লড়াই কাকে বলে? প্লিজ, আগে এই সংজ্ঞাটা ঠিক করে ফেলুন দিকি মনে-মনে, নইলে ভারী অসুবিধে হচ্ছে। আপনার-আমার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে হেঁশেল, স্বামী-সংসার সামলে আপিস করাটা হল দৈনন্দিন লড়াই। আবার মুকেশ অম্বানীর জন্য লড়াই হল, বিশ্বের এক নম্বর ধনী ব্যক্তি হওয়ার জার্নিটা। আবার শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের গায়ে ফুটপাথে সংসার পাতা ভিখিরি পরিবারের কাছে লড়াই হল, রোজ পেটের ভাত জোগাড় করাটা। মোদ্দা কথা হল, লড়াই ব্যাপারটা বিভিন্ন লোকের কাছে বিভিন্ন। তা সেকথাটাই তো বেচারি অনন্যা পাণ্ডে মুখ ফুটে বলেছিলেন। তা হলে তাঁকে নিয়ে সক্কলে অ্যাত্ত হাসাহাসি করছে কেন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না বাপু!
যাই বলুন ভাই, অনন্যা পাণ্ডের (Ananya Panday) এখনও নাক টিপলে দুধ বেরোয়। এই তো সেদিনের শুঁটকিপানা খুকিটি, দু’ দিন আগেও সুহানা খানের সঙ্গে ফ্রক পরে আইপিএল-এ কেকেআর-এর ম্যাচ দেখতে আসত। তাকে হঠাৎ করে ফিলিমে নামিয়ে দিলেন করণ জোহর এবং পাণ্ডে পরিবার, সে মেয়েকে লড়াই করতে হবে কিনা বলুন? বলিউডি অভিনেত্রী হওয়া তো আর মুখের কথা নয়! না খেয়ে না দেয়ে চেহারাখানা শুকনো করতে হবে, কিন্তু মুখখানি লাবণ্যে টুলটুল করবে, লড়াই নয়? সকাল-বিকেল যোগা, এক্সারসাইজ করতে হবে ইচ্ছে না করলেও, লড়াই নয়? ডান্স শিখতে হবে হাজারখানেক ফর্মের, লড়াই কিনা? সারাদিন হিল খটখটিয়ে চলে-ফিরে বেড়াতে হবে, পা ব্যথা করলেও, লড়াই কিনা? অ্যাক্টিং ক্লাস, ডিকশন ক্লাস, ক্যামেরা ফেসিং ক্লাস, হ্যান ক্লাস, ত্যান ক্লাস, হাঁপিয়ে-হেদিয়ে গেলেও দম ফেলার ফুরসত নেই, লড়াই নয়, বলুন? এত কিছু করেও আবার সাফল্যের কোনও গ্যারান্টি নেই! প্রথম ছবির পরে অনন্যার কি হালত হয়েছিল মনে নেই? তা হলে এবার আপনিই বলুন, অনন্যা লড়াই করেছেন কিনা? এরপরও বলবেন, বলিউডে নেপোটিজম? আপনার মন নেই বুঝি?
Ananya Pandey complaining about nepotism and Sidhant Chaturvedi ending her existence with one line 😭 look at her reaction lol pic.twitter.com/hX2R7Jc1F7
— Devdas (offline until annoucement) (@shahrukhdevdas) January 1, 2020
অনন্যা পাণ্ডেও বোধ হয় তাঁর এই ‘লড়াই’-এর কথাই বলতে চেয়েছিলেন সম্প্রতি একটি টক শো-এ। তিনি চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে হলেও তাঁকেও অন্নেক লড়াই করতে হয়েছে তা বুঝিয়ে বলছিলেন। তা অনন্যার কথা শেষ হওয়ার পর সেখানে দুম করে সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী বলে দেন, “হ্যাঁ, লড়াই আমাদের সকলকেই করতে হয়েছে। তফাতটা হল, আমরা যারা ফিল্মি পরিবারের বাইরে জন্মেছি, তাদের জন্য যেখানে স্বপ্নের শুরু, স্টার কিডসদের লড়াই সেখান থেকে শুরু!” নাঃ, ছেলের বুদ্ধি আছে, কী সুন্দর সাপও মরল আবার লাঠিও ভাঙল না গোছের একটা লাইন বলে সকলকে সব বুঝিয়ে দিলেন আর যথারীতি অনন্যা কিছুই বুঝতে পারলেন না!
অবশ্য অনন্যা পাণ্ডে ব্যতিক্রম নন, বলিউডি অভিনেত্রীরা (Bollywood actresses) এমনধারা কথাবার্তা প্রায়ই বলে থাকেন! অনন্যার আগে যে বলিউডি অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় খোরাক রানি ছিলেন, তিনি হলেন আলিয়া ভট্ট (Alia Bhatt)। সারা বলিউড যখন পুরুষ অভিনেতা এভং মহিলা অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকের তফাত নিয়ে সরব, আলিয়া তখন দুম করে বলে বসেছিলেন, আসলে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি দর্শক টানার ক্ষমতা রাখে কিনা, তাই বেশি টাকা পায়! বুঝুন! সেই বক্তব্য আবার সমর্থন করে বসলেন পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। মেয়েদের জোর কম লোক টানার, সলমন খান কেন, একা বরুণ ধাওয়ানও যত লোক টানতে পারবেন, ততটা নাকি অনেক তাবড়-তাবড় মহিলা অভিনেত্রীই পারবেন না…ইত্যাদি ইত্যাদি। তা আপনারা কম টাকা পেয়েও খুশি আছেন, থাকুন না বাপু, বাকিদের হয়ে কথা বলার অধিকারটি কে তুলে দিলেন আপনাদের হাতে?
যাক গে, ইতনা কথা যখন হোতা হ্যায় ভাই, তখন একজন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামবেনই। তিনি হলেন, কঙ্গনা রানাওয়াতের বোন রঙ্গোলি চান্দেল! তিনি এর মধ্যে কোত্থেকে একটা রণবীর সিংয়ের শিশু বয়সের ছবি বের করেছেন, যাতে সিংহমশাই রণবীর কপূর এবং সোনম কপূরের সঙ্গে কারও একটা জন্মদিনে পার্টি করছেন! সেটি পোস্ট করে রঙ্গোলি বলেছেন, এই দেখুন সকলে সিংহমশাই কত্ত লড়াই করে বড় হয়েছেন…বোঝো…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!