দিন কয়েক আগেই পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। এবার অরিন্দমের বিরুদ্ধে সোশ্য়াল মিডিয়ায় মুখ খুললেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী তনুরুচি (Tanuruchi) শীল। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসার পর ফের বেকায়দায় অরিন্দম (Arindam)।
ঠিক কী অভিযোগ তনুরুচির? তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “আলিপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এখনও স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। অরিন্দম শীল ওঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকেন না। উনি ওঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। স্ত্রীয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে কেনা একটি ফ্ল্যাট জোর করে দখল করে রেখেছেন। উনি শুক্লা দাসের সঙ্গে থাকেন। কিন্তু আইনত ওঁদের বিয়ে হয়নি। এমনকি শুক্লার মেয়েটির বাবাও অরিন্দম নন।”
অর্থাৎ তনুরুচির স্পষ্ট অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে অরিন্দমের এখনও আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। ফলে শুক্লার সঙ্গে আইনত বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তনুরুচি ও অরিন্দমের যৌথ নামে কেনা একটি ফ্ল্যাট অরিন্দম জোর করে দখল করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। লক্ষণীয়, রূপাঞ্জনা মৈত্রের #মিটু অভিযোগের একটি খবর শেয়ার করে ফেসবুকে এ হেন অভিযোগ করেছেন তনুরুচি। অর্থাৎ রূপাঞ্জনার করা অভিযোগও পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
বিয়ের দিন অরিন্দম ও তনুরুচি। ছবি ফেসবুকের সৌজন্যে।
রূপাঞ্জনা অবশ্য প্রকাশ্যেই তনুরুচির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “যদিও আমার কারও পার্সোনাল লাইফে ঢোকা উচিত নয়। কিন্তু এটা শেয়ার করলাম কারণ একজন অসৎ মানুষ যখন মুখোশ পরে একটা ইমেজ মেনটেন তকে, তখন সেই মুখোশের আড়ালে থাকা মানুষটিকে সবাই চিনতে পারলে আমার মতন অভিজ্ঞতা এড়ানো সম্ভব। তনুরুচিদি তোমার পাশে আছি।”
ঠিক কী অভিযোগ করেছিলেন রূপাঞ্জনা? তিনি জানিয়েছিলেন, অরিন্দম পরিচালিত ‘ভূমিকন্যা’ ধারাবাহিকের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর চ্যানেলের তরফে তাঁকে অরিন্দমের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়। তিনি পুজোর আগে চিত্রনাট্য শুনতে অরিন্দমের অফিসে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ অফিসে মাত্র একজন কর্মী ছিলেন। তিনি যাওয়ার পর সেই কর্মীকেও নাকি অরিন্দম কায়দা করে সরিয়ে দেন। তারপরই তাঁর চোখের ভাষা নাকি বদলে যায়। অভিনেত্রীর পিঠেও হাত দেন পরিচালক। রূপাঞ্জনা শেষ মুহূর্তে প্রতিবাদ করেন। জোর গলায় স্ক্রিপ্ট শোনার কথা বলেন। তখন নাকি সরে যান অরিন্দম। তাঁর অফিস থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সুবাদে অরিন্দমের সেদিনের অভিপ্রায় বুঝতে অসুবিধে হয়নি বলে দাবি করেছেন রূপাঞ্জনা।
রূপাঞ্জনার দাবি, ঘটনার দিন কিছুক্ষণ পরে নাকি অরিন্দমের অফিসে তাঁর স্ত্রী শুক্লা এসে উপস্থিত হন। তিনি তাঁকে এবং অরিন্দমকে দেখে নাকি অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। যদিও সঙ্গে সঙ্গে অরিন্দম নিজেকে পাল্টে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন রূপাঞ্জনা।
তনুরুচির দাবি, ১৯৯২ সালে অরিন্দম ও তাঁর সামাজিক বিয়ে হয়। ১৯৯৩ সালে রেজিস্ট্রি। কিন্তু ২০০৩ সালে অরিন্দম ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা গত বছর খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তনুরুচি। এর আগেও রূপাঞ্জনার করা সব অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছিলেন অরিন্দম। আর তনুরুচির অভিযোগের জবাবে, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও কথা বলতে তিনি অস্বীকার করেছেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!