জল ছাড়া তো বেঁচে থাকাই সম্ভব নয়। উপরন্তু শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতেও জলের প্রয়োজন। আবার দেহে জলের মাত্রা কমলেও আরেক বিপদ! তাই তো দিনে লিটার চারেক জল খাওয়া মাস্ট! কিন্তু প্রশ্ন হল, জল খাওয়ার যে বেশ কতগুলি নিয়ম রয়েছে, সে সম্পর্কে খোঁজ রাখেন কি? সেকি, এত দিন তো জানতাম না যে জল খাওয়ারও নিয়ম রয়েছে! আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, বিশেষ কিছু নিয়ম (Tips) মেনে জল পান না করলে শরীরের বেশ কিছু ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তো এই সম্পর্কে সবারই একটু খোঁজ-খবর করে নেওয়া উচিত।
১. দাঁড়িয়ে জল খাওয়া চলবে না
দাঁড়ানো অবস্থায় জল খেলে শরীরের fluid balance বিগড়ে যায়, যে কারণে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এদিকে বসে জল খেলে শরীরে প্রতিটি পেশি এবং নার্ভাস সিস্টেম অনেকটাই রিল্যাক্সড মোডে থাকে। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে কিডনির ক্ষমতাও বাড়ে, যে কারণে শরীরে টক্সিক উপাদান জমে থাকার আশঙ্কা আর থাকে না।
২. একবারে অনেকটা পরিমাণে জল খাওয়া চলবে না
তেষ্টার সময় ঘটঘট করে জেল খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। তাতে শরীরের ক্ষতি হয়। তাই তো অল্প অল্প করে জল খাওয়া উচিত। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার কতক্ষণ পরে জল খেলে শরীরের কাজে লাগবে, সে সম্পর্কেও একটু জেনে নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে যাঁদের বায়ু দোষে ভুগছেন, তাঁদের খাবার খাওয়ার ঘন্টা খানেক পরে জল ( Water) খাওয়া উচিত। এদিকে পিত্ত দোষ থাকলে খাওয়ার সময় অল্প পরিমাণে জল খাওয়া চলতে পারে। আর যাঁদের কফ দোষ, তাঁরা কী করবেন? এদের খাওয়ার খাওয়ার আগেই অল্প করে জল খেয়ে নেওয়া উচিত।
৩. ঠান্ডা জল নৈব নৈব চ
কলকাতার যা আবহাওয়া তাতে ঠান্ডা জল না খেয়ে কোনও উপায় নেই। কিন্তু আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে ঠান্ডা জল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তাতে হজম ক্ষমতা বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী, ঠান্ডা জলের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। ঠান্ডা জলের পরিবর্তে যদি হালকা গরম জল খেতে পারেন, তাদের তো কোনও কথাই নেই! তাতে কী উপকার মিলবে? সারা দিন ঈষদুষ্ণ গরম জল খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটার পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে থাকে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
৪. তেষ্টা না পেলে জল খাবেন না
দিনে চার লিটার জল খাওয়ার কোটা শেষ করতে হবে বলে আবার মিনিটে মিনিটে জল খাবেন না যেন! তাহলে কী করণীয়? যখন তেষ্টা পাবে, তখন অল্প অল্প করে অনেকটা জল খাবেন। অনেক সময় শরীরে জলের মাত্রা কমে গেলে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া অথবা প্রস্রাব হলুদ হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। সে সময় জল খেতে ভুলবেন না যেন! মোট কথা তেষ্টা পেলে জল খান এবং খেয়াল রাখুন দিনে কতটা পরিমাণ জল খাচ্ছেন। যদি দেখেন লিটার তিন-চারেক জল খেয়েই ফেলেছেন, তাহলে তো আর কোনও চিন্তাই নেই!
৫. দুপুরে বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে
শীতকাল বাদে বছরের বাকি সময় দুপুরে বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু কেন? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে (ayurveda) দুপুরের সময়টাকে ‘পিত্ত কাল’ বলা হয়। এই সময় বেশি মাত্রায় জল খেলে শরীরের তাপমাত্র ঠিক থাকে। ফলে ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধি ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পিত্ত কালে প্রতি গ্লাস জলে যদি অল্প করে লেবুর রস, মৌরি অথবা গোলাপের পাপড়ি ফেলে খেতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…