আমরা বেশিরভাগ মানুষই বেশ অনেকক্ষণ ধরে স্নান (bath) করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে গরমকালে শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা জলে স্নানের আরামই আলাদা! আসলে স্নানের সময়টাই এমন একটা সময় যখন আমরা নিজেদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। তবে স্নানের সময়ে আমরা নিজেদের অজান্তে অনেক ভুল করে ফেলি, যার ফলে পরবর্তী সময়ে আমাদের ত্বকের (skin) ও চুলের (hair) প্রচন্ড ক্ষতি হয়। আমরা একটা তালিকা তৈরি করেছি, আপনিও দেখে নিন তো আপনার সঙ্গে কোনওটা মিলছে কিনা।
স্নানের সময়ে এই ভুলগুলো করবেন না যেন
স্নান কিভাবে করতে হবে, সে বিষয়ে না কেউ কোনওদিন কোনও প্রশ্ন করেছে না কারও মনে কখনও কোনও প্রশ্ন উঠেছে। স্নান ব্যাপারটা এতটাই রিল্যাক্সিং যে এ নিয়েও কেউ কোনও ভুল করতে পারে, তা ধারণার বাইরেই থাকে। কিন্তু অনেকেই স্নানের সময়ে এমন অনেক কাজ করে ফেলেন, অবশ্যই অজান্তে, যে পরে গিয়ে ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন –
১। অনেকেই স্নান করার সময়ে রগড়ে রগড়ে গায়ে সাবান মাখেন এবং ময়লা তোলার চেষ্টা করেন। আগেকার দিনে লোকজন গামছা ভিজিয়ে রগড়ে রগড়ে গায়ের ময়লা তুলতেন স্নানের সময়ে। এর ফলে ত্বক ঠিক কতটা পরিষ্কার হয় বলতে পারব না, তবে ত্বকের ইলাস্টিসিটি যে এক্কেবারে নষ্ট হয়ে যায়, সেকথা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।
২। শীতকালে তো বটেই, অনেকে গরমকালেও সামান্য গরম জল মিশিয়ে স্নান করেন। অনেকেই বাতের ব্যথা দূর করতে গরম জলে স্নান করেন; আবার অনেকে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে রাতে শোওয়ার আগে গরম জলে স্নান করেন। এতে সাময়িক আরাম হলেও নিয়মিতভাবে গরমজলে স্নান করলে কিন্তু ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়েও যায়।
৩। গরমজলে স্নান করলে যে শুধুমাত্র ত্বকের ক্ষতি হয় তা কিন্তু না, চুলেরও সাংঘাতিক ক্ষতি হয়। স্ক্যাল্প রুক্ষ হয়ে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যেতে পারে, ফলে অকালেই চুল ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দ্বিতীয়ত, চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলের নানা সমস্যা যেমন ফ্রিজি হেয়ার, স্প্লিটএন্ডস, খুশকির মত সমস্যা দেখা দেয়।
৪। আপনি কি সাবান দিয়ে স্নান করেন? এই প্রশ্নটা শুনে যদি আপনার মনে হয় সে উত্তর আপনি আমাকে কেন দেবেন, সে না হয় না-ই দিলেন! তবে আমার কর্তব্য আপনাকে সাবধান করা। সাবান কিন্তু ত্বক রুক্ষ করে তোলে। এ’কথা তো আপনিও স্বীকার করবেন। সাবানের বদলে ব্যবহার করুন বডি ওয়াশ বা শাওয়ার জেল। এতে ত্বক কোমল ও বাউন্সি থাকবে।
৫। স্নানের পর গা মোছার জন্য যদি আপনি তোয়ালে ব্যবহার করেন, তাহলে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। আসলে স্নানের পর আমাদের ত্বক ও চুল নরম থাকে, কাজেই এসময়ে যদি শক্ত ও খড়খড়ে তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে গা-মাথা মোছেন, তাহলে ত্বক ও চুলের ক্ষতি কেউ আটকাতে পারবে না।