তুহিনা ও যিশু।
হুম। কিন্তু রবি ঠাকুরের লেখায় উদারমনস্ক জমিদার ছিলেন। কিন্তু এখনকার দিনে তো জমিদারের কনসেপ্ট নেই। এই ছবিতে নিখিলেশ পাবলিশিং এডিটর। কাগজের সম্পাদক। কিছুটা গৌরী লঙ্কেশের ধাঁচের। সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখ নিয়েও লেখে।
আর সন্দীপ?
সন্দীপের চরিত্রে আলো-আঁধারি ব্যাপার আছে। সুবিধেবাদী। কিন্তু জেনুইনলি নিখিলেশকে ভালবাসে। ওদের বন্ধুত্বটা দেখিয়েছি। তাই শুধুমাত্র এ ছবি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নয়। বন্ধুত্বেরও গল্প।
যিশু সেনগুপ্ত আপনার ছবির সন্দীপ। প্রথম থেকেই ওঁকে ভেবেছিলেন?
যিশু (Jisshu) ছাড়া কেই বা আর সন্দীপ করবে? ওকে ছাড়া এই চরিত্রটায় আর কাউকে ভাবিনি।
ছবির নিখিলেশের জন্য প্রথম পছন্দ কি অনির্বাণ ভট্টাচার্যই ছিলেন?
না। অনির্বাণকে প্রথমে ভাবিনি। অন্য একজনের কথা ভেবেছিলাম। সঙ্গত কারণেই তার কথা এখন বলব না। পরে মনে হয়েছ, অনির্বাণের বয়সটা কম দেখানো সহজ হবে। প্রযোজকও সেই মতে সায় দিয়েছিলেন। ওর মধ্যে থিয়েটারের ডিসিপ্লিন, পরিশ্রম দুটোই আছে। খেটে কাজটা করেছে।
তুহিনা দাস আপনার ছবির বিমলা। মডেল হিসেবে তুহিনা পরিচিত। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে নন। আর এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ওঁকে কাস্ট করার পিছনে কী ভাবনা ছিল?
তুহিনার ছবি আমাকে প্রথম পাঠিয়েছিল সৃজিত (মুখোপাধ্যায়)। ও সাজেস্ট করেছিল। তুহিনা (tuhina) বোধহয় অরিন্দমের (শীল) ছবিতেও কাজ করেছে। আমি নতুন মেয়ে চেয়েছিলাম। যাতে পুরনো রোল কী করেছে, সেই পরিচিতিটা না থাকে। কালো, লম্বা, সুন্দরী, কোঁকড়া চুল- এমনটাই চেয়েছিলাম। সবটাই ওর মধ্যে পেয়েছি। ছবিতে বিমলা কিন্তু দলিত মেয়ে। নিখিলেশদের বাড়িতে থাকতে এসেছিল। পালিতা। তারপর নিখিলেশের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়। তুহিনাও খুব খেটেছে এই ছবিটার জন্য।
এই ছবির কি কোনও টার্গেট অডিয়েন্স রয়েছে?
আমি কোনওদিনই অডিয়েন্সের কথা ভেবে ছবি তৈরি করি না। আবার অডিয়েন্সকে আন্ডার এস্টিমেটও করি না। দেখুন, অনেক বাজে ছবি রিলিজ করে, দর্শক সেগুলো দেখেন। সিরিয়াল মার্কা ছবি হিট হয়। আবার ‘নগরকীর্তন’ও হিট হয়েছে। ‘নগরকীর্তন’ হিট হওয়ার পর আমার আবার মনে হয়েছে, ঠিক আছে তাহলে ব্যাপারটা। আসলে রোজ যদি আপনাকে ভাজাভুজি খেতে দেওয়া হয়। আপনি একটা সময়ের পর বাধ্য হয়ে সেটাই খাবেন। কিছু তো করার নেই। দর্শকেরও তেমন টেস্ট বদলে যাচ্ছে। রুচি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
দর্শকের রুচি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কেন বলছেন?
ডেলি সোপের জন্য। তবে আমি এর বিরোধী নই। কারণ ডেলি সোপ থেকে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেক মানুষের জীবন জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। কিন্তু ডেলি সোপের কনটেন্ট বদলানো উচিত।
আগামী নভেম্বরেই আপনার অভিনীত একটি ছবিও মুক্তি পেতে চলেছে। ‘বহমান’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ আবার।
হ্যাঁ। সৌমিত্র আছে। আরও অনেকে আছে। ব্রাত্যর সঙ্গে প্রথম কাজ করলাম। আমি আর সৌমিত্র আধুনিক সময়ের দুটো আলাদা সম্প্রদায়ের মানুষ। ব্রাত্য আমার ছেলের চরিত্র করেছে। মা আর ছেলের জটিল সম্পর্কের গল্প রয়েছে। গৌতম হালদার যে চরিত্রটা করেছে, ট্রান্সজেন্ডারের। সেটাও সুন্দর। সম্পর্কের গল্প…।
পরের পরিচালনা নিয়ে কিছু ভেবেছেন?
ভেবেছি। আর একটু গুছিয়ে নিয়ে জানাব। আসলে স্ক্রিপ্টে আমি অনেকটা সময় দিই। অনেকবার লেখা হয়। ড্রাফ্ট হয়। আবার বদলানো হয়। একটা ছবির পর আর একটা আইডিয়া আসতে তো সময় লাগে। ধর তক্তা মার পেরেক করে ছবি করতে আমার ভাল লাগে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..