চুল ব্যাপারটা যে আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এবছর বলিউড এবং টলিউড, আমাদের ঘাড় ঘরে বুঝিয়ে দিয়েছে! ‘গন কেশ’, ‘বালা’, ‘উজড়া চমন’, ‘টেকো’ ছবিগুলি বারবার চোখে আঙুল দিয়ে বলেছে, ভাই সাবধান, তোমার দাম কিন্তু আসলে তোমার মাথায় এক ঢাল কালো চুল আছে কিনা, তার উপরই নির্ভর করে! তাই সময় থাকতে-থাকতে চুলের যত্ন নিন। এখন এই যত্ন নেওয়ার মানেটা কী? নিয়মিত অয়েল মাসাজ করা, চুল (hair) পরিষ্কার রাখা, প্যাক-মাস্ক ইত্যাদি লাগানো, হয়তো পার্লারে গিয়ে হেয়ার স্পা করা, এগুলোকেই আপনি চুলের যত্নের রুটিনে ফেলেন, তাই তো? কিন্তু আমরা যদি বলি যে, শুধু এগুলো নয়। চুলের যত্নের জন্য আপনাকে কতগুলো বদভ্যেসও (bad habits) ত্যাগ করতে হবে, নইলে যতই যত্ন নিন, চুল পড়া কিংবা ডগা ফাটার মতো সমস্যা পিছু ছাড়বে না, তা হলে? অবাক হচ্ছেন? এখানে আমরা পাঁচটি হেয়ার হ্যাবিটস-এর কথা বলব, যেগুলো অনেকসময়ই চুলের নানা সমস্যার (problems) পিছনে মূল কারণ (cause) হয়ে দাঁড়ায়। দেখে নিন, কী-কী বদভ্যেস আর আপনারও সেগুলো আছে কিনা…
১. বারবার চুলে হাত বোলানো এবং ওলটপালট করা
ভেবে দেখুন, এই অভ্যেসটা আমাদের অনেকেরই আছে। চুলে হাত বোলানো, বারবার ছুঁয়ে দেখা, মাথার তালু চুলকানো, কোনও কারণ ছাড়াই চুলে বিলি কাটা ইত্যাদি বদভ্যেসের ফলেও চুলের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসলে বারবার চুলে হাত দিলে চুল থেকে স্বাভাবিক ময়শ্চার কমে যায়। ফলে চুল প্রাণহীন হয়ে পড়ে এবং চুল পড়া থেকে শুরু করে ডগা ফাটার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
২. সারাদিন চুল বেঁধে রাখা
যাঁদের চুলের লেংথ একটু বড়, তাঁদের এই বদভ্যেসটি বেশি আছে। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই হয়তো আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতো আপনার মা-ও শিখিয়েছেন যে, চুল লম্বা হলে তা খুলে রাখতে নেই, তাতে চুলের বারোটা বাজবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কথাটা খানিকটা সত্যি হলেও, পুরোটা নয়। বাইরে বেরনোর সময় চুল বেঁধে বেরোন, তাতে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু বাড়িতে ফিরে অতি অবশ্যই তা খুলে চুলে হাওয়া লাগতে দিন। আপনাকে সারা দিন হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে দিলে যেমন ভাল লাগবে না, সারা দিন বাঁধা থাকতে আপনার চুলেরও ভাল লাগে না। আর এভাবে বেশিক্ষণ বেঁধে রাখলে চুল বাঁধার জায়গা থেকে আলগা হতে শুরু করে এবং ভাঙতে শুরু করে। তাই কয়েকদিন পরপর চুল বাঁধার স্টাইলও পাল্টানো উচিত।
৩. বেশি টাইট করে চুল বাঁধা এবং তা বেঁধে ঘুমোতে যাওয়া
বেশি টাইট করে কখনও চুল বাঁধবেন না। আর সেভাবে চুল বেঁধে ভুলক্রমেও শুতে যাবেন না। আগেকার দিনে রাতে মেয়েদের মাথায় এক খাবলা তেল লাগিয়ে টেনে বিনুনি করে ঘুমোতে পাঠানোর যে রেওয়াজ ছিল, সেটি একেবারে ভুলে যান। এতে কপাল চওড়া হতে শুরু তো করেই, চুলের ডগাও আলগা হয়ে গিয়ে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
৪. প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা
যদি কেউ আপনাকে বলে থাকেন যে, রোজ চুলে শ্যাম্পু করলে আপনার চুল ভাল থাকবে, তার সঙ্গে জন্মের মতো আগেই আড়ি করে দিন দেখি। কারণ, এর ফলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং চুল আরও বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তা ছাড়া প্রতিদিন শ্যাম্পু করা মানে তো রোজ একগাদা করে আর্টিফিশিয়াল প্রোডাক্ট চুলে লাগানো। সেটাতেই বা কোন উপকার হবে শুনি?
৫. ভেজা চুল মুছতে যাওয়া
স্নান শেষ হওয়ার পর ভেজা চুল আলতো হাতে নরম তোয়ালে দিয়ে নিংড়ে নিতে পারেন বটে, কিন্তু দোহাই ঘষে-ঘষে মুছতে যাবেন না। ভেজা চুল সবচেয়ে বেশি নরম হয় আর ভাঙেও তাড়াতাড়ি। তাই হাওয়ায় শুকোতে দিন। জোর করে তাড়াতাড়ি শুকোতে চাইবেন না। খুব জরুরি হলে ড্রায়ারে ঠান্ডা হাওয়া চালিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..