নীল আর নিনা।দুই ছোটবেলার বন্ধু। ওদের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ত্বের কথা সবাই জানে। দুজনেই দুজনকে চোখে হারায়। কোনও ঘরোয়া আড্ডায় বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ উঠলেই সবাই ওদের উদাহরণ দেয়। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। গোলমাল বাঁধল অন্য জায়গায়। নিনার আচমকা মনে হল নীল তার প্রিয় বন্ধুর (buddy) চেয়েও আর অনেকটা বেশি।নিজের মনকে কতদিন আর চোখ ঠেরে রাখা যায়? মন বার বার বলতে লাগল নিনা আসলে নীলকেই ভালোবাসে (love)। কিন্তু এই কথা নীলকে সে বলবে কী করে? সমস্যাটা আপাত দৃষ্টিতে যতটা সহজ লাগছে আসলে কিন্তু তা নয়। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ছোটবেলার (childhood) বন্ধুত্ব প্রেমে (love) পরিণত হলে তার ফল ভালো হয়নি। আবার এর উল্টোটাও যে হয়নি তা নয়। মোদ্দা কথা হল আপনি শুধু আপনার বন্ধুর (buddy) প্রেমে পড়লে হবে না। অপর দিকে আপনার বন্ধুরও সেই একই অনুভূতি থাকতে হবে।আপনিও কি ছোটবেলার বন্ধুকে মন দিয়েছেন?(are you in love with your childhood buddy?) তাহলে সাবধান হন। তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিলে হয়তো প্রেমটাও হল না আর বন্ধুত্বও গেল ভেঙে! এমনটা হোক, আমরা চাই না। তাই ছোটবেলার বন্ধুকে (childhood buddy) প্রেম (love) নিবেদন করার আগে কয়েকটা কথা মাথায় রাখবেন।
বন্ধুত্ব সবচেয়ে দামী
আপনি তাকে ভালোবাসেন আর তিনি যদি আপনাকে না ভালোবাসেন, তাহলে প্রপোজ করার আগে একশবার ভাববেন। আপনার আচমকা পরিবর্তন বন্ধু নাও মেনে নিতে পারেন। তার মনে হতে পারে এমনটা চললে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ত্ব টিকিয়ে রাখার সমস্যা হতে পারে। আর এই কারণ দেখিয়েই তিনি দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে ইতি টানতে পারেন। এমনটা হোক আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না? তাই শুধু নিজের ফিলিংস নয় অন্যের অনুভূতিকেও মর্যাদা দিন। হাজার হলেও একটা অপরিণত প্রেমের সম্পর্কের চেয়ে একটা পরিণত বন্ধুত্ত্ব অনেক বেশি জরুরি।
সবটুকু চিনতে গেলে…
মানুষের মনের মধ্যে অনেক জটিল স্তর থাকে। যার সবটা বোঝা শিবেরও অসাধ্য!আপনি হয়তো ভাবছেন আমি বাড়িয়ে বলছি। আপনি যাকে ছোটবেলা থেকে চেনেন বলে আপনার মনে হচ্ছে আপনি তার সবটা জানেন, ব্যাপারটা এত সহজ নয়। ফ্রেন্ড যখন বয়ফ্রেন্ডে পরিবর্তিত হয়, তখন তার চরিত্রের অনেক ছোটখাট অচেনা দিক আপনার নজরে আসবে। আর সেটা যে সবসময় আপনার ভালো লাগবে তা নয়।বন্ধুর যে বিষয়গুলো আপনার খুব ভালো লাগত, প্রেমিকের সেই একই আচরণ বিরক্তির কারণ হতে পারে। তাই ভালো করে জেনে বুঝে তবেই প্রেম নিবেদনের পথে পা বাড়াবেন।
ঠান্ডা মাথায় ভাবুন
এতদিন যার সঙ্গে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন, তার সঙ্গে আদৌ সারা জীবন কাটাতে চান কিনা, সেটা নিজেকে বারবার প্রশ্ন করুন। মনে রাখবেন এটা সারা জীবনের প্রশ্ন। তাই হঠাৎ আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন আর হঠাৎই সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন এমনটা যেন না হয়। হতে পারে এটা ভালোবাসা নয় ভালোলাগারই একটা পরিণত রূপ। হতে পারে এটা মোহ বা ইনফ্যাচুয়েশান। আবার এমনটাও হতে পারে, আপনি ছোটবেলা থেকে এই বন্ধুর সঙ্গেই বেশি সময় কাটিয়েছেন, সব কথা শেয়ার করেছেন। স্বভাবতই অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ আপনি সেভাবে পাননি। তাই ছোটবেলার বন্ধুকেই আপনার সবচেয়ে নিশ্চিন্ত আশ্রয় বলে মনে হচ্ছে। তবে আপনি যা ভাবছেন সেই একই ভাবনা তার মাথাতেও আসতে হবে। বন্ধুর মনে হতেই পারে এই সম্পর্ক বন্ধুত্ত্বের স্তরেই ঠিক আছে।
বন্ধুদের সাহায্য নিন
আপনাদের দুজনের যদি কোনও কমন ফ্রেন্ড থাকে তাহলে তার সাহায্য নিন। তিনি যেহেতু আপনাদের দুজনকেই চেনেন তার পক্ষে মধ্যস্থতা করা অনেক সহজ হবে। কথায় কথায় পরস্পরের প্রতি আপনাদের মনোভাব তিনি জানতে পারবেন। আর যদি দেখেন দুজনেই একই পথের পথিক তাহলে আর দেরি কেন? আই লাভ ইউ বলেই দিন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!