আপনি কি নিয়মিত টিভি (tv) দেখেন? টিভি সিরিয়াল আপনার পছন্দের? তা হলে তো হিট সিরিয়ালের নাম আপনার মুখস্থ। শুধু এখনকার নয়। বেশ কয়েকবছর আগের হিট সিরিয়ালের নামও আপনি বলে দিতে পারবেন চটজলদি। আচ্ছা, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? থাকারই কথা। একসময় তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল সেই ধারাবাহিক। ঋতাভরী এবং রাজদীপের জুটিও ভালবাসা পেয়েছিল দর্শকের। সেই রাজদীপ (Rajdeep) গুপ্তর এখনকার সঙ্গী ‘জাপানি ডল’!
চমকে উঠলেন নাকি? না, না, ঘাবড়ােন না। এই ‘জাপানি ডল’ (Japani Doll)-এর অন্য মজা রয়েছে। এর আগে ‘জাপানি টয়’-এর সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার। আহা! শুধু, শুধু কনফিউজড হচ্ছেন। এগুলো সবই হইচই অরিজিনালসের ওয়েব (web) সিরিজ। প্রথম সিজন অর্থাৎ ‘জাপানি টয়’-এর সাফল্যের পর এবার ‘জাপানি ডল’-এ রাজদীপের আত্মপ্রকাশ! আগের বারের সিকোয়েল। এবার রয়েছে মোট সাতটি এপিসোড।
র’ কমেডি
আগের তুলনায় এই সিজনের ধরন বেশ কিছুটা আলাদা। রাজদীপ বললেন, “আগেরটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ছিল। এটা কিছু ক্ষেত্রে তাই। জয় আগেরবার কনফিডেন্ট, বিপ্লবী টাইপ, নন-প্র্যাকটিকাল ছিল। এখানে আবার ওভার কনফিডেন্ট। তার জন্য কেসও খাচ্ছে। এটা মোর র’কমেডি। আমরা কিঙ্কিনীকে (এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঈশা সাহা) নিয়ে মজা করতাম। বলতাম, আমি নায়ক, অমিতদা নায়িকা আর ঈশা ভিলেন। এই সিজনে ওর গুরুত্ব অনেক বেশি। জয়ের আর কিছু না থাক, কিঙ্কিনীকে নিয়ে কেয়ার আছে। ও আদৌ কিঙ্কিনীকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে হালকা একটা সাসপেন্স রয়েছে এই সিজনের শেষে।”
পরিচালক বদল
আগের বার পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। এবার পরিচালনার ভার সৌমিক চট্টোপাধ্যায়ের। পরিচালক বদলে যাওয়ায় শুটিংয়েও সেই বদলটা নজরে এল কি? রাজদীপ শেয়ার করলেন, “আগেরবার চরিত্রটা আমার কাছে পুরো ব্ল্যাঙ্ক ছিল। ওটা সৌরভের গল্প ছিল। ও আমাকে চরিত্রটা ধরিয়ে দিয়েছিল। ফলে প্রথমে কনফিউজড ছিলাম। কিন্তু পরে গুছিয়ে নিয়েছিলাম। আর এবার সৌমিকদা। ওর সঙ্গে আগেও দুটো কাজ করেছি। ফলে টিউনিংটা ভাল। ওর কমিক সেন্সও ভাল। ফলে কোনও অসুবিধে হয়নি। ও নিজের মতো করে তৈরি করেছে।” গিরিশ পার্ক, বড়বাজার, ভবানীপুর এলাকায় জয়-কিঙ্কিনীকে নিয়ে শুটিং করেছে গোটা টিম। এই সিজনে কিঙ্কিনীও নাকি কিছু কিছু পাগলামি করে। তবে সেটা জয়কে সামাল দেওয়ার জন্য!
ওয়েবে সেন্সরশিপ
ইদানীং পর পর বেশ কিছু ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন রাজদীপ। ওয়েব প্ল্যাটফর্মের হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং দিকটা তো আপনি জানেনই। কিন্তু এর অন্ধকার দিকটাও উঠে এল অভিনেতার কথায়। “সবকিছুরই ড্র-ব্যাকসও আছে। আবার প্লাস পয়েন্টও আছে। ওয়েবে সেন্সরশিপ নেই বলে অনেকে তার ফায়দা নিচ্ছে। সেটা ঠিক নয়। প্রয়োজন না থাকলেও অনেক জায়গায় সেক্স (sex) ঢোকানো হচ্ছে জোর করে। এটা ভাল লাগে না,” স্পষ্ট বললেন রাজদীপ।
টিভিতে কামব্যাক?
টেলিভিশন এক সময় তুমুল জনপ্রিয়তা দিয়েছিল রাজদীপকে। ফের কি সেই প্ল্যাটফর্মে ফিরতে চান? রাজদীপের যুক্তি, “টেলিভিশনে ক্রিয়েটিভ স্যাটিসফ্যাকশনটা থাকে না। প্রথম দিকে তিন-চার মাস পর্যন্ত কাজ করলে তা-ও পাওয়া যায়। তারপর চেঞ্জ হয়ে যায় গল্প। আর টেলিভিশনটা ফিমেল ডমিনেটিং। সেভাবেই গল্প লেখা হয়। ছেলেদের খুব একটা কিছু করার থাকে না। ওয়েবে বরং অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ হচ্ছে। লার্জার স্কেলে শুট হচ্ছে। ওয়েব ডুয়িং বিগার নাউ। স্পেশ্যালি ইয়ংস্টারদের কাছে ওয়েব হিট। পাবলিক প্লেসে ওয়েবের ক্যারেক্টারের নাম ধরে লোকে ডাকেও। ফলে টিভিতে ক্যামিও পেলে করব। আদারওয়াইজ এখনই নয়।”
ট্রোলিং ইস্যু
রাজদীপ যে ধরনের ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন, তা মূলত সেক্স কমেডি। আর সে কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংও সামলাতে হয়েছে তাঁকে। সে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বললেন, “এখন তো সবাই এক্সপার্ট! পান থেকে চুন খসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই লিখতে শুরু করে দেয়। আগে আমরা আড্ডা মারতে মারতে যেটা বলতাম, এখন সেটাই ফেসবুকে লিখি। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া কেন, আমাকে তো বন্ধুরা বাড়িতে এসেও ট্রোল করে গিয়েছিল। প্রথমে লোকে কমেডি ভেবেছিল। পরে স্যাটায়ারটা বুঝেছে। ট্রোলারদের কোনও উদ্দেশ্য নেই। চারটে ভাল কমেন্ট থাকলে, দুটো খারাপ তো থাকবেই। আর আমাদের মধ্যে তো হিপোক্রেসি ভরপুর। যা করি, তা কখনও বলি না।”
প্রেম-অপ্রেম
না! প্রেম করছেন না রাজদীপ। গত চার বছর ধরে নাকি তিনি সিঙ্গল! এখন ফোকাসে শুধু কাজ। হাসতে-হাসতে শেষ করলেন, “প্রেম করলে আমি বলে দিই, লুকিয়ে রাখি না।”
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!