প্রয়াত হলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি (Arun Jaitley)। শনিবার দিল্লির এইমস হাসপাতালে জীবনাবসান হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি।
পেশায় অরুণ ছিলেন আইনজীবি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম পর্বের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ওপর অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল। চলতি বছরের মে মাসে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অরুণ। সে কারণেই শেষ লোকসভা নির্বাচনে তেমন কোনও ভূমিকা পালন করেননি। দলও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
গত ৯ অগস্ট শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অরুণকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, কার্ডিয়োলজিস্ট এবং নেফ্রোলজিস্ট-সহ একাধিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। চিকিৎসকদের বিশেষ দল গঠন করে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এর আগে গত ১৯ অগাস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল তাঁর ফুসফুস স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়েছে আর সেই কারণেই তাঁকে একস্ট্রাকর্পোরিয়েল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (ইসিএমও)-তে রাখা হয়েছে। শেষে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমেও রাখা হয় তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হল না।
अरुण जेटली जी के निधन से अत्यंत दुःखी हूँ, जेटली जी का जाना मेरे लिये एक व्यक्तिगत क्षति है।
उनके रूप में मैंने न सिर्फ संगठन का एक वरिष्ठ नेता खोया है बल्कि परिवार का एक ऐसा अभिन्न सदस्य भी खोया है जिनका साथ और मार्गदर्शन मुझे वर्षो तक प्राप्त होता रहा।
— Amit Shah (@AmitShah) August 24, 2019
দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ অরুণ জেটলি। ডায়াবিটিসের রোগী তিনি। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন গতবছর কিডনি প্রতিস্থাপনও হয় তাঁর। যে কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তর্বর্তী বাজেটের সময় সংসদে দেখা যায়নি তাঁকে। শারীরিক অসুস্থতার জেরে মে মাসেও এক বার এমসে ভর্তি হন জেটলি। সেই থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে (politics) সে ভাবে আর দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী এ বছর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফিরলেও, মন্ত্রিত্ব নিতে রাজি হননি জেটলি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ তিনি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই এ বার নিজের জন্য একটু সময় চান। নতুন সরকারে তাঁকে কোনও দায়িত্ব না দিলেই ভাল।
Extremely saddened at the passing away of Arun Jaitley Ji, after a battle bravely borne. An outstanding Parliamentarian & a brilliant lawyer, appreciated across parties. His contribution to Indian polity will be remembered. My condolences to his wife, children, friends & admirers
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 24, 2019
তবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গেলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সক্রিয় অরুণ জেটলি। মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পক্ষে নিয়মিত সওয়ালও করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ হ দেশের শীর্ষ নেতারা অরুণের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মায়াবতী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া, নীতিশ কুমার, যোগী আদিত্যনাথ সহ অনেকেই অরুণকে শেষবার দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এতদিনের জীবনযুদ্ধের শেষে তাঁর জীবনাবসানে রাজনৈতিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
It is shocking to learn about the sad demise of one of the tallest leaders of our country @arunjaitley, the former Union Minister who had held the portfolios of Finance, Defence, Corporate Affairs,Commerce and Industry and Law and Justice. A great loss to our Nation.#ArunJaitley
— H D Devegowda (@H_D_Devegowda) August 24, 2019
২৮ ডিসেম্বর, ১৯৫২-এ জন্ম হয় অরুণের। ভারতের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। অতীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট মন্ত্রিসভায় (১৯৯৮-২০০৪) ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য ও আইন মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের কাছে পরাজিত হন। ২৬শে মে ২০১৪ তিনি মোদী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে একটা অধ্যায়ের শেষ হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!