আচ্ছা বলুন তো যে পোশাক পরে আপনি জিমে যান ওয়ার্কআউট করতে, সেটা পরে কি অফিসে যান? যান না তো? কারণ আপনি জানেন যে বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে পোশাকও আলাদা হয়। আর আমি যদি আপনাকে এখন বলি, যে পোশাক আপনি জিমে পরে যাচ্ছেন সেটাই অফিসে পরে যাওয়া যায় তাহলে? আপনি ভাববেন আমি হয়তো ভুল কথা বলছি। একদম নয়। কারণ অ্যাথলেটিক লুক (look) আর লেজার দুটোকে জুড়েই তো তৈরি হয়েছে অ্যাথলেজারের (athleisure) মতো পোশাক।মোটামুটি ২০১৪ সাল থেকে অ্যাথলেজার এই শব্দটি ফ্যাশন জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মহিলারা যখন দেখলেন স্পোর্টস ব্রা, লেগিংস, হুডি (hoody) বা যোগা প্যান্টস (yoga pants) একটু এদিক ওদিক করে পরলেই সেটা দুর্দান্ত ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এই পোশাকগুলো জিমের বাইরেও অনায়াসে পরা যাচ্ছে, জন্ম নিল অ্যাথলেজার। আস্তে আস্তে এর সাথে যোগ হতে থাকল মেটালিক স্নিকার থেকে শুরু করে মেটালিক জ্যাকেটও। এইভাবে পূর্ণ মাত্রায় ফ্যাশন (fashion) স্টেটমেন্ট হয়ে উঠল অ্যাথলেজার। মজার বিষয় হল পোশাকটি আপনি সব ঋতুতে পরতে পারবেন এবং ঠিকঠাক কম্বিনেশান তৈরি করতে আপনাকে গাঁটের কড়ি খুব একটা খরচও করতে হবে না। তাই তো আমরা এগিয়ে এসেছি আপনাকে সাহায্য করতে। জানতে চাইছি আপনার সংগ্রহে অ্যাথলেজার আছে তো (athleisure in fashion)? যদি না থাকে আমাদের গাইডলাইন অনুসরণ করে তৈরি করুন অ্যাথলেজারে নিজের ফ্যাশন (Fashion) স্টাইল (style)।
অ্যাথলেজারে ফ্যাশন করতে গেলে আপনার যা যা লাগবে
জ্যাকেট (jacket)
অ্যাডিডাসের ট্র্যাক জ্যাকেট কিনতে পারেন। যদি নব্বইয়ের পুরনো লুক আপনার পছন্দ না হয় তাহলে পুমার জ্যাকেট ট্রাই করতে পারেন। পুমার জ্যাকেট অনেকটা বোম্বার জ্যাকেটের মতো দেখতে হয় ফলে ফ্যাশনেবল দেখতে লাগে।
সোয়েট শার্ট ও হুডিজ (sweatshirt and hoodies)
আপনার সাদামাটা হুডিও ম্যাজিক দেখাতে পারে যদি ঠিকঠাক ক্যারি করা যায়। তবে একটু আলাদা দেখাতে গেলে টুইস্টেড ফ্রন্ট বা ক্রিসক্রস সোয়েট শার্ট ট্রাই করতে পারেন। বোট নেক সোয়েট শার্ট বা ক্রপড হুডি দেখতে ভালো লাগে।
লেগিংস (legings)
একরঙা লেগিংস সরিয়ে একটু অন্যরকম কিছু বেছে নিন। যেমন ধরুন ম্যাট শাইন লেগিংস বা চামড়ার লেগিংস।
জগার্স (joggers)
লেগিং পরে পরে ক্লান্ত হয়ে গেলে জগার্স ট্রাই করুন। এগুলো ওজনে অনেক হাল্কা হয় এবং সুন্দর জুতোর সঙ্গে ক্রপড জগার্স পরলে আপনাকে অনেক স্টাইলিশ দেখাবে।
স্নিকার্স (sneakers)
সব কিছু ঠিকঠাক কিনে নিলে বা বেছে নিলে সবশেষে জুতোর দিকে মন দিন। স্টাইলিশ স্নিকার্স হলেই আপনার অ্যাথলেজার লুক কমপ্লিট হবে।
অ্যাকসেসরি (accessory)
আপনার মনে হতেই পারে অ্যাথলেজার যেহেতু স্পোর্টি লুক বা জিমের সঙ্গে যুক্ত তাই একটা হেয়ারব্যান্ড বা হেয়ারটাই পরলেই হল। তবে অ্যাথলেজারের ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার অপশান প্রচুর। আপনি পরতে পারেন ব্যান্ডও হ্যাট। কালারফুল ফাঙ্কি ব্যাগপ্যাকও কিন্তু দারুণ একটা অপশান। ভেবে দেখতে পারেন।
মনে রাখবেন
অ্যাথলেজার একটু অন্য ধরনের পোশাক। যার সঙ্গে আপনি হয়তো পরিচিত নয়। তাই এই পোশাকের ক্ষেত্রে আপনাকে একটু সচেতন থাকতে হবে। দেখবেন আপনার অ্যাথলেজার জয়েন নোংরা, ঘেমো গন্ধযুক্ত না হয়। যদি আপনার সোয়েটশার্ট ঘামে ভিজে যায় উপরে বড় সাইজের সোয়েটার বা জ্যাকেট পরে নিন।
রাত্রে অ্যাথলেজার পরলে একটু বোল্ড হন। পরুন ট্যাঙ্ক টপ।হুপ রিং আর বড় ক্লাচেও দিব্য উজ্জ্বল হবে এই লুক।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!