আপাতত মেয়ে আইরাকে নিয়ে বাংলাদেশের ঢাকায় রয়েছেন তিনি। করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি। চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। NGO BRAC ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ড ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান হিসাবে কাজ করছেন। পাশাপাশি অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। এর মধ্যেই আগামিকাল অর্থাৎ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে হইচই-এর প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’। যেখানে এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। অর্থাৎ রাফিয়াত রশিদ মিথিলা (Mithila)। ব্যক্তিগত জীবনে যিনি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে ফোনে সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি।
আতঙ্কের পরিস্থিতিতে কেমন আছেন?
এখনও পর্যন্ত ভাল আছি। বাড়িতেই রয়েছি। বাড়ি থেকেই কাজ করছি। মেয়ের স্কুল বন্ধ। ও কখনও ছবি আঁকছে, কখনও খেলছে। এই ভাবেই চলছে…।
সমগ্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেমন? সাধারণ মানুষ ঘরে থাকার সাবধানবাণী মানছেন?
সত্যি কথা বলতে কি, অনেকেই এখনও বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে চাইছেন না। একটা গ্রুপ হয়তো বুঝেছএন। বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না। বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। কিন্তু বিশেষত যাঁদের রোজগার প্রতি দিনের হিসেবে হয়, তাঁদের হয়তো এখনও ততটা সচেতনতা আসেনি। যদিও আমাদের সরকার বেশ কিছু ব্য়বস্থা নিয়েছে। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত সব বন্ধ। এমনকি যাতায়াতের সমস্থ মাধ্যম অর্থাৎ পরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আগামিকাল বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছর অনেক অনুষ্ঠান হয় এই দিনে। এই বছর নিশ্চয়ই সব বন্ধ?
হ্য়াঁ, সবই বন্ধ। কোথাও যাতে জমায়েত না হয়, সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে সরকার। আজ আবার আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ রয়েছে। দেখা যাক, সেখানে কী বলেন…।
আগামিকাল আপনার ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’ মুক্তি পাচ্ছে হইচই প্ল্যাটফর্মে। ভারতে আপনার প্রথম কোনও কাজ দেখা যাবে, তাই তো?
হ্যাঁ, ভারতে আমার অভিনীত কোনও ওয়েব সিরিজ প্রথম মুক্তি পাবে। পরিচালনা করেছেন তানিম নূর। ৭১-এর প্রেক্ষাপটে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। সে জন্যই কালকের দিনটা বেছে নেওয়া হয়েছে। সে সময়ের অনেক অজানা ঘটনা দেখানো হয়েছে। কিন্তু এটা ফিকশন। ফলে বাস্তবের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিল খুঁজবেন না কেউ, প্লিজ।
আপনার চরিত্র?
আমার এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের চরিত্র। যে ওই সময়টা বাংলাদেশে যায়। আমাকে উর্দুতে কথা বলতে হয়েছিল। আমি হিন্দি তাও কিছুটা বলতে পারি। উর্দু একেবারেই পারি না। সেটাই চ্যালেঞ্জ ছিল আমার কাছে। আমি চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভুল হয়নি কিছু। আমরা ট্রান্সলেটারের সাহায্য নিয়েছিলাম। আর যাঁরা কাজ করেছেন, সকলেই বাংলাদেশের গুণী শিল্পী। বাংলাদেশেই পুরো শুটিং হয়েছে। আমাদের টিমটা খুব ভাল ছিল।
সাংবাদিকের চরিত্র। বাস্তবের কোনও সাংবাদিকের কোনও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অভিনয়ের সময় কাজে লাগিয়েছিলেন?
আসলে কোনও একজন সাংবাদিকের নাম সেভাবে বলতে পারব না। আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধুর মধ্যেই দুটো গুণ রয়েছে। এক হচ্ছে, সত্যিটা সামনে নিয়ে আসা। আর ন্যায়ের সঙ্গে থাকা। আমি মানুষ হিসেবেও এই দুটো মেনে চলার চেষ্টা করি। এই চরিত্রেও সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।
আর সাংবাদিকদের মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দেখেছেন, যেটা কাঙ্খিত নয়?
(হেসে) হ্যাঁ, এমন অভিজ্ঞতাও অনেক বার হয়েছে। আমি একটু সরাসরিই বলতে চাই। সব কিছুই কিন্তু নিউজ নয়। সেটা বুঝলে ভাল লাগে। কেউ যদি কোনও কিছু ব্যক্তিগত পরিসরে রাখতে চায়, সেটা রাখতে দেওয়া ভাল। কোনও ছবি কেউ হয়তো ফেসবুক প্রোফাইল শেয়ার করতে চায়, সেটা পেজে শেয়ার করবে না। আবার উল্টোটাও হতে পারে। সেই সিদ্ধান্তগুলো মর্যাদা দিলে ভাল। সব কিছু নিউজ ভাবলে মুশকিল।
আপনি সুন্দর গানও করেন, সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে?
আসলে ছোট থেকে গান শিখেছি। কিন্তু সেটা প্রফেশনালি করব কখনও ভাবিনি। তবে ভবিষ্যতে যদি সুযোগ আসে, নিশ্চয়ই ভেবে দেখব।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে আর কী কী কাজ আসছে?
আমি তো একটা ফুল টাইম চাকরি করি। তাই অভিনয় খুব বেশি করার সময় পাই না। আর এখানে ইদের সময় ভাল ভাল কাজ হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত পয়লা বৈশাখ বা ইদের কাজের কোনও প্ল্যানিং নেই। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে নিশ্চয়ই ইদের সময় ভাল কিছু কাজ করব। এখনই কনফার্ম বলতে পারছি না।
অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন…
আপনিও। সুস্থ থাকুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!