এখন সেভাবে গরমও নেই। আবার হাড় কাঁপানো ঠান্ডাও পড়েনি। এমন ওয়েদার চেঞ্জের সময়ই কিন্তু হাজার রকমের রোগ ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে ঠান্ডা লেগে গিয়ে জ্বর-জ্বালার খপ্পরে পড়তেই পারেন। সর্দি-কাশি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, তা হলে তো শিরে সংক্রান্তি। তাই তো সময় থাকতে থাকতেই ইমিউনিটি (Immunity) বাড়িয়ে তোলার চেষ্টায় লেগে পরাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই কাজটা করবেন কীভাবে? প্রশ্ন শুনে চিন্তায় পড়ে গেলেন নাকি? আরে কোনও চিন্তা নেই! শুধু নিয়ম করে এই খাবারগুলি (Superfoods) খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন, অল্প দিনেই শরীর ভিতর থেকে এমন চাঙ্গা হয়ে উঠবে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবে না। ফলে শীতের মরসুম বেশ নিশ্চিন্তেই কাটবে।
এই খাবারগুলি খেয়ে রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখুন
১. গুড়
শীতের মরসুমে (Winter) ঝোলা গুড় খাওয়ার মজাই আলাদা! আর মজার বিষয় কি জানেন, শরীরকে শীতকালীন নানা রোগ-ব্যাধির খপ্পর থেকে বাঁচাতেও গুড়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য মিনারেল, যেমন, আয়রন, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম নানা ভাবে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এমনকী, সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতেও গুড়ের জুরি মেলা ভার। তাই বুঝতেই পারছেন, এমন ওয়েদার চেঞ্জের সময় সুস্থ থাকতে হলে গুড় না খেয়ে উপায় নেই।
২. আমলকি
আজ থেকেই একটা করে কাঁচা আমলকি খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন, জ্বর-জ্বালা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, সঙ্গে আবার মজুত রয়েছে অ্যান্টিক্সিডেন্টও। দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে এই দুটি উপাদান বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে আর চিন্তা কিসের।
৩. ঘি
প্রতিদিন অল্প করে ঘি খান দেখি! তাতে কী উপকার মিলবে? ঘিতে রয়েছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। রয়েছে আরও নানা সব উপকারী উপাদান, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার মধ্যে দিয়ে শীতকালীন নানা রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে এবং হার্টকে চাঙ্গা রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো নিয়মিত গরম ভাতের অল্প করে ঘি খেলে বছরের এই সময় শরীর নিয়ে যে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
৪. হলুদ
শীতকালে যদি সুস্থ থাকতে হয়, তাহলে অল্প করে কাঁচা অলুদ খাওয়ার অভ্যাস করতেই হবে। তাতে শরীরের ভিতরে Curcumin নামে একটি উপাদানের ঘটতি মিটবে, যা অল্প সময়েই ইমিউনিটিকে বাড়িয়ে তুলবে। ফলে সর্দি-কাশির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে। হলুদে Curcumin ছাড়াও রয়েছে একাধিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান, যা সংক্রমণ এবং ভাইরাল ফিবারের মতো রোগকে দূরে রাখে। মোট কথা শীতকালে যে যে রোগের প্রকোপ বাড়ে, সেগুলির প্রায় সবকটিকেই দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
আরও যে-যে খাবার ইমিউনিটি বাড়ায়
নিয়মিত অল্প করে ডার্ক চকোলেট খেলে উপকার মিলবে। ইমিউনিটি বাড়াতে খেতে পারেন চর্বি যুক্ত মাছ, ব্রকলি, রাঙা আলু এবং পালং শাকও। আদা, রসুন এবং গ্রিন টিতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষমতা রয়েছে। সারা শীতকাল জুড়ে এই সব খাবারগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলে দেখবেন শরীর বাবাজিকে নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…