সারা পৃথিবী যেন থমকে গেছে, সবাই বলতে গেলে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং খবরের চ্যানেল এখন উত্তাল হয়ে আছে করোনা ভাইরাসের (coronavirus) খবরে! এক এক জন এক এক রকমের চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন প্রতিদিন। দিনে দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। একে অন্যকে সচেতন করার কথা বারবার বলা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার করোনা ভাইরাস এড়ানোর মাস্ক এবং জীবাণু নাশকারী হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আকাল পড়ে গেছে বাজারে। খুব কম অঞ্চলে পাওয়া গেলেও দাম হয়েছে আকাশছোঁয়া। এমন অবস্থায় কিন্তু জ্যোতিষীরাও (astrologers) পিছিয়ে নেই। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বা বিলুপ্তি নিয়ে নানা তথ্য প্রদান করার কাজে লেগে গিয়েছেন।
এক্সপ্রেস. কো. ইউ কে-র একটি রিপোর্ট অন্তত তাই বলছে। এই খরবরের চ্যানেলটির মতে, আরিক জ্যান্ডার নামে এক জ্যোতিষী নাকি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন করোনা ভাইরসের প্রকোপ আরও বাড়তে চলেছে! ঠিক কী কারণে করোনা ভাইরাসের এত বাড়-বাড়ন্ত তা নিয়েও নাকি আরিক জ্যান্ডার (Arik Xander) নানা তথ্য দিয়েছেন, যার পুরোটাই জ্যোতিষবিদ্যার উপরে ভিত্তি করে। আরিক দাবি করেছেন, যে তিনি করোনা ভাইরাসের জ্যোতিষ চার্ট দেখেছেন এবং কেন এই জীবাণু ছড়িয়েছে সে বিষয়ে তিনি তথ্য দিতে সক্ষম। তার বক্তব্য অনুযায়ী, শুক্রের অবস্থান যেহেতু দক্ষিণে রয়েছে ফলে এই দুয়ের সংযোগস্থলে পড়ছে মকর রাশি, এবং তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী এই পরিস্থিতি জ্যোতিষবিদ্যা অনুসারে ভাল নয়। সামনে আরও অনেক কষ্ট এবং সঙ্কটকালীন সময় আসতে চলেছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। শুধু এটুকুতেই থামেননি তিনি। তাঁর মতে, শুক্র সহ আরও বেশ কিছু গ্রহের সমন্বয় নাকি ঘটেছে এবছর একই জায়গায় এবং তা হল মকর রাশিতে, যার ফলে নাকি এই মারণ জীবাণু করোনা ভাইরাস এত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং উত্তরোত্তর তার বৃদ্ধি ঘটছে!
আরিক জ্যান্ডার আরও বলেছেন যে, মানুষ একে অন্যকে সাহায্য করতে ভুলে গিয়েছে এবং পার্থিব ভোগ-বিলাসের বস্তুর প্রতি এতটাই বেশি মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে যে পৃথিবী নাকি নিজেই নিজেকে দূষণমুক্ত করার চেষ্টা করছে এই পদ্ধতিতে! তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী চারিদিকে দূষণ, ভিড়, স্বার্থপরতা এত বেশি বেড়ে গিয়েছে; এই কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে যদি আমাদের সবার শুভবুদ্ধির উদয় হয়!
অন্যদিকে আশিষ মেহতা নামে একজন ভারতীয় জ্যোতিষী দাবি করেছেন যে, রাহু এবং কেতু – এই দুটি গ্রহ নাকি একে অপরের রাস্তায় চলে এসেছে এবং এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বৃহস্পতিও। এই তিন গ্রহের সমন্বয়ের ফলেই নাকি চিন থেকে দ্রুত ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
সত্যি কথা বলতে, আমরা সাধারণ মানুষ জ্যোতিষ বুঝি না। যা বুঝি তা হল, নিজে সচেতন থাকুন, অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করুন – তাহলেই হয়ত আমরা সকলে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এড়াতে পারব।
ছবি সৌজন্য – ইনস্টাগ্রাম
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!